বাংলাদেশ, , রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪

মেসি ম্যাজিকে ফাইনালে আর্জেন্টিনা

বাংলাদেশ পেপার ডেস্ক ।।  সংবাদটি প্রকাশিত হয়ঃ ২০২২-১২-১৪ ০৩:১৭:৪৬  

নিজের দিনে লিওনেল মেসি কতটা ভয়ঙ্কর, আরও একবার তার সাক্ষী হলো ফুটবল বিশ্ব। বল পায়ে অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠলেন আর্জেন্টিনা অধিনায়ক। সঙ্গে জোড়া গোলের আলো ছড়ালেন তরুণ হুলিয়ান আলভারেস। ক্রোয়েশিয়াকে গুঁড়িয়ে কাতার বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠল লিওনেল স্কালোনির দল।

লুসাইল স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার রাতে ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে সেমি-ফাইনালে গোল করলেন মেসি, করালেনও। একই সঙ্গে গড়লেন কয়েকটি রেকর্ড। মেসিময় ম্যাচে ৩-০ গোলের জয়ে শিরোপা লড়াইয়ে উঠল আর্জেন্টিনা।

২৫তম মিনিটে ম্যাচে প্রথম উল্লেখযোগ্য সুযোগটি পায়। তবে এনসো ফের্নান্দেসের শট ঝাঁপিয়ে ঠেকিয়ে দেন গোলরক্ষক দমিনিক লিভাকভিচ।

নকআউট পর্বের প্রথম দুই ধাপে দলের জয়ের নায়ক লিভাকভিচ সাত মিনিট পর করে ফেলেন মস্তবড় ভুল। মাঝমাঠ থেকে উড়ে আসা বল বক্সের মুখে বুক দিয়ে আলতো করে সামনে বাড়ান আলভারেস। ঠিক ওই সময় ছুটে এসে তাকে ফাউল করে বসেন ক্রোয়াট গোলরক্ষক। পেনাল্টির বাঁশি বাজাতে দ্বিতীয়বার ভাবতে হয়নি রেফারিকে। গোলরক্ষককে দেখান হলুদ কার্ডও।

বুলেট গতির স্পট কিকে ঠিকানা খুঁজে নেন মেসি। বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলার রেকর্ড ছোঁয়ার দিনে গড়ে ফেললেন আরেক রেকর্ড; গাব্রিয়েল বাতিস্তুতাকে ছাড়িয়ে বিশ্ব সেরার মঞ্চে আর্জেন্টিনার সর্বোচ্চ গোলদাতা এখন মেসি, ১১টি।

এবারের বিশ্বকাপে তার গোল হলো ৫টি, গোল্ডেন বুটের লড়াইয়ে আগে থেকে শীর্ষে থাকা কিলিয়ান এমবাপের পাশে বসলেন তিনি।

ক্যারিয়ারে মেসির মোট গোল হলো ৯৬টি।

এগিয়ে গিয়ে যেন খুঁজে ফেরা আত্মবিশ্বাস ফিরে পায় আর্জেন্টিনা। বাড়াতে থাকে চাপ। পাঁচ মিনিট পরেই মিলে যায় দ্বিতীয় গোল।

মেসির পাস পেয়ে মাঝমাঠের আগে থেকে দৌড় দেন আলভারেস। সব বাধা পেরিয়ে বক্সের মুখে অবশ্য হারাতে বসেছিলেন পজেশন, তবে প্রতিপক্ষের পায়ে লেগে ফেরা বল দারুণ এক টোকায় সামনে বাড়ান। ওখানেও দলকে বাঁচানোর সুযোগ ছিল ডিফেন্ডার বোর্না সোসার সামনে; কিন্তু তার দুর্বল শটে বল লাগে আলভারেসের বুকে, এরপর ঠাণ্ডা মাথায় ডান পায়ের শটে গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন ম্যানচেস্টার সিটির ফরোয়ার্ড।

৪২তম মিনিটে ব্যবধান আরও বাড়িয়ে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিতে পারত আর্জেন্টিনা। মেসির কর্নারে আলেক্সিস মাক আলিস্তেরের হেড লক্ষ্যেই ছিল, দারুণ ক্ষিপ্রতায় বল ঠেকিয়ে দলকে লড়াইয়ে রাখেন লিভাকভিচ।

৫৮তম মিনিটে ব্যবধান বাড়ানোর দারুণ সুযোগ তৈরি করেন মেসি। তবে ছয় গজ বক্সের বাঁ দিক থেকে শট নিতে গিয়ে কিছুটা ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেন তিনি, ঠেকিয়ে দেন লিভাকভিচ। তিন মিনিট পর অন্যপাশের ডি-বক্সে সুযোগ তৈরি করে ক্রোয়েশিয়া; তবে জটলার মধ্যে ঠিকঠাক হেড নিতে পারেননি লভরেন।

জয়-পরাজয় নিয়ে অনিশ্চয়তা যতটুকু ছিল, তা প্রায় শেষ হয়ে যায় ৬৯তম মিনিটে। মেসির জাদু আর আলভারেসের অনায়াস ফিনিশিংয়ে।

অসাধারণ নৈপুন্যে ডান দিক থেকে বল পায়ে এগিয়ে গেলেন মেসি, সঙ্গে পুরোটা সময় লেগে রইলেন ইয়োস্কো গাভারদিওল, অনেকের মতে যে আসরের সেরা ডিফেন্ডার। বক্সে ঢোকার মুখে মেসি থামলেন, করণীয় ঠিক করলেন, ঘুরলেন, এক ঝটকায় একটু এগিয়ে বাইলাইন থেকে বল বাড়ালেন ছয় গজ বক্সে। বাকিটা অনায়াসে প্লেসিং শটে সারলেন আলভারেস।

(বিস্তারিত আসছে)


পূর্ববর্তী - পরবর্তী সংবাদ
       
                                             
                           
ফেইসবুকে আমরা