বাংলাদেশ, , সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪

ইফতার মাহফিলে বক্তব্য রাখছেন সাইমান বীচ রিসোর্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহবুব উর রহমান

বাংলাদেশ পেপার ডেস্ক ।।  সংবাদটি প্রকাশিত হয়ঃ ২০২২-০৪-২৫ ০২:২৯:২৪  

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

বিশ্বের দীর্ঘতম অখন্ড সমুদ্র সৈকতকে ঘিরে পর্যটন শিল্পের অপার সম্ভবনার কথা তুলে ধরে পর্যটন শিল্প ব্যবসায়ী ও হোটেল সাইমান বীচ রিসোর্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহবুব উর রহমান বলেন, পর্যটনের বিপুল সম্ভবনার কথা চিন্তা করে বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কক্সবাজারকে ঘিরে মহা পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছেন। তাই পর্যটনের ক্ষেত্রে সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি বেসরকারি উদ্যোগকে প্রধান্য দিতে হবে ।

রবিবার (২৪ এপ্রিল) বিশিষ্টজনের সম্মানে আয়োজিত ইফতার ও দোয়া মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেছেন ।

মাহবুব উর রহমান বলেন, প্রকৃতি পাগল মানুষ সুযোগ পেলেই দেশের ভেতরে বাইরে ঘুরে বেড়ায়। কিন্তু অত্যন্ত দু:খের বিষয় কক্সবাজারে প্রাকৃতিভাবে যেসব পর্যটন স্পট রয়েছে এর বাইরে দেখার বা ভ্রমনের কোন কিছুই নেই। নেই কোন শিশু পার্ক, বিনোদনের কোন স্থান কিংবা সিনেপ্লেক্স বা এক্সক্লুসিভ কোন জোন। যেখানে বিদেশী পর্যটকরা একটু সময় কাটানোর সুযোগ পাবেন । এসব সুযোগ না থাকার ফলে ভ্রমন পিপাসু মানুষগুলো দিন দিন কক্সবাজার বিমুখ হচ্ছে । যার বাস্তব প্রমাণ হচ্ছে আসন্ন ঈদ মৌসুমে পূর্বের ন্যায় বুকিং না হওয়া । সরকার যদি এখনই পর্যটন শিল্পের বিকাশ ঘটাতে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে না পারে তবে অনাগত ভবিষ্যতে আমাদের পর্যটন শিল্প মুখ থুবড়ে পড়বে । একবার যদি পর্যটকরা কক্সবাজার ‍বিমুখ হয় তবে আর ফেরানো যাবে না ।

ছবি-ইফতার পার্টিতে উপস্থিত অতিথি।

পর্যটনের এ উদ্যোক্তা বলেন, আমরা নিজস্ব উদ্যোগে কক্সবাজারকে বিশ্বের কাছে তুলে ধরতে চেষ্টা করছি । কিন্তু পর্যাপ্ত সুযোগ পাচ্ছি না । যদি সরকার পর্যটন শিল্প উদ্যোগী প্রতিষ্ঠান সাইমানকে সুযোগ করে দেয় তবে আমরা কক্সবাজারকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যেতে সক্ষম হবো । কারণ সায়মান কর্তৃপক্ষ শুধু ব্যবসায়ী চিন্তা করে না, দেশের উন্নতির ভাগিদার হওয়ার চেষ্টা করে ।

এ উদ্যোক্তা বলেন, সরকার অনুমতি দিলে আমরা সেন্টমার্টিনে মালদ্বীপ এর হোটেলগুলোর আলোকে ইকোট্যুরিজম রিসোর্ট চালু করতে চাই । যেখানে শতভাগ নবায়নযোগ্য সৌরশক্তির ব্যবহার, বৃষ্টির পানি সংগ্রহ ও ব্যবহার, সম্পূর্ণ বায়োলজিক্যাল এসটিপি ব্যবহার করা ছাড়াও রিসোর্ট নির্মাণ করতে পরিবেশ বান্ধব কাঠ, ইস্পাত ও হলোব্রিক ব্যবহার করা হবে। স্থানীয়ভাবে হোটেলের ময়লা রিসাইকেল হবে এবং দ্বীপের পরিবেশ রক্ষায় বিভিন্ন কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহনের করা হবে।

মাহবুব উর রহমান বলেন, যদিও সাইমান কক্সবাজারের সর্বপ্রথম ও সর্ববৃহৎ এসটিপি আছে তথাপিও সায়মান বাংলাদেশের প্রথম হোটেল হিসাবে আগামী ১ মাসের মধ্যে বিশ্বের সর্বশেষ প্রযুক্তিতে নির্মিত বায়োলজিক্যাল এসটিপি চালু করতে যাচ্ছে। যে এসটিপিতে কোন ক্যমিক্যাল ব্যবহার ছাড়াই সম্পূর্ণ বায়োলজিক্যাল পদ্ধত্তিতে পানি পূনরায় ব্যবহার উপযুক্ত এবং বিশুদ্ধ হবে।


পূর্ববর্তী - পরবর্তী সংবাদ
       
                                             
                           
ফেইসবুকে আমরা