বাংলাদেশ, , শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

কর্ণফুলীতে ছড়িয়ে পড়েছে তেল

বাংলাদেশ পেপার ডেস্ক ।।  সংবাদটি প্রকাশিত হয়ঃ ২০১৯-১০-২৬ ১৮:৫৪:০৫  

কর্ণফুলী নদীতে দুটি জাহাজের সংঘর্ষের পর  তলা ফেটে যাওয়া একটি অয়েল ট্যাংকার থেকে তেল ছড়িয়ে পড়েছে। শুক্রবার থেকে কর্ণফুলী নদীতে ভাসছে তেল। আকস্মিকভাবে ১০ টন জ্বালানি তেল নদীতে পড়ে যাওয়ায় জলজ প্রাণী এবং নদীর পরিবেশ ও প্রতিবেশ মারাত্মক ক্ষতির মুখে পড়েছে।

এদিকে, ছয়টি জাহাজ দিয়ে নদী থেকে আট মেট্রিক টন তেল তুলেছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। তবে জোয়ার-ভাটায় আশপাশে ছড়িয়ে পড়েছে অনেক তেল।ঘটনা তদন্তে তদন্ত কমিটি করেছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।

অয়েল ট্যাংকার থেকে তেল নিঃসরণের ঘটনায় পরিবেশ দূষণের অভিযোগ এনে জাহাজ দু’টির মালিককে হাজির হওয়ার নোটিশ দিয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তর।

চট্টগ্রাম বন্দর কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাপ করে জানা যায়, বৃহস্পতিবার ভোর চারটার দিকে কর্ণফুলী নদীতে বন্দরের ডলফিন জেটির কাছে অয়েল ট্যাংকার দেশ-১ এর সঙ্গে সিটি-৩৮ নামের লাইটারেজ জাহাজের সংঘর্ষ হয়। এতে অয়েল ট্যাংকারটির এক পাশে ফুটো হয়ে তেল নিঃসরণ হতে থাকে। দুর্ঘটনার পরপরই চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের কান্ডারি-৮ জাহাজ গিয়ে অয়েল ট্যাংকার ও লাইটারেজ জাহাজটিকে আটক করে।

এদিকে জাহাজ থেকে তেল নিঃসরণের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় চট্টগ্রাম বন্দরের তৈল বর্জ্য পরিষ্কারকারী জাহাজ বে ক্লিনার-১ ও বে ক্লিনার-২। পাশাপাশি আরো চার জাহাজকে তেল তোলার কাজে নিয়োজিত করে বন্দর।

শনিবার সকাল ১০টা পর্যন্ত জাহাজগুলো নদীতে ভাসতে থাকা মোট আট টন তেল উত্তোলন করে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, দেশ-১ অয়েল ট্যাংকারটি ওই সময় বন্দরের ডলফিন জেটি-৪ থেকে ১ হাজার ২৫০ লিটার ডিজেল নিয়ে খুলনার উদ্দেশে রওনা হয়েছিল। লাইটারেজ জাহাজের সঙ্গে সংঘর্ষের ফলে ট্যাংকারটির একটি ট্যাংক ফুটো হয়ে প্রচুর তেল নদীতে ছড়িয়ে পড়ে।

চট্টগ্রাম বন্দরের ডেপুটি কনজারভেটর ক্যাপ্টেন ফরিদুল আলম জানান, বৃহস্পতিবার ভোররাত চারটার দিকে জাহাজ দুটির সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনার পর থেকে বন্দরের দুটি বে ক্লিনার জাহাজসহ মোট ছয়টি জাহাজ অয়েল ট্যাংকার থেকে পড়ে যাওয়া তেল তুলে নেয়ার কাজ শুরু করে। শনিবার সকাল দশটা পর্যন্ত জাহাজগুলো প্রায় আট টন তেল তেল তুলেছে। বর্তমানে নদীতে ভাসমান আর কোনো তেল নেই। তিনি জানান, জাহাজ দু’টি আটক করে কোস্টগার্ডেও জিম্মায় দেওয়া হয়েছে। পরিবেশ অধিদপ্তরকেও বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে। ঘটনা তদন্তে চট্টগ্রাম বন্দরের পাইলট ক্যাপ্টেন কামরুলকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলেও জানান ডেপুটি কনজারভেটর।

এদিকে পরিবেশ অধিদপ্তরের একটি দল শনিবার দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও সেখান থেকে পানির নমুনা সংগ্রহ করেছেন। তারা বন্দরের দশ নম্বর জেটির বিপরীতে কোস্ট গার্ডের জিম্মায় থাকায় জাহাজ দু’টিও পরিদর্শন করেন।

পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সংযুক্তা দাশ বলেন, অয়েল ট্যাংকার থেকে পড়ে যাওয়া বেশ কিছু তেল বন্দর বিভিন্ন জাহাজ দিয়ে তুলে নিয়েছে। তবে ঠিক কী পরিমাণ তেল নদীতে পড়েছে তা এই মুহূর্তে বলা যাচ্ছে না।

তিনি জানান, জাহাজ দুটির মালিককে রোববার সকাল ১০টায় পরিবেশ অধিদপ্তরে হাজির হওয়ার জন্য নোটিশ দেওয়া হয়েছে। সেখানে এ বিষয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।


পূর্ববর্তী - পরবর্তী সংবাদ
       
                                             
                           
ফেইসবুকে আমরা