বাংলাদেশ, , বৃহস্পতিবার, ২ মে ২০২৪

ভাড়াটিয়ার হামলায় খুরুলিয়ার ইঞ্জিঃ সাইফুল ইসলাম গুরুতর আহত।

বাংলাদেশ পেপার ডেস্ক ।।  সংবাদটি প্রকাশিত হয়ঃ ২০২২-০৪-০৭ ০৮:১২:৪১  

বিশেষ প্রতিনিধিঃ

ঝিলংজা ইউনিয়নের খরুলিয়ার মাস্টার পাড়ায় পুকুর ভাড়াটিয়া কর্তৃক হামলায় জমির মালিক গুরুতর জখম হয়েছে বলে জানা যায়।

বুধবার (৬ এপ্রিল) বিকাল সাড়ে ৩ টার দিকে খরুলিয়া মাস্টার পাড়ার আমিন শরীফের ছেলে ইঞ্জিঃ সাইফুল ইসলামকে একই এলাকার কবির আহমদ প্রকাশ বান্ডু ড্রাইভারের ছেলে আজিজুল হক,আমিনুল হক,জিয়াউল হক ও নজির আহাম্মদ মিস্ত্রীর ছেলে কলিম উল্লাহর নেতৃত্বে ৮/১০ জনের একটি সন্ত্রাসী দল নিয়ে এই ঘটনা সংঘটিত করেছে বলে জানা যায়।

ঘটনার সূত্রে প্রকাশ ইঞ্জিঃ সাইফুল ইসলামের মেজ ভাই প্রবাসী সলিমুল্লাহর মালিকানাধীন একটি পুকুর ও তৎসংলগ্ন জমি স্থানীয় কবির আহমদ প্রকাশ বান্ডু ড্রাইভারের ছেলে আজিজুল হক মাছ চাষ করার কথা বলে ভাড়া নেয়। ভাড়া নামার শর্ত অনুযায়ী যে টাকা মালিককে পরিশোধ করার কথা ছিল সেই টাকা দীর্ঘ ১০ মাস ধরে পরিশোধ না করায় ইঞ্জিঃ সাইফুল ইসলাম পুকুরটি ফেরত দিতে মৌখিক জানালে ভাড়াটিয়া আজিজুল হক এতে ক্ষিপ্ত হয়ে মালিক পক্ষকে জায়গায় না যাবার জন্য নিষেধ করেন এবং মারধর করবে বলে হুমকি ও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে।

যা গত ১১/০৩/২২ সদর থানায় ৮১৮ নং জিডি আকারে লিপিবদ্ধ হয়।

উল্লেখ্য যে বিবাদের বিষয়টি স্থানীয় ঝিলংজা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও তৎ ওয়ার্ডের মেম্বারের নিকট বিচারাধীন অবস্থায় থাকাবস্থায় আজ ( ৬ এপ্রিল) বিকাল সাড়ে ৩ টার দিকে আজিজুল হক মাটি কাটার স্কেভেটর দিয়ে মাটি কেটে ডাম্পার পিকাপ দিয়ে অন্যত্র নিয়ে যাচ্ছে এমন খবর শুনে জমির মালিকের ছোট ভাই ইঞ্জিঃ সাইফুল ঘটনাস্থলে গিয়ে মাটি নিয়ে যাবার কারণ জানতে চাইলে আজিজুল হকের সাথে কথা কাটাকাটি হয় এমতাবস্থায় উপস্থিত ভাড়াটিয়া আজিজুল হক,তার অপর দুই ভাই জিয়াউল হক,আমিনুল হক,তার বাবা বান্ডু ড্রাইভার, স্থানীয় নজু মিস্ত্রির ছেলে কলিম উল্লাহ সহ অপরাপর সন্ত্রাসীরা সাইফুলকে মারধর করতে থাকে।

পুকুর দখলে ব্যবহৃত স্কেভেটার

ইঞ্জিঃ সাইফুল মাঠিতে পড়ে গেলে লাঠিসোটা ও কিল ঘুষি মারতে থাকলে এক পর্যায়ে সন্ত্রাসীদের হামলায় সাইফুল অজ্ঞান হয়ে যায়।আশে পাশের স্থানীয় জনসাধারণ সাইফুলকে উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক সাইফুলের মাথায় জখম হওয়ায় সিটিস্কেন করে ২৪ ঘন্টা পর্যবেক্ষণ করতে হবে বলে আমাদের প্রতিনিধিকে জানান। বর্তমানে সে সার্জারী ওয়ার্ডে চিকিৎসকের পর্যবেক্ষণে আছে বলে জানা যায়।

এ বিষয়ে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন বলে তাদের স্বজনরা জানায়।


পূর্ববর্তী - পরবর্তী সংবাদ
       
                                             
                           
ফেইসবুকে আমরা