বাংলাদেশ, , শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

চট্টগ্রামের ব্যবসায়ীর কাছ থেকে কোটি টাকা হাতিয়ে নেন সাহেদ।

বাংলাদেশ পেপার ডেস্ক ।।  সংবাদটি প্রকাশিত হয়ঃ ২০২০-০৭-১৬ ১২:১৪:৩৯  

নিউজ ডেস্কঃ
ঢাকা সিটিতে মেগা ব্র্যান্ডের ২০০ সিএনজি থ্রি হুইলার গাড়ি চলাচলের ‘ভুয়া’ অনুমতিপত্র দিয়ে কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন রিজেন্টের মালিক সাহেদ করিম। চট্টগ্রামের গাড়ি, গাড়ির টায়ার ও যন্ত্রাংশ আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ‘মেসার্স মেগা মোটরস’-এর পরিচালক জিয়া উদ্দিন মোহাম্মদ জাহাঙ্গীরের কাছ থেকে এ টাকা হাতিয়ে নেয়া হয়।
তিন বছর আগে প্রতারণার মাধ্যমে নেয়া এ টাকা ফেরত চাইলে মেরে ফেলার হুমকি দেন সাহেদ। এ ঘটনায় চট্টগ্রামের ডবলমুরিং থানায় মামলা করেছেন ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী মোহাম্মদ জাহাঙ্গীরের চাচাতো ভাই মো. সাইফুদ্দিন। ওই মামলায় রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান প্রতারক সাহেদ করিম ছাড়াও আসামি করা হয়েছে শহিদুল্লাহ নামে তার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের এক কর্মচারীকে। ডবলমুরিং থানা পুলিশ ইতোমধ্যে এ মামলার তদন্ত শুরু করেছে। মামলায় সাহেদকে ‘শ্যোন অ্যারেস্ট’ দেখাতে আদালতে আবেদন করা হবে বলে পুলিশ জানিয়েছে। তাকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলেও জানিয়েছেন ডবলমুরিং থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জহির হোসেন।
১৩ জুলাই ডবলমুরিং থানায় দায়ের করা মামলার এজাহারে বলা হয়, আসামি শহিদুল্লাহর মাধ্যমে সাহেদ করিমের সঙ্গে সাইফুদ্দিনের পরিচয় হয়। এ সময় সাহেদ জানান, সাইফুদ্দিন ও জাহাঙ্গীরের প্রতিষ্ঠান ‘মেসার্স মেগা মোটরস’-এর আমদানি করা মেগা ব্র্যান্ডের সিএনজি থ্রি হুইলার ঢাকা সিটিতে চলাচলের রুট পারমিটসহ আনুষঙ্গিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য অনুমতি নিয়ে দিতে পারবেন তিনি। অনুমতি পাইয়ে দেয়ার চুক্তিমতে, সাহেদের রিজেন্ট কেসিএস লিমিটেডের প্রিমিয়ার ব্যাংক ঢাকা এভিনিউ গেট শাখার হিসাব নম্বর ১৬৬-১১১-০০০০০২৬৮-এ তারা ২০১৭ সালের ২২ জানুয়ারি ৩০ লাখ টাকা, একই বছরের ২৫ জানুয়ারি প্রিমিয়ার ব্যাংক চট্টগ্রাম আগ্রাবাদ শাখার মাধ্যমে ৪ লাখ ৭৫ হাজার টাকা, ৩০ জানুয়ারি ৫ লাখ টাকা, ১ ফেব্রুয়ারি ৫ লাখ টাকা, ১৩ ফেব্রুয়ারি ৬ লাখ টাকা, ১৬ ফেব্রুয়ারি ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা, ২০ ফেব্রুয়ারি ২ লাখ টাকা, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২ লাখ টাকা, ৫ মার্চ ১ লাখ টাকাসহ ৫৯ লাখ ২৫ হাজার টাকা দেন সাইফুদ্দিন ও জাহাঙ্গীর। পাশাপাশি নগদ ৩২ লাখ টাকাও দেন তারা। সব মিলিয়ে সাহেদকে তারা ৯১ লাখ ২৫ হাজার টাকা দিয়েছেন।

মামলার বাদী মো. সাইফুদ্দিন বলেন, ‘টাকা নেয়ার পর আমাদের প্রতিষ্ঠান ‘মেগা মোটরস’-এর বরাবর ২০১৭ সালের ৫ মার্চ বিআরটিএ চেয়ারম্যান কর্তৃক স্বাক্ষরিত একটি পরিপত্রের ফটোকপি প্রদান করা হয়। সেখানে ২০০টি সিএনজি থ্রি হুইলার ঢাকা মেট্রোপলিটনে চলাচলের জন্য রেজিস্ট্রেশনের অনুমোদন দেয়ার উল্লেখ আছে। পরবর্তী সময়ে বিআরটিএ কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে দেখি পরিপত্রটি ভুয়া। গাড়ি চলাচলের অনুমোদনের কোনো ফাইল বিআরটিএ অফিসে নেই। এরপর টাকা ফেরত চাইলে আমাদের মেরে ফেলার হুমকি দেন সাহেদ। তার ভয়ে আমরা এতদিন মামলা করার সাহস পাইনি। টাকা হারিয়ে আমার জেঠাতো ভাই জিয়া উদ্দিন মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর এখন গুরুতর অসুস্থ।’

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডবলমুরিং থানার এসআই মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘মামলার তদন্ত চলছে। ইতোমধ্যে সাহেদ করিমকে ব্যাংকের মাধ্যমে দেয়া টাকার রসিদসহ বিভিন্ন ডকুমেন্ট ও তথ্য সংগ্রহ করেছি। সাহেদ করিমকে এ মামলায় শ্যোন অ্যারেস্ট দেখানোর জন্য আদালতে আবেদন করা হবে। পরবর্তী সময়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে রিমান্ড আবেদন করা হবে।’
সুত্রঃযুগান্তর


পূর্ববর্তী - পরবর্তী সংবাদ
       
                                             
                           
ফেইসবুকে আমরা