বাংলাদেশ, , শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

নকলে বাধাঃ দুই শিক্ষার্থীর হাতে লাঞ্চিত চট্টগ্রামের দুই শিক্ষক

বাংলাদেশ পেপার ডেস্ক ।।  সংবাদটি প্রকাশিত হয়ঃ ২০১৯-০৮-০১ ১৯:৩৩:১৪  

বিশেষ প্রতিনি, চট্টগ্রামঃ

চট্টগ্রাম ব্যুরো: বিএড-এমএড পরীক্ষা চলাকালীন নকলে বাধা দেওয়ায় দুই কলেজ শিক্ষককে এক পরীক্ষার্থী ঔর্দ্ধত্যপূর্ণ আচরণের পাশাপাশি লাঞ্ছিত করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এসময় এক শিক্ষককে থাপ্পড় ও আরেক শিক্ষককে লাথি মারে ওই পরীক্ষার্থী। এই ঘটনার পর তাকে আটকের চেষ্টা করা হলেও সে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।

বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) দুপুর ১২টার দিকে নগরীর সদরঘাট থানা এলাকায় চট্টগ্রাম সরকারি সিটি কলেজ কেন্দ্রে এই ঘটনা ঘটেছে।

অভিযুক্ত পরীক্ষার্থী মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন পরিচালত অপর্ণাচরণ উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের অস্থায়ী শিক্ষক বলে জানিয়েছেন সদরঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফজলুর রহমান ফারুকী।

 

চট্টগ্রাম সরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজের বিএড ও এমএড কোর্সের চূড়ান্ত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছিল সরকারি সিটি কলেজ কেন্দ্রে। এমএড কোর্সের শিক্ষার্থী হিসেবে নাজিম উদ্দিন পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছিল।

পরীক্ষা কমিটির সদস্য সিটি কলেজের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক নাছির ভূঁইয়া সারাবাংলাকে জানান, কলেজের প্রশাসনিক ভবনের ৫০২ নম্বর কক্ষে পরীক্ষা চলছিল। কক্ষে দায়িত্ব পালন করছিলেন সিটি কলেজের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. ইকবাল হোসেন ও একই বিভাগের অতিথি শিক্ষক আরিফ মাহমুদ। তারা নাজিমের উত্তরপত্রের ভেতর থেকে বইয়ের পৃষ্ঠা উদ্ধার করেন। এসময় নাজিম অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করে। দুই শিক্ষক তার উত্তরপত্র নিয়ে নেন। এরপর একপর্যায়ে নাজিম উত্তরপত্র কেড়ে নিয়ে সেটি ছিঁড়ে ফেলে এবং হল থেকে বেরিয়ে যায়।

নাছির ভূঁইয়া বলেন, ‘এর মধ্যে সিটি কলেজ ও টিচার্স ট্রেনিং কলেজের অধ্যক্ষ হল পরিদর্শনে আসেন। নাজিম উদ্দিন তার মোবাইল নেওয়ার জন্য হলে ঢোকে। এসময় সে আবারও গালিগালাজ করতে করতে আরিফ মাহমুদ স্যারের কলার ধরে থাপ্পড় মারতে থাকে। আরিফ স্যারকে উদ্ধার করতে গেলে নাজিম ইকবাল হোসেন স্যারকেও লাথি মারে। তখন কয়েকজন শিক্ষক এগিয়ে এসে তাকে ধরার চেষ্টা করলেও সে দ্রুত বেরিয়ে যায়।’

এই ঘটনায় সিটি কলেজের শিক্ষকদের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। সহকারি অধ্যাপক ইকবাল হোসেন বাদী হয়ে নাজিমের বিরুদ্ধে নগরীর সদরঘাট থানায় মামলা দায়ের করেছেন।

সদরঘাট থানার ওসি ফজলুর রহমান ফারুকী প্রতিনিধিউকে বলেন, ‘ঘটনা জানার পরই আমরা এই বিষয়ে প্রাথমিক খোঁজ খবর নিয়েছি। জানতে পেরেছি- নকল করার সময় নাজিম উদ্দিনকে ধরে ফেলেন হলের দায়িত্বরত দুই শিক্ষক। তাকে বহিষ্কার করার পর সে উত্তেজিত হয়ে ওঠে। সে একজন শিক্ষককে থাপ্পড় মারে, আরেকজনকে লাথি মারে। খুবই অনভিপ্রেত ঘটনা। নাজিম উদ্দিন নিজেও একজন শিক্ষক। এই ঘটনায় মামলা হয়েছে। আমরা অভিযুক্তকে আইনের আওতায় আনব।’

ঘটনার বিষয়ে অভিযুক্ত নাজিম উদ্দিনের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।


পূর্ববর্তী - পরবর্তী সংবাদ
       
                                             
                           
ফেইসবুকে আমরা