জেলে পরিবারকে ঘর ছাড়া করার অভিযোগ পূজা উদযাপন কমিটির নেতার বিরুদ্ধে!

প্রকাশিত: ১০:৪৪ অপরাহ্ণ, মে ১৭, ২০২১

কক্সবাজার সদরের ইসলামাবাদ ইউনিয়নের জলদাশ পাড়া এলাকার একটি (জলদাশ) জেলে পরিবারকে ঘর ছাড়া করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

ভুক্তভোগী পরিবারের দাবি,সদর উপজেলা
পূজা উদযাপন কমিটি সাবেক সভাপতি দিপক দাশ ও ইসলামাবাদ ইউনিয়নের পূজা উদযাপন পরিষদের সেক্রেটারি নিকেল দাশের দাবিকৃত টাকা দিতে না পারায় হয়রানিমূলক মামলা দিয়ে তাদেরকে এলাকা ছাড়া করা হয়।

সোমবার বিকেলে কক্সবাজার রিপোর্টার্স ইউনিটির কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এমনটি দাবি করেন, ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্য হরি সেন দাশ ও ব্রজ বালা দাশ।

তিনি বলেন, ইসলামাবাদের জলদাশ পাড়া এলাকার লক্ষি দাশের মেয়ে পায়েল দাশের (১৯) সঙ্গে তার ছেলে কপিল মনি দাশ বয়স (২৫) দীর্ঘদিন সম্পর্ক ছিল। পরে তারা দুই বছর আগে নোটারীমূলে বিয়ে করেন।
বিয়ের পর সূখ শান্তিতে কাটছিল তাদের সংসার জীবন।

কিন্তুু বিষয়টা ভালোভাবে নেয়নি ইসলামাবাদ ইউনিয়নের পূজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও মেয়ের মামাত ভাই সম্পর্কীয় নিকেল দাশ।

হরি সেন দাশের অভিযোগ এক পর্যায়ে আমার বউ মা বাপের বাড়িতে গেলে তাকে কৌশলে সেখান থেকে আর আসতে দেয়নি নিকেল দাশ।
এর পর বিভিন্ন সময় নারী নির্যাতনের মামলা দেওয়ার হুমকি দেন।

পরে নিকেল দাশের হাতে পায়ে ধরার পর বিষয়টি সমাধান করে দেওয়ার কথা বললে নিকেল দাশ আমাদের নিয়ে যান কক্সবাজার সদর উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাবেক সভাপতি দিপক দাশের কাছে।

এসময় শান্তিপূর্ণ সমাধানের কথা বলে ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন নিকেল দাশ ও দিপক দাশ। মিথ্যা মামলা থেকে বাঁচতে দিপক দাশের হাতে ২০হাজার টাকা দেই। এ সময় আমার ছেলের ব্যবহৃত মোবাইল ও বিয়ের কাগজপত্রও জমা নিয়ে নেয় দীপক দাশ। পরে প্রায় ১০হাজার টাকার শুটকি মাছ খাওয়ায় দীপক দাশকে।

এর পর গত বছরে শেষের দিকে আরও ৩০হাজার টাকা দাবি করেন দীপক দাশ ও নিকেল দাশ। ইতিপূর্বের দেওয়া টাকা ধার কর্জ করে এনে দিয়েছি,বিচার সমাধান করে দেন তারপর বাকি টাকাও দিব এমন বলাতে দীপক দাশ আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে ধমকের সুরে বলে যে আমার কথায় থানা কোর্ট চলে আমি চাইলে অনেক কিছু করতে পারি, আমি কে জানিস? টাকা ছাড়া এখানে আর আসবে না ইত্যাদি বলে হুমকি দেয়। টাকা দিতে না পারায় নিকেল দাশ ও দীপক দাশের কু প্ররোচনায় আমার পূত্রবধূর বোনকে ভিকটিম বানিয়ে আমার দুই ছেলে কপিল জলদাশ ও রুবেল জলদাশের নামে মিথ্যা নারী নির্যাতনের একটি মামলা দায়ের করা হয়। মামলা নং মামলা নং ৫/২১। মামলা করার পর পুনরায় দীপক দাশের কাছে এসে টাকা, মোবাইল ও কাগজপত্র ফেরত দাবী করায় আমাদের জন্য কাল হয়েছে।

ভুক্তভোগী পরিবারের নারী সদস্য ব্রজ বালা দাশের( ৫০) দাবি, সদর পূজা উদযাপন পরিষদের সাবেক সভাপতি সভাপতি দীপক দাশ ও ইউনিয়ন সেক্রেটারি নিকেল দাশের হুমকি ধমকির কারনে গত কয়েকমাস ধরে তারা স্ব-পরিবারে এলাকা ছাড়া। তিনি হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলা থেকে অব্যাহতি ও এর পেছনে যারা জড়িত তাদের বিচার দাবি করেছেন।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ইসলামাবাদ পূজা উদযাপন কমিটির সেক্রেটারি নিকেল দাশ সব অভিযোগ অস্বীকার করেন এবং টাকা লেনদেনের কোন ঘটনাও ঘটেনি বলে দাবি করেন।

জানতে চাইলে সদর উপজেলার পূজা উদযাপন পরিষদের সাবেক সভাপতি দিপক দাশ বলেন,নিকেল পরিবারটি আমার কাছে নিয়ে এসেছিলেন। বিষয়টা আমি সমাধানের চেষ্ট করেছি। কিন্তূ তাদের বিরুদ্ধে নারী নির্যাতনের যে মামলাটি হয়েছে এ বিষয়ে আমি অবগত নয়।

টাকা নেওয়ার প্রসঙ্গে তিনি বলেন,তারা যদি মন্দিরে ঢুকে শপথ করে বলতে পারে আমি তাদেরকে ৪০হাজার টাকা দেবো। আমি কোন ধরনের টাকা নেয়নি। অভিযোগ সম্পূর্ন মিথ্যা। তবে ভুক্তভোগী জেলে পরিবার টাকা দিয়েছে সেটা যেখানে গিয়ে বলতে হয় সেখানে গিয়ে বলতে পারবে বলে জানায়।