বাংলাদেশ, , শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

মিয়ানমার থেকে উড়ে এসে বাংলাদেশে পড়ল মর্টার শেল : সীমান্ত এলাকায় আতংক

বাংলাদেশ পেপার ডেস্ক ।।  সংবাদটি প্রকাশিত হয়ঃ ২০২২-০৮-২৮ ২১:৪০:১৬  

বিশেষ প্রতিনিধি :

বাংলাদেশ-মায়ানমার সীমান্তের জিরো পয়েন্ট সংলগ্ন ঘুমধুম এলাকার জনবসতিতে বোমা সদৃশ্য বস্তু আছড়ে পড়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে বোমা সদৃশ্য বস্তু দুটি মর্টার শেল।

রবিবার (২৮ আগস্ট) বিকেল ৩ টার দিকে মায়ানমার থেকে নিক্ষেপিত দুইটি মর্টার শেল নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু উত্তর মসজিদের কাছে আছড়ে পড়ে।

এতে হতাহতের ঘটনা না ঘটলেও আতংক বিরাজ করছে স্থানীয় গ্রামবাসীদের মাঝে।

মোহাম্মদ আনিস নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, ” বিকেলে বিকট শব্দে গোলাটি উত্তর পাড়ার আয়াজের বাড়ির কাছে এসে পড়ে। পরে আরো একটি গোলা কাছাকাছি রাস্তায় নিক্ষেপ করা হয়। আমরা আতংকে আছি, জানিনা কখন কি হয়।”

ঘুমধুম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ মুঠোফোনে বলেন, ” গত দুই সপ্তাহ ধরে ওপারে গোলাগুলি হচ্ছে। বিভিন্ন সুত্রে জেনেছি রাখাইনে মায়ানমার সেনাবাহিনী ও আরাকান আর্মির মধ্যে সংঘর্ষ চলছে। এতদিন পাহাড়ে গোলা ছুড়লেও আজকে উত্তর পাড়ায় মর্টারশেল গুলো পড়েছে, স্থানীয়রা আতংকে আছে।”

ঘটনাস্থলে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যরা অবস্থান নিয়েছে বলে জানান তিনি।

বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুনঃ 01857671943

এদিকে বিজিবির হেড কোয়ার্টারের পরিচালক অপারেশন মেজর ফয়েজুর রহমান জানান, সীমান্তে কঠোর নজরদারি করা হচ্ছে। যেকোনো পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে সীমান্তে কর্মরত বিজিবির জোয়ানেরা।

রবিবার দুপুরে বাজার সদাইয়ের জন্য নিকটবর্তী উখিয়ার কুতুপালং বাজারে আসেন ঘুমধুম উত্তর পাড়ার বাসিন্দা আবুল কালাম (৩৫)। মুঠোফোনে নিজের এলাকায় মর্টার শেল পড়ার খবর পেয়ে পরিবারের জন্য দুশ্চিন্তায় ভুগছিলেন তিনি।

তিনি বলেন, ” ফোনে ভাই খবর দিলো বোমা পড়ছে। আমি তাকে বলেছি পরিবার নিয়ে এদিকে চলে আসতে, চিন্তা করছি এখানে (কুতুপালং) আত্নীয়ের বাসায় থাকবো।”

এদিকে, রাখাইনে উত্তেজনার কারণে ঘুমধুমের দক্ষিণ কোনাপাড়া সীমান্তের শূন্যরেখায় বাস করা ৬২১ টি পরিবারের ৪ হাজার ২০০ রোহিঙ্গারাও আতংকিত হয়ে পড়েছেন।

শূন্য রেখার আশ্রয় শিবিরে বাস করা রোহিঙ্গা আবুল হাকিম (৫৩) বলেন, ” হঠাৎ করেই রাখাইনে তুমুল সংঘর্ষ হচ্ছে, আমরা আতংকে আছি কখন জানি আমাদের হতাহত হতে হয়। মায়ানমারের বিজিপি চৌকি বসিয়ে আমাদের নজরদারি করছে, নিজ দেশে আদৌ ফেরত যাবো কিনা জানি না।”

আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম ইরাবতী তে সম্প্রতি প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশ- মায়ানমার সীমান্তে মায়ানমারের উত্তর মংডুর ৩৮ নং সীমান্ত পোস্ট সংলগ্ন এলাকায় মায়ানমারের সেনাবাহিনী ও রাখাইনের বিচ্ছিন্ন বাদী সংগঠন আরাকান আর্মির মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ হয়েছে।

এছাড়াও রাখাইনের পালেতুয়া এলাকায় সংঘর্ষে কমপক্ষে ৩৭ জন মায়ানমারের সেনাসদস্য নিহত হয় বলে উল্লেখ করা হয় এই প্রতিবেদনে।


পূর্ববর্তী - পরবর্তী সংবাদ
       
                                             
                           
ফেইসবুকে আমরা