বাংলাদেশ, , সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪

চার বছরে দুই বিয়ে রুমেনার, গোপনে ১০ বছর পুলিশে

বাংলাদেশ পেপার ডেস্ক ।।  সংবাদটি প্রকাশিত হয়ঃ ২০২২-০৩-০৪ ১৫:২৫:৫২  

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

বিয়ের তথ্য গোপন করে পুলিশে যোগ দিয়ে ১০ বছর ধরে দিব্যি চাকরি করে যাচ্ছেন কনস্টেবল রুমেনা আক্তার। চাকরিতে যোগদানের ৪ বছরের ব্যবধানে প্রথম স্বামীকে ছেড়ে দ্বিতীয় সংসারও শুরু করেন তিনি। চাকরি জীবনের ১০ বছরের ভেতরে নিজের নামে ২১ লাখ টাকা মূল্যের জমিও কিনেছেন এ নারী পুলিশ সদস্য। রুমেনা সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের রেশন স্টোরে কর্মরত রয়েছেন।

তার বাