তৃতীয় দফায় স্বেচ্ছায় নোয়াখালীর ভাসানচরের পথে রওনা দিয়েছেন তিন হাজার রোহিঙ্গা।
কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফের বিভিন্ন শিবির থেকে বৃহস্পতিবার দুপুরে ক্যাম্প ছেড়েছে রোহিঙ্গাদের একটি দল। তাদের চট্টগ্রামের উদ্দেশে নিয়ে যাওয়া হবে।
পরে বিকালে আরও ১২টি বাসে চট্টগ্রামের পথে বের হওয়ার কথা রয়েছে। শুক্রবারও এ প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কক্সবাজার অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার শামসুদ্দৌজা নয়ন।
তিনি জানান, স্বেচ্ছায় যেতে আগ্রহী এমন প্রায় পাঁচ হাজার রোহিঙ্গার তালিকা তৈরি করা হয়েছে। প্রথমে শিবির থেকে চট্টগ্রামে নৌবাহিনীর জেটিঘাটে, পরে সেখান থেকে ট্রলারে করে রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে নিয়ে যাওয়া হবে।
জানা গেছে, উখিয়া ও টেকনাফের ৩৪টি রোহিঙ্গা শিবিরে ১১ লাখের অধিক রোহিঙ্গা রয়েছে। তাদের মধ্যে ভাসানচরে যেতে ইচ্ছুকরা সংশ্লিষ্ট শিবিরে দায়িত্বরত সরকারি কর্মকর্তার (সিআইসি) নিকট তালিকা জমা দিয়েছেন।
স্বরাষ্ট্র, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের তথ্যানুযায়ী, সরকার এক লাখ রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে স্থানান্তরের পরিকল্পনা নিয়েছে। এর অংশ হিসেবে এ পর্যন্ত দুই দফায় ৪০৬টি পরিবারকে সেখানে স্থানান্তর করা হয়েছে।
এর আগে গত ৪ ডিসেম্বর প্রথম ধাপে এক হাজার ৬৪২ জন এবং ২৯ ডিসেম্বর দ্বিতীয় ধাপে এক হাজার ৮০৪ জনসহ মোট তিন হাজার ৪৪৭ রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে নিয়ে যাওয়া হয়।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট পরবর্তী মিয়ানমারে নির্যাতন ও নিপীড়নের শিকার হয়ে এ দেশে পালিয়ে আশ্রয় নেয় ১০ লক্ষাধিক রোহিঙ্গা। এসব রোহিঙ্গা কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফের ৩৪টি ক্যাম্পে আশ্রয় নেয়