বাংলাদেশ, , শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

সাতক্ষীরায় বিকাশ কেয়ার সেন্টার কর্তৃক গ্রাহক সেবার নামে ব্যাপক হয়রানির অভিযোগ-।

বাংলাদেশ পেপার ডেস্ক ।।  সংবাদটি প্রকাশিত হয়ঃ ২০২০-০৬-১৬ ১০:০৬:২৮  

আজহারুল ইসলাম সাদী, সাতক্ষীরা প্রতিনিধিঃ
সাতক্ষীরা জেলার একমাত্র বিকাশের গ্রাহক সেবা কেন্দ্র, জজ কোর্টের গেটের সম্মুখে অবস্থিত শামীম এন্টার প্রাইজের তত্বাবধানে বিকাশ কেয়ার সেন্টার অবস্থিত।
বর্তমানে সরকার কর্তৃক ছাত্র- ছাত্রীদের উপর বরাদ্দকৃত উপবৃত্তির টাকা এখান থেকে তুলতে ব্যাপক হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে বলে শত শত ভুক্তভোগী গ্রাহক, উপকারভূগী ছাত্র-ছাত্রী তথা জেলার সর্বপ্রান্ত থেকে আসা অবিভাবকের বিস্তর অভিযোগ।
হয়রানির শিকার ভুক্তভোগীদের নানা অভিযোগ গুলি নিম্নোক্তঃ
তাদের নামে উপবৃত্তি দেয়ার জন্য তর্থাদী ও কাগজ পত্র, বিকাশের কেন্দ্রীয় অফিসে জমা দেয়ার কথা থাকলে ও গাফিলতির কারনে সে গুলি জমা না দেয়ার ফলে বর্তমানে ছাত্র- ছাত্রীদের সরকার কর্তৃক পাওয়া বিকাশের মাধ্যমে টাকা উত্তোলন করতে পারছে না?
নানা সমস্যার কারণে তাদের আসতে হচ্ছে সাতক্ষীরা জেলার একমাত্র বিকাশ কেয়ার সেন্টার এ।
দুর দুরান্ত থেকে এসে ও তারা সুস্থ্যভাবে তাদের একাউন্ট সমস্যা ঠিক করে টাকা উত্তোলন করতে পারছে না?
পোহাতে হচ্ছে একাধিক দিনের ভোগান্তি!
কয়েকদিন যাবৎ সাতক্ষীরা জজ কোটের সদর গেটের সম্মুখে অবস্থিত শামীম এন্টারপ্রাইজ এর তত্ত্বাবধানে অবস্থিত বিকাশ কেয়ার ঘুরে লক্ষ করা গেছে ব্যাপক ভীড়ের।
তাদের সমবেত হয়ে ভীড় করার কারণ জানতে চাইলে তারা বলেন।
আমরা জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বাচ্চাদের নিয়ে সেই ভোর ৪/৫ টা থেকে সিরিয়ালে নাম লেখাতে হাজির হয়েছি।
পরবর্তীতে দুপুরের সময় ও দেখা যাচ্ছে সেই ব্যক্তিসহ তার বাচ্চাটি বিকাশের (১০ মিনিটের সেবা না পেয়ে অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে আছে?)
আবার বিকাল ৪টার পরেও সেই একই ব্যাক্তিকে দেখা যায় বিষন্ন ভগ্নহৃদয়ে দাঁড়িয়ে আছে উপবৃত্তির টাকা তোলা ও কোড লক ইত্যাদি সমস্যা থেকে উদ্ধার হতে না পেরে?
ব্যর্থ হয়ে এক সময় তারা বিষন্নমনে বাড়ির পথে রওয়ানা দিচ্ছে পরের দিন আবার অতি ভোরে এসে সিরিয়ালে নাম লিখিয়ে লাইনে দাঁড়ানোর অপেক্ষার জন্য।
এমনিভাবে বিকাশ কেয়ার সেন্টার এর কর্মচারী দের মুখ থেকেও শুনতে পাওয়া যাচ্ছে আপা ভাইয়া আপনারা ১/২ ঘন্টা দাঁড়িয়ে থাকতে পারছেন না?
এদিকে অনেকেই ৩/৪ দিন লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে ও ফিরে যাচ্ছে কাজ উদ্ধার করতে না পেরে?
এ প্রসঙ্গে এ প্রতিবেদক কয়েকদিন ঘন্টার পর ঘন্টা বিষয়টি ফলো করে বিকাশ কেয়ার সেন্টারের শামীম বা তার কর্মচারীদের কাছে জানতে চাইলে তারা কোন সদুত্তর দিতে পারিনি?
