বাংলাদেশ, , শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

কুল চাষে সাফল্য, বাড়ছে চাষি

বাংলাদেশ পেপার ডেস্ক ।।  সংবাদটি প্রকাশিত হয়ঃ ২০২২-০২-০৯ ১০:২৪:৩৫  

খরজের তুলনায় লাভ ৩ গুণ

কুলচাষে বিঘা প্রতি প্রায় ১০০ মণের অধিক ফলন পাচ্ছেন চাষিরা। খরচের তুলনায় লাভও হচ্ছে প্রায় ৩ গুণ। রাজবাড়ী জেলায় দিন দিন বাড়ছে কুল চাষির সংখ্যা। কুলের চাষ বৃদ্ধিতে জেলায় তৈরি হচ্ছে কর্মসংস্থান। কাশ্মেরী, নারকেলী, বাউকুল, আপেল কুল, বল সুন্দরীসহ বিভিন্ন জাতের কুল বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে এ জেলায়।

এখানকার মাটি কুল চাষে উপযোগী হওয়ায় দিন দিন বাড়ছে কুলের চাষাবাদ। কুল স্বাদে ও গন্ধে সুস্বাদু হওয়ায় অনেকের পছন্দের ফল এটি। জেলায় বিভিন্ন জাতের কুলের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। চাষিরা তাই অধিক আগ্রহী হচ্ছেন কুল চাষে।

চলতি বছর রাজবাড়ীতে কুলের ফলন ভালো হয়েছে। চাষিরা জানান, বিঘা প্রতি খরচ হয়েছে ৩৫ হাজার টাকা। সেখানে প্রায় দেড় লাখ টাকার বেশি বিক্রি হচ্ছে কুল। এতে লাভের পরিমান প্রায় ৩ গুণ।

সদর উপজেলার উদয়পুর গ্রামের কুলচাষি আব্দুর রহমান বলেন, ২০০৬ সালে বিদেশ থেকে ফিরে এসে ২২ শতাংশ জমিতে কুল চাষ শুরু করি। প্রথম বছরেই লাভ হয় এক লাখ টাকা। এরপর বিভিন্ন জাতের কুলের চাষ শুরু করি। এর মধ্যে ইন্ডিয়ান, কাশ্মীরি, নারিকেলি, আপেল ও বাউ এবং থাইকুল চাষ করছি। তবে নারিকেল কুল ও আপেল কুলের চাহিদা বেশি। বাজারদর ভালো থাকায় এ দুটি জাতের কুলগাছের আবাদ বেশি করেছি। প্রতিবছর কুল গাছের পরিচর্যা করতে কয়েক লাখ টাকার মতো খরচ হয়। কুলের মৌসুম শেষ হলে সব গাছের ডালপালা ছেঁটে দেওয়া এবং শ্রমিক, সার, ওষুধ, কীটনাশক ইত্যাদি ব্যবহার করতে হয় ফলন ভালো পাওয়ার জন্য। আমাকে দেখে অনেকেই কুলচাষ শুরু করেছেন। কুলচাষে লাভবান হয়েছি। অন্যদেরকে উৎসাহিত করছি। সারা বছর কুলচাষের পরিচর্যা শেষে জানুয়ারি, ফেব্রুয়ারি ও মার্চ মাস পর্যন্ত এ তিন মাস বাজারে কুল বিক্রি করি। স্বল্পসুদে ব্যাংক ঋণ পেলে চাষিরা আরও বেশি চাষের সুযোগ পাবেন।

কুলের বাগানে কাজ করতে আসা নারী শ্রমিক সেলিনা খাতুন বলেন, ক্ষেত থেকে প্রতিদিন প্রায় ২০ মণ কুল সংগ্রহ করি। এর জন্য আমরা বেতন পাই। আমাদের কাজের একটা সুযোগ হয়েছে। রাজবাড়ী সদর উপজেলা কৃষি অফিসার বাহাউদ্দিন শেখ জানান, কুলচাষে কৃষকেরা খরচের ৩ গুণ লাভবান হচ্ছেন। বেকার যুবকেরা কুলচাষে আগ্রহ প্রকাশ করছেন। আমরা কৃষকদেরকে কুল চাষাবাদে উৎসাহ প্রদান করছি এবং তাদেরকে সুপরামর্শ দিচ্ছি।

পাংশা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রতন কুমার ঘোষ বলেন, পাংশা উপজেলায় এ বছর প্রায় ১০ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন উন্নত জাতের কুল চাষ হয়েছে। কুল চাষের মাধ্যমে পাংশা বাণিজ্যিক কৃষির দিকে এগিয়ে যাবে।


পূর্ববর্তী - পরবর্তী সংবাদ
       
                                             
                           
ফেইসবুকে আমরা