বাংলাদেশ, , শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

ক্যাম্পে সিআইসির উপর উচ্ছৃংখল রোহিঙ্গাদের হামলা,আনসারের গুলি।

বাংলাদেশ পেপার ডেস্ক ।।  সংবাদটি প্রকাশিত হয়ঃ ২০২০-০৫-২৯ ০০:০৯:০৫  

এইচ মনছুর আলম
টেকনাফ
কক্সবাজারের কুতুপালং শিবিরের একদল উচ্ছৃংখল রোহিঙ্গা উক্ত শিবিরের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপ-সচিব পদবীর সরকারি কর্মকর্তা ক্যাম্প ইনচার্জ (সিআইসি)-এর ওপর ইট-পাটকেল নিয়ে হামলা চালিয়েছে। অবস্থা বেগতিক দেখে ক্যাম্প ইনচার্জ (সিআইসি)কে রক্ষার জন্য কর্তব্যরত আনসারকে লাঠিচার্জ এবং শেষে গুলিবর্ষণ করতে হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে কুতুপালং ২ নম্বর শিবিরে এ ঘটনা ঘটেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে, রোহিঙ্গাদের অবৈধভাবে গড়ে তোলা দোকানপাট উচ্ছেদ করতে গিয়ে অল্পের জন্য ক্যাম্প ইনচার্জসহ কর্তব্যরত আনসার দলের অস্ত্রশস্ত্র রক্ষা পেয়েছে। কর্তব্যরত ক্যাম্প ইনচার্জ (সিআইসি) খলিলুর রহমান খান একদল পুলিশ ও ক্যাম্পের ব্যবস্থাপনা কমিটির রোহিঙ্গা সদস্যদের নিয়ে অবৈধ দোকানপাট উচ্ছেদ করতে যান।
আনসারের প্রহরায় কয়েকটি দোকান উচ্ছেদ করার সাথে সাথেই রোহিঙ্গারা ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। এক পর্যায়ে শত শত রোহিঙ্গা ইট-পাটকেল ও লাঠিসোটা নিয়ে ঘটনাস্থলে জড়ো হয়ে উচ্ছেদ কার্যক্রমে বাধা দিতে থাকে। ক্যাম্পের শেড মাঝি রফিক গনমাধ্যমকে জানিয়েছেন – বেশ কিছু উচ্ছৃংখল তরুণ রোহিঙ্গা ক্যাম্প ইনচার্জ ও আনসারদের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। তবে আমরা রোহিঙ্গা মাঝিরা উচ্ছৃংখল রোহিঙ্গা তরুণদের নিবৃত্ত করতে পেরেছি।
এ বিষয়ে উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. নিকারুজ্জামান জানিয়েছেন, ক্যাম্প ইনচার্জ কাউকে না জানিয়ে এ ধরনের কাজ করতে যাওয়া অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ ছিল। ভাগ্য ভালো আরো বড় ধরনের ঘটনা থেকে রেহাই পাওয়া গেছে।
অপরদিকে উখিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. নুরুল ইসলাম মজুমদার জানিয়েছেন, ক্যাম্প ইনচার্জ সাহেব পুলিশকে না জানিয়ে কেবল আনসারদের সঙ্গে নিয়ে এত বড় একটি কাজ করতে গেছেন। তবুও আনসারগন দুই রাউন্ড গুলিবর্ষণ করে কোনো রকমে রেহাই পেয়েছে। তিনি জানান, আনসারগণ এ ঘটনায় জড়িত একজন রোহিঙ্গাকে আটক করেছে।


পূর্ববর্তী - পরবর্তী সংবাদ
       
                                             
                           
ফেইসবুকে আমরা