অথচ নিজেদের স্বজনদের ভিতরে ঠাসাঠাসি করে বসিয়ে সামাজিক দুরত্ব বজায় না রেখে সিরিয়াল বা লাইনে অপেক্ষা ছাড়া নির্বিঘ্নে কাজ সমাধান করে দিচ্ছে?
অথচ কয়েকদিন ঘুরাঘুরি করে সিরিয়ালে নাম লিখিয়ে, লাইনে দাঁড়িয়ে এ দৃশ্য অবকোলন করা ছাড়া অনেকের কোন উপায় থাকছে না?
কেউ কেউ স্বজন প্রিতির কারণের প্রতিবাদ করলে ও অকর্থ ভাষায় দুর্ব্যাবহার করা হচ্ছে তাদের প্রতি?
আরেকজনের যিনি ৩ দিন হাঁটছে সেখানে প্রথম দিন উপবৃত্তিভূগি ছাত্রটিকে তারা জানান তোমার আব্বার আইডি কার্ড ও ছবি নিয়ে আসতে বলবে।
সেঅনুযায়ী ছাত্রটি এই করোনা পরিস্থিতির মধ্যে পরের দিন তার পিতাকে নিয়ে আসেন, কয়েক ঘন্টা অপেক্ষা করে তারা ব্যর্থ মনোরথে ফিরে যান।
পরের দিন অতিভোরে এসে সিরিয়ালে নাম লিখিয়ে দাঁড়িয়ে থাকেন।
নিদিষ্ট সময়ে দুপুর ২ টায় সিরিয়াল আসে, সিরিয়াল অনুযায়ী গিয়ে দাঁড়ানো মাত্র এক কর্মচারী বলেন ছাত্রকে তার স্কুলের প্রধান শিক্ষক কর্তৃক প্রত্যায়ন আনতে বলেন?
১০ টাকা নিয়ে একটা প্রত্যায়ন ফরম দেয়া হলো বলা হলো এটা স্কুল থেকে পুরণ করে আনেন।
তার পর স্কুলের প্রধান শিক্ষক কর্তৃক প্রত্যায়ন আনিয়ে বলছে দুজনের ছবি লাগবে।
আইডি কার্ড এর ফটোকপি ও ছাত্রের জন্মনিবন্ধন, সেগুলি এনে
৩/৪ দিনের ভোগান্তির পর সরাসরি কম্পিউটার অপারেটর এর কাছে সব কাগজ পত্র জমা দেয় কিন্তু ১০ মিনিটের মধ্যে কাজ সমাধান ও টাকা উত্তোলন করতে পারলেও কোন কাগজ পত্র, ছবি, স্কুল প্রত্যায়ন কিছুই ছাড়াই কাজ সমাধান হলেও কর্মচারীদের ৪ দিন যাবৎ যে হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে তাহাতে সরকার কর্তৃক যে উপবৃত্তি দেয়া হচ্ছে সেটা কারো কারো খরচ হয়ে যাচ্ছে?
এ বিষয়ে আলাপ করতে বিকাশ কেয়ার এর প্রধান শামীমকে ফোনে কয়েকদিন না পাওয়া গেলেও সরাসরি তাকে বিষয় গুলি জানালে তিনি বিষয় টি আমলে না নিয়ে হাসতে হাসতে সেসব কর্মচারীদের সাথে আলাপরত থাকতে দেখা যায়।
কয়েকদিন পর্যবেক্ষণ করে এ তর্থ সংগ্রহ করে আরো জানা গেছে বিকাশ কেয়ার কর্তৃপক্ষ গ্রাহক সেবার জন্য কোন সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখতে পদক্ষেপ গ্রহণ করছে না?
নামে কয়েকটা চক্রাকারে গোলক চিহ্ন দিয়ে রাখছে মাত্র।
যারপ্রেক্ষিতে সামাজিক দুরত্ব বজায় না রেখে জনসমাগম ঘটানোর কারণে গত বুধবার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক জরিমানা গুনতে হয়েছে তাদেরকে।
তার পরে ও তারা গ্রাহকদের সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখতে কোন পদক্ষেপ নিচ্ছে না?
একাধিক গ্রাহক উপবৃত্তিভোগী ছাত্র-ছাত্রী বা তাদের ভুক্তভোগী পিতা মাতার বলতে শোনা যায় উপবৃত্তির টাকা আগে ডার্চ বাংলা ব্যাংকের মাধ্যমে দেয়া হতো সেখানে এতো ভোগান্তি পোহাতে হতো না?


পূর্ববর্তী - পরবর্তী সংবাদ
       
                                             
                           
ফেইসবুকে আমরা