
বৃষ্টিভেজা বিকেলে চন্দ্রিমা উদ্যানে বসে ক্রিসেন্ট লেকের
চোখ ধাঁধানো টকটকে লাল
কৃষ্ণচূড়ার সৌন্দর্যরাশি উপভোগ করছিলাম যখন
অমনি তুমি সেই লোহিতবরন
কৃষ্ণচূড়ার রূপকে ঢেকে দিয়ে
আঁখিপাতে ঠাঁই করে নিলে
মোহনীয় নীলাম্বরীরূপে!
সতেজ সসকালে নীলাচলে দাঁড়িয়ে মুগ্ধ নয়ন প্রসারিত করি দূর সবুজ শ্যামলিমাপানে
অদৃশ্য মানবী তুমি কোথা থেকে এসে নীল আচল পেতে দাও
সবুজ শ্যামল প্রান্তরজুড়ে!
পড়ন্ত বিকেলে আদিগন্ত ধুসর সুদূরে যখন মুগ্ধ নয়নে তাকাই নীলগিরির গিরিচূড়া থেকে
স্বপ্নের মতো কেমন করে তুমি
ঢেকে দাও নীল নীলাভ করে!
অথই সমুদ্রকুলে রূপালি উর্মিমালার ররূপসজ্জা উপভোগ করবো বলে দাঁড়াই
দৃষ্টি প্রসারিত করে
মরিচিকার মতো কোথায় লুকিয়ে তুমি ঢেকে দাও সব
নীল নীল জলরাশিতে।
তারাভরা জোস্নারাতে যখন
তাকাই ঐ দূরাকাশপানে
কোথা থেকে তুমি দাও ছড়িয়ে
রাশি রাশি নীল দিপাবলী
দূর নীলিমায় বসি!
কে তুমি?
রহস্যময়ী!