বাংলাদেশ, , শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

সুগন্ধা ৫২ স্থাপনা উচ্ছেদে ব্যবসায়ী ও পুলিশের মুখোমুখি সংঘর্ষ, সাংবাদিকসহ ১০ জন আহত

বাংলাদেশ পেপার ডেস্ক ।।  সংবাদটি প্রকাশিত হয়ঃ ২০২০-১০-১৭ ১৮:৪৪:৩৮  

কক্সবাজারের কলাতলী সুগন্ধা পয়েন্টের সেই ৫২ জনের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে গিয়ে ব্যবসায়ী ও পুলিশের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে সংবাদকর্মী নুরুল করিম রাসেল, শাহ আলম ও ইকবাল বাহার এবং দুই পুলিশ সদস্যসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে। ব্যবসায়ীদের নিক্ষেপ করা ইটপাটকেলে তারা আহত হন।

শনিবার (১৭ অক্টোবর) বিকাল ৩ টার দিকে বুল্ডোজার দিয়ে দোকানপাটগুলো গুড়িয়ে দেয়ার মুহূর্তে এ ঘটনা ঘটে। তবে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত সেখানে উচ্ছেদ অভিযান চলছে। কক্সবাজার জেলা প্রশাসন ও কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ যৌথ অভিযান পরিচালনা করে।

অভিযানে ছিলেন- কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সচিব আবু জাফর রাশেদ, কক্সবাজার সদর সহকারি কমিশনার (ভূমি) মুহাম্মদ শাহরিয়ার মোক্তার, কক্সবাজার সদর মডেল থানার ওসি শেখ মুনির উল গীয়াসের নেতৃত্বাধীন টিম।

তবে, অভিযানে গিয়ে ব্যবসায়ীদের প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হয় প্রশাসনের যৌথ টিম। ব্যবসাযীদের বিক্ষোভ থামাতে ফাঁকা গুলি, রাবারবুলেট ও টিয়ারশেল ছুঁড়ে পুলিশ।

এবিষয়ে কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রফিকুল ইসলাম শনিবার (১৭ অক্টোবর) বিকাল ৫ টায় বলেন, এখনো অভিযান চলছে। অভিযান শেষ হওয়ার পর বিস্তারিত জানানো হবে।

এর আগে শনিবার সকাল থেকে এসব দোকানদার ও ব্যবসায়ীরা জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করেন সুগন্ধা পয়েন্টে। তারা নানান শ্লোগানও দেন সেখানে। তবে গত বৃহস্পতিবার সকালে এসব স্থাপনা উচ্ছেদে গিয়েছিল কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ও জেলা প্রশাসনে। উচ্ছেদে বাধা দেন ব্যবসায়ীরা। এমনকি ব্যবসায়ীরা মালামাল সরিয়ে নিতে সময়ও চেয়ে নেন। শনিবার (১৭ অক্টোবর) সকাল পর্যন্ত তাদের সময় দেয়া হয়েছিল প্রশাসনের পক্ষ থেকে। সময় শেষ হওয়ায় দুপুরের পর সেখানে অভিযান যান জেলা প্রশাসন ও কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তপক্ষ।

সূত্র মতে, গত ১ অক্টোবর সমুদ্র সৈকতের কলাতলীর সুগন্ধা পয়েন্টে ৫২ জনের স্থাপনা উচ্ছেদে হাইকোর্টের দেওয়া রুল ও স্থগিতাদেশ খারিজ করে দিয়েছেন আপিল বিভাগ। ভূমি মন্ত্রণালয় ও রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার (০১ অক্টোবর) প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন ভার্চুয়াল আপিল বেঞ্চ এ রায় দেন।

ফলে ওই ৫২ ব্যক্তির স্থাপনা উচ্ছেদে কোনো বাধা না থাকায় কক্সবাজার জেলা প্রশাসন ও কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ যৌথভাবে সুগন্ধা পয়েন্টের এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের উদ্যোগ নেয়।

জানা যায়, কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের কলাতলী সুগন্ধা পয়েন্টে বিভিন্ন অবৈধ স্থাপনা পৌরসভার ট্রেড লাইসেন্সধারী ব্যক্তিরা পরিচালনা করে আসায় কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ২০১৮ সালের ১০ এপ্রিল উচ্ছেদের নোটিশ দেয়। পরে জসিম উদ্দিনসহ ৫২ জন একটি রিট আবেদন দায়ের করেন। একই বছরের ১৬ এপ্রিল হাইকোর্ট রুল জারি করে স্থগিতাদেশ দেন।

এর বিরুদ্ধে ভূমি মন্ত্রণালয় ও রাষ্ট্রপক্ষ আপিল বিভাগে আবেদন করে। বৃহস্পতিবার (১ অক্টোবর) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে আপিল বিভাগ শুনানি শেষে হাইকোর্টের রুল ও স্থগিতাদেশ খারিজ করে রায় দেন।


পূর্ববর্তী - পরবর্তী সংবাদ
       
                                             
                           
ফেইসবুকে আমরা