বাংলাদেশ, , শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

শেখ হাসিনার ৪১ তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের দোয়া মাহফিল

বাংলাদেশ পেপার ডেস্ক ।।  সংবাদটি প্রকাশিত হয়ঃ ২০২১-০৫-১৭ ২৩:৪৩:৩৫  

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

১৯৮১ সালের ১৭ মে বঙ্গবন্ধুকন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আজ
(১৭ই মে) প্রধানমন্ত্রীর সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগ।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ডের পর প্রায় ছয় বছর নির্বাসিত জীবন কাটিয়ে ১৯৮১ সালের ১৭ মে দেশে ফেরেন তার জ্যেষ্ঠ কন্যা শেখ হাসিনা। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট যেদিন বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করা হয়, শেখ হাসিনা তখন তার ছোটবোন শেখ রেহানা এবং দুই সন্তানসহ স্বামীর কর্মস্থল পশ্চিম জার্মানিতে অবস্থান করছিলেন। ফলে তারা খুনিদের হাত থেকে প্রাণে বেঁচে যান।

 

পশ্চিম জার্মানি থেকে সেই সময় ভারত সরকারের কাছে রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনা করেন শেখ হাসিনার স্বামী পরমাণু বিজ্ঞানী এমএ ওয়াজেদ মিয়া। ২৪ আগস্ট সকালে ভারতীয় দূতাবাসের একজন কর্মকর্তা তাদের ফ্রাঙ্কফুর্ট বিমানবন্দরে নিয়ে যান। ২৫ আগস্ট সকালে এয়ার ইন্ডিয়ার একটি ফ্লাইটে দিল্লি পৌছান শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা, ওয়াজেদ মিয়া এবং তাদের দুই সন্তান।

পরবর্তী সময়ে ১৯৮১ সালের ১৪, ১৫ ও ১৬ ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলন অধিবেশনে শেখ হাসিনার অনুপস্থিতিতে তাকে আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত করা হয়। এর এক সপ্তাহ পরে হঠাৎ ২৪ ফেব্রুয়ারি আব্দুল মালেক উকিল, ড. কামাল হোসেন, জিল্লুর রহমান, আব্দুল মান্নান, আব্দুস সামাদ, এম কোরবান আলী, বেগম জোহরা তাজউদ্দীন, গোলাম আকবর চৌধুরী, সাজেদা চৌধুরী, আমির হোসেন আমু, আইভি রহমান, আব্দুর রাজ্জাক, তোফায়েল আহমেদ ঢাকা থেকে দিল্লিতে পৌঁছান। শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কয়েকটি বৈঠক করেন তারা।

দেশের গণতন্ত্র আর প্রগতিশীলতার রাজনীতি ফেরাতে রাতে দুই শিশুসন্তান সজীব ওয়াজেদ জয় এবং সায়মা ওয়াদেজ পুতুলকে ছোটবোন শেখ রেহানার কাছে রেখে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দেশে ফেরেন শেখ হাসিনা। তখনকার রাজনীতির মতোই প্রকৃতিও সেদিন ছিল ঝঞ্ঝা-বিক্ষুব্ধ। ১৯৮১ সালের ১৭ মে ছিল কালবৈশাখীর হাওয়া, বেগ ছিল ঘণ্টায় ৬৫ মাইল। প্রচণ্ড ঝড়বৃষ্টি আর দুর্যোগও সেদিন গতিরোধ করতে পারেনি গণতন্ত্রকামী লাখ লাখ মানুষের মিছিল।

মুষলধারার বৃষ্টি-বাদল উপেক্ষা করে তারা বিমানবন্দরে অপেক্ষা করছিলেন নেত্রী কখন আসবেন এই প্রতীক্ষায়। অবশেষে ৪টায় কুর্মিটোলা বিমানবন্দরে জনসমুদ্রের জোয়ারে এসে পৌঁছান শেখ হাসিনা। তাকে একনজর দেখার জন্য কুর্মিটোলা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে শেরেবাংলা নগর পর্যন্ত রাস্তাগুলো রূপ নিয়েছিল জনসমুদ্রে।

দেশের মাটিতে পা দিয়ে লক্ষ লক্ষ জনতার সংবর্ধনায় আপ্লুত শেখ হাসিনা সেদিন বলেছিলেন, “সব হারিয়ে আমি আপনাদের মাঝে এসেছি, বঙ্গবন্ধুর নির্দেশিত পথে তার আদর্শ বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে জাতির পিতা হত্যার প্রতিশোধ গ্রহণে আমি জীবন উৎসর্গ করতে চাই’।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সেই দিনের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন এর এই ইতিহাসকে স্মরণ করে আজ বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কক্সবাজার জেলা শাখার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক দোয়া মহফিলের আয়োজন ও নেত্রীর সু-স্বাস্থ্য কামনা করেন বলে জানান।

এই সময় কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোছাইন বলেন,

বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ এর সভানেত্রীর দক্ষতায় আজ বাংলাদেশ ডিজিটাল বাংলাদেশে রূপান্তরিত। যা সারাদেশ সহ সমগ্র বিশ্বে সুনাম অর্জন করছে।

তিনি এই সময় প্রধানমন্ত্রীর দীর্ঘায়ুর জন্য সকলের নিকট দোয়া কামনা করেন।

উক্ত দোয়া মাহফিল শেষে কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মারুফ আদনান বলেন,

আমাদের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের প্রত্যেকটি শহর থেকে শুরু করে দেশের প্রতিটি প্রত্যন্ত গ্রাম অঞ্চলে উন্নয়ন করেছেন। এই বৈশ্বিক করোনার মহামারির সময় দেশের মানুষদের সুরক্ষা দিতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছেন। আল্লাহ যেন আমাদের প্রধানমন্ত্রীকে দীর্ঘায়ু প্রদান করে সেই কামনা করছি।

প্রসঙ্গত এই সময়ে কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি বোরহান উদ্দীন খোকন সহ অসংখ্য ছাত্রলীগের নেতাকর্মী স্বাস্থ্য সচেতনতা মেনে উপস্থিত ছিলেন।


পূর্ববর্তী - পরবর্তী সংবাদ
       
                                             
                           
ফেইসবুকে আমরা