বাংলাদেশ, , শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

উন্নয়নের, কক্সবাজার গোলদীঘি !

বাংলাদেশ পেপার ডেস্ক ।।  সংবাদটি প্রকাশিত হয়ঃ ২০২১-১০-০৪ ১৬:২৩:৪৫  

কক্সবাজার  শহরের প্রাণ কেন্দ্র গোলদীঘির পাড়,যেখানে আমি সহ আমাদের অনেকেরই শৈশব থেকেই বেড়ে ওঠা। আমরা ছোট থেকেই গুণীজনে শ্রদ্ধা করে বড় হয়েছি।আমাদের মতো এই এলাকায় প্রায় সব ছেলে মেয়েরাই গুণীজনে শ্রদ্ধা করে সামাজিক সম্প্রীতি ও বন্ধন অটুট রেখেছেন।

কক্সবাজারের গোলদীঘিতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছে। কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ যখন গোলদীঘির পাড় পুকুরের উন্নয়নের কাজে হাত দিলো,তখন অনেক আশা নিয়েই আশায় বুক বেঁধেছিলো এই এলাকার বাসিন্দারা। এই বুজি নিশ্বাস নেয়ার একটা জায়গা পেলো কক্সবাজারবাসী।

উন্নয়ন কাজ শেষ হওয়ার পর সব ঠিকঠাক ভাবেই চলছিলো। মানুষের আনাগোনায় ভরে উঠলো প্রাণপ্রিয় গোলদীঘি চত্বর।মন্ত্রী-এমপি নানা গুণীজনে মূখর হয়ে উঠলো এই চত্বর।করোনায় মানুষ যখন ঘর বন্দী, বিকাল বেলা গোলদীঘির পাড়ে এসেই একটু শান্তি খুঁজে নিতো সাধারণ মানুষ।শিশু থেকে বৃদ্ধ পরিবার নিয়ে ঘুরে বেড়াতো এই চত্বরে।

দুঃখের বিষয় এইযে, সাম্প্রতিক সময়ে স্কুল কলেজ খোলার পর থেকেই দেখা যাচ্ছে এর ভিন্ন রূপ! স্কুল কলেজ যাওয়ার নাম করে মা-বাবার বকে যাওয়া ছেলে মেয়েরা স্কুলের ক্লাস চলাকালীন সময়ে স্কুলের পোষাক পরিহিত অবস্থায় প্রতিদিনই এই গোলদীঘি চত্বরে জমাচ্ছে আড্ডার আসর! আড্ডা চলাকালীন সময়ে তারা চালিয়ে যাচ্ছে অবাধ মেলামেশা,চক্ষু লজ্জা তাদের নেই বললেই চলে।এছাড়াও টি¬কটকের জন্য ভিডিও বানানোর নাম করে জনসম্মুখেই উশৃঙ্খল অঙ্গভঙ্গি ও উদ্দাম নাচ করে বেড়াচ্ছে এই শিক্ষার্থীরা।
এই বিষয়ে এসব বখাটেপনা ছেলে মেয়েদের কেও বাধা দিতে আসলেই বেঁধে যায় বিপত্তি! বাধাদানকারীকে করে তারা নানা ভাবে হেনস্হা ।

তারই ধারাবাহিকতায় আজ ০৪/১০২০২১ ইং তারিখে পৌর প্রিপ্যারাটরি উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শ্রদ্ধেয়, জনাব নুরুল ইসলাম স্যার কিছু বখাটেপনা ছেলে মেয়েদের বাঁধা দেন।এসময় উক্ত বখাটে ছেলে মেয়ে গুলো ক্ষিপ্ত হয়ে স্যারের সাথে অভদ্র আচরণ করে,এবং জানতে চায় আপনি কে?

জনাব নুরুল ইসলাম স্যার নিজের পরিচয় দিলে এবং স্হানীয় কিছু তরুণ এগিয়ে এলে বখাটে শিক্ষার্থীরা দুঃখীত বলে দ্রুত স্হান ত্যাগ করে।

এই ব্যাপারে এক শিক্ষার্থীর অভিভাবকের সাথে কথা বললে তিনি বলেন,ছেলে মেয়েরা স্কুলে যাওয়ার নাম করেই বাসা থেকে বের হয়।আমরা থাকি সারাদিন কর্মব্যস্ত,এর মধ্যে স্কুল ফাঁকি দিয়ে ছেলে মেয়েরা কোথায় যায় না যায় তা খোঁজ নেয়া অনেক দুষ্কর!তাদের পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার জন্যই আমাদের এত কষ্ট করে যাওয়া, তারা যদি সেটা বুঝতে না পারে খুবই দুঃখজনক!

কউক,কক্সবাজার জেলা পুলিশ, স্কুল কলেজের শিক্ষক বৃন্দ,অভিভাবক ও সচেতন মহল যদি সচেতন না হয়,তবে এই গোল দিঘির পাড়ের সৌন্দর্যের সাথে সাথে শৃঙ্খলা রক্ষা করাও মুশকিল হয়ে পড়বে।
তাই যত দ্রুত সম্ভব কক্সবাজারের প্রশাসন ও সচেতন মহলকে সাথে নিয়ে গোলদীঘির পাড়ের সৌন্দর্য ও শৃঙ্খলা রক্ষা করে স্কুল কলেজের বকে যাওয়া শিক্ষার্থীদের বিপথগামী হওয়া থেকে রক্ষা করতে হবে।

লেখক

জাহাঙ্গীর আলম, কক্সবাজার।


পূর্ববর্তী - পরবর্তী সংবাদ
       
                                             
                           
ফেইসবুকে আমরা