বাংলাদেশ, , শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ

বাংলাদেশ পেপার ডেস্ক ।।  সংবাদটি প্রকাশিত হয়ঃ ২০২০-০৯-২০ ০০:২০:২৩  

বিগত ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২০ ইং তারিখ কক্সবাজারের কয়েকটি অনলাইন পত্রিকা পোর্টালে ” বিভিন্ন” শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হলে উক্ত সংবাদের সাথে ওমর ছিদ্দিক লালু দ্বিমত পোষন করেন ।
ওমর ছিদ্দিক লালুর ভাষ্যঃ
 কক্সবাজার পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের বিপুল জনসাধারণ আমাকে অত্যন্ত স্নেহ ভালোবাসা এবং সমর্থণ দিয়ে খুবই অল্প বয়সে জনপ্রতিনিধি বানিয়েছে। এমনকি পর পর দুই বার বিপুল ভোটে কাউন্সিলর নির্বাচিত করেছে। এটা সর্বজনজ্ঞাত যে, আমার পিতামহ, পিতা এবং শ্বশুর বাড়ীর অভিভাবকগণ দীর্ঘদিনের জমিদার এবং প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী এবং পূর্বসূরীদের সম্পদ ও বাণিজ্যের উপর ভর করেই মূলত আমি জনপ্রতিনিধি হিসেবে মানুষের নিরবচ্ছিন্ন সেবা করে আসছি।
সম্প্রতি সরকারের উন্নয়ন কাজের জন্য যেসব জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে সেখানে আমার পৈত্রিক এবং শ্বশুরের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক জমি পড়েছে ।যেখানে,  ২কানি আমাদের পৈত্রিক এবং আমার শ্বশুর বাড়ির পড়েছে ২৫শতক জমি। যার ফলে কম করে হলেও ১০০টি আবেদন  এসব সম্পত্তির বিপরীতে তৈরি হয়েছে।
এর মধ্যে ৩০টি মতো আবেদনের বিপরীতে চেক তথা অর্থ উত্তোলন করতে পেরেছি। বাকি সিংহভাগই এখনও পর্যন্ত অর্থ উত্তোলন করতে পারিনি। যদিও অন্যান্য ফাইলগুলো আবেদিত রয়েছে কিন্তু ভূমি অধিগ্রহণ শাখায় দৌড়ঝাপ রয়েছে এমন একটি দালাল চক্র সম্প্রতি আমার কাছে বেশ কিছু ফাইল দাবি করে এবং মধ্যসত্ব ভোগী হিসেবে ফায়দা লুটার চেষ্টা করে।
আমি রাষ্ট্র, সমাজ এবং বাস্তবতা সচেতন ব্যাক্তি হওয়ায় তাদের সুবিধা লুটার সেই সুযোগ করে দিইনি। যার ফলে তারা আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা, বানোয়াট, ত্রুটিপূর্ণ এবং অতিরঞ্জিত তথ্য দিয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছে। এক্ষেত্রে আমি আত্মপক্ষ সমর্থন করে বিস্তারিত তথ্য উপাত্ত উপাস্থাপন করলে ষড়যন্ত্রকারীরা এই যাত্রায় পরাজিত হবে বলে চ্যালেঞ্জ জানালাম।
তারপরও আমার জনগণের অধিকার রয়েছে আমার বিষয়ে জানার। অধীনস্থ ৬নং ওয়ার্ডে যেসকল জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে সেসব জমির মালিক যখন অর্থ উত্তোলন করতে যান তখন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি হিসেবে আমাকেই চেক সনাক্ত করে দিতে হয়।
আর এই কাজটিকে কতিপয় দুস্কৃতিকারী গণমাধ্যমকর্মীদের হটকারীমূলক ব্যাখ্যা দিয়ে একটি ভুল বুঝাবুঝির সৃষ্টি করেছে। দ্বিতীয়ত, আমরা পারিবারিকভাবে কিংবা আমি নিজে মহেশখালী এবং হাজীপাড়ায় রেললাইনের জন্য অধিগ্রহণকৃত কোনো জমি ক্রয়বিক্রয় করিনি। কিন্তু উক্ত সংবাদে এধরণের একটি তথ্য আনা হয়েছে। যা সম্পূর্ণভাবে মিথ্যা।
তৃতীয়ত, আমার মালিকানায় একটি গাড়ি থাকার কথা বলা হয়েছে। হ্যাঁ, এটা সত্য তবে গাড়িটি ব্যাংক ঋণে ক্রয় করেছি। নগদ অর্থে গাড়ি কেনার সামর্থ্য আমার নেই। আমাদের দীর্ঘদিনের প্রতিষ্ঠিত সার, বীজ এবং কীটনাশকের ডিলার ব্যবসা রয়েছে এবং পৈত্রিক সূত্রে জমিজিরাতের ব্যবসা রয়েছে। এখান থেকেই মূলত আয় করে গাড়িটির ঋণ পরিশোধ করছি। সুতরাং গাড়ি থাকার বিষয়টি উল্লেখ করা অনেকটাই অতিরঞ্জিত বলে মনে করি। সর্বোপরি সকলের সর্বাঙ্গীন কল্যান কামনা করছি।
গনমাধ্যমকর্মী ভাইদের কোন বিষয়ে না জেনে বিভ্রান্ত মূলক তথ্য উপস্থাপন না করার অনুরোধ করছি , কেননা এই সব বিভ্রান্তমূলক তথ্য আমার সম্মানহানীকর , অন্যথায় আমি আইনী ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবো ।
প্রতিবাদকারীঃ
ওমর ছিদ্দিক লালু,
কাউন্সিলর ৬ নং ওয়ার্ড,
কক্সবাজার পৌরসভা।
প্রতিবেদকের বক্তব্যঃ
সংবাদটি আমরা কক্স ৭১অনলাইন পোর্টাল হতে ডেস্ক নিউজ হিসেবে প্রকাশ করি । উক্ত সংবাদের সম্পূর্ন দায়ভার কক্স ৭১ বহন করিবে ।

পূর্ববর্তী - পরবর্তী সংবাদ
       
                                             
                           
ফেইসবুকে আমরা