ডেস্ক নিউজঃ
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকায় দুই সন্তানের জননীকে ধর্ষণের অভিযোগে আব্দুল কুদ্দুস নয়ন নামে এক পুলিশ সদস্যকে গ্রেফতারের পর কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
তিনি রাজারবাগ পুলিশ লাইনসে কনস্টেবল (ড্রাইভার) হিসেবে দায়িত্বরত ছিলেন। বুধবার মামলা দায়েরের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদুল মোহসীনের আদালত এ আদেশ দেন।
কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ধর্ষণের মামলায় দুপুরে আসামীকে আদালতে তোলা হয়। আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে। পুলিশের পক্ষ থেকে রিমান্ড কিংবা আসামি পক্ষের কেউ জামিন আবেদন করেননি।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ভুক্তভোগী ওই নারীর সঙ্গে দুই বছর আগে ফেসবুকের মাধ্যমে পরিচয় হয় পুলিশ সদস্য মো. আব্দুল কুদ্দুস নয়নের। ফেসবুকের পরিচয়ের সূত্র ধরে নয়নের সঙ্গে প্রায়ই কথা হতো ওই নারীর। কথা বলার একপর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। প্রেমের এই সম্পর্কের কারণে নয়ন প্রায় সময়ই ওই নারীর বাসায় যাতায়াত করতো।
তাদের কোন কাবিননামা ও বিয়ের রেজিস্ট্রি নথি নেই। মসজিদের হুজুর ডেকে বিয়ে পড়ানো হয়।
গত ৬ অক্টোবর বিকেলে নয়ন আবারও ওই নারীর বাসায় আসে। এ সময় নয়ন বিয়ে সংক্রান্ত বিষয়ে আলাপ আছে বলে দরজা বন্ধ করে দেয়। ওই নারী দরজা বন্ধ করতে বারণ করলেও তাকে ধর্ষণ করে নয়ন।
এর আগেও নয়ন বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ওই নারীকে ধর্ষণ করে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়। ওই নারীর আগেও একটি বিয়ে হয়েছিল। সেই সংসারে একটি ছেলে ও একটি মেয়ে রয়েছে।
সূত্রঃ যুগান্তর