বাংলাদেশ, , সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪

পতিতাবৃত্তি মামলায় শহর আলীসহ ৬ জন কারাগারেঃ পলাতক রয়েছে রমজান আলী

বাংলাদেশ পেপার ডেস্ক ।।  সংবাদটি প্রকাশিত হয়ঃ ২০২২-০৩-২৮ ০৮:১২:৪৬  

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

কক্সবাজার শহরের লালদীঘিপাড়স্থ

হোটেল পাঁচতারা ও আহসান বোর্ডিংয়ে থেকে ২১ খদ্দের-পতিতা আটকের ঘটনায় পুলিশের দায়ের করা মামলায় আহসান বোর্ডিংয়ের মালিক শহর আলীসহ ৬ জনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন কক্সবাজার চীফ জুড়িশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত। তবে এখনো পলাতক রয়েছে মামলার অন্যতম আসামী রমজান আলী সিকদার। তিনি হোটেল পাঁচতারার মালিক ও লালদিঘীর পাড় এলাকার মৃত সৈয়দ নুরের ছেলে।

কারাগারে পাঠানো আসামীরা হলেন,
কক্সবাজার শহরের টেকপাড়াস্থ কালুর দোকান এলাকার মৃত আহসান উল্লাহর ছেলে আহসান বোর্ডিং এর মালিক শহর আলী, শহর আলীর ছেলে মো. আলী তোফা ওরফে বাবু, আহসান বোর্ডিং এর ম্যানেজার রায়হান, ঈদগাঁও পোকখালী ইউনিয়নের গোমাতলীর আব্দুল গফ্ফারের ছেলে মো. আব্বাস, একই এলাকার আমির হোসেনের ছেলে
পাঁচতারা হোটেলের কেয়ারটেকার
মো. রুস্তম ও চকরিয়া হাইদারনাসি এলাকার নুরুল আমিনের ছেলে পাঁচতারা হোটেলের ম্যানেজার শহিদুল ইসলাম।

এজাহার সুত্রে জানা গেছে, শহরের
লালদীঘিরপাড় পাঁচতারা হোটেল ও আহসান বোর্ডিং এ পতিতালয় খুলে ব্যবসা করার গোপন সংবাদে সেখানে অভিযান চালায় কক্সবাজার সদর মডেল থানা পুলিশ। এ ঘটনায় হোটেল পাঁচতারা ও আহসান বোর্ডিংয়ের মালিকসহ ২৮ জনের নাম উল্লেখ করে ১২ জনকে অজ্ঞাত আসামী করে ৪০ জনের বিরুদ্ধে কক্সবাজার সদর মডেল থানার এসআই সানা উল্লাহ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করে। থানার মামলা নং-৪৬, তাং-২৮/১২/২১ এবং জিআর নং-৭৫৩।

ওই মামলায় পলাতক আসামীরা মহামান্য হাইকোর্ট থেকে ৬ সপ্তাহের জামিন লাভ করে। ওই সময় শেষে ভারপ্রাপ্ত চীফ জুড়িসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট রাজীব কুমার বিশ্বাসের আদালতে জামিন আবেদন করলে আদালত জামিন না মঞ্জুর করে তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

এদিকে, ওই মামলার অন্যতম আসামী হোটেল পাঁচতারার মালিক রমজান আলী সিকদার মহামান্য হাইকোর্ট থেকে গত ৩ ফেব্রুয়ারী ৬ সপ্তাহের জামিন লাভ করে। ওই সময় শেষ হলেও তিনি আদালতে আত্মসমর্পণ না করে পলাতক রয়েছে বলে আদালত সুত্রে জানা গেছে।


পূর্ববর্তী - পরবর্তী সংবাদ
       
                                             
                           
ফেইসবুকে আমরা