

সহজ ম্যাচ কঠিন করে জেতা বুঝি একেই বলে! ৬০ বলে দরকার ৫৪ রান। হাতে ৭ উইকেট। উইকেটে থিতু হয়ে যাওয়া মোহাম্মদ মিঠুন ও নুরুল হাসান। পি সারা ওভালে বাংলাদেশ ‘এ’ দল অনায়াসেই হারাতে পারত শ্রীলঙ্কানদের। সেই ম্যাচ তারা জিতল ১ বলে ১ রানের সমীকরণ মিলিয়ে।
বাংলাদেশ ‘এ’ সমীকরণ মিলিয়েছে বাঁহাতি স্পিনার সানজামুল ইসলামের ব্যাটিংয়ে চড়ে। রমেশ মেন্ডিসের করা শেষ ওভারে দরকার ছিল ৬ বলে ৯ রান। হাতে ২ উইকেট। মেন্ডিসকে বাউন্ডারি মেরে সানজামুল সমীকরণটা আবার সহজ করলেন। ২ বলে যখন ১ রান দরকার, দলকে অনিশ্চয়তায় ফেলে ঠিক তখনই ক্যাচ আউট ইবাদত হোসেন। প্রান্তে বদলে স্ট্রাইকিং প্রান্তে যাওয়া সানজামুলই মিলিয়েছেন ১ বলে ১ রান। পরিস্থিতি বিবেচনায় তাঁর ৯ বলে অপরাজিত ১১ রানের ইনিংসটা ভীষণ মূল্যবানই বলতে হবে।
সিরিজে ফেরার ম্যাচে ২২৭ রানের লক্ষ্যে খেলতে নামা বাংলাদেশ ‘এ’ ১৫ রানে হারায় ওপেনার সাইফ হাসানকে। শুরু ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে দ্বিতীয় উইকেটে মোহাম্মদ নাঈম-নাজমুল হোসেন শান্ত গড়েন ৫৯ রানের জুটি। করুণারত্নের বলে শান্ত ২১ রান করে আউট হলেও নাঈম এগোচ্ছিলেন দারুণ গতিতে। দলকে নিয়ে যাচ্ছিলেন জয়ের প্রান্তে। রমেশ মেন্ডিসের শিকার হয়ে নাঈম থামেন ৫৯ বলে ৬৮ রান করে।
নাঈম থামলেও মিঠুন তো ছিলেন। অধিনায়কোচিত এক ইনিংস খেলে দলের জয় নিশ্চিত করাই ছিল তাঁর কাজ। সেই কাজটা তিনি করতে পারলেন না মেন্ডিসের আরেক শিকার হয়ে। আউট হয়েছেন ৫২ রান করে। শেষ ১০ ওভারে ৫৪ রানের তুলনামূলক সহজ সমীকরণ তাই কঠিন হয়েছে বাংলাদেশের কাছে। ৪০.৩ ওভারে ৩ উইকেটে ১৭৮ থেকে ৪৯.৫ ওভারে ৯ উইকেটে ২২৬, ৪৮ রানের মধ্যে বাংলাদেশ হারিয়েছে ৬ উইকেট। শেষ দিকে সানজামুল অপরাজিত ১১ রানের ইনিংসটা না খেললেই আজই সিরিজ হারতে হতো মিঠুনদের।
টস জিতে শ্রীলঙ্কা ‘এ’ দলকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় বাংলাদেশ ‘এ’। বাংলাদেশের বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে শ্রীলঙ্কানরা ৯ উইকেটে ২২৬ রানের বেশি করতে পারেনি। আবু হায়দার, সানজামুল ও ইবাদত হোসেন পেয়েছেন ২টি করে উইকেট।
বোলাররা কাজটা সহজ করে দিলেও সেটি পরে কঠিন করে ফেলেন ব্যাটসম্যানরা। তিন ম্যাচের সিরিজ আপাতত ১-১ সমতায়। ‘ফাইনাল’-এ রূপ নেওয়া শেষ ম্যাচটি পরশু, একই মাঠে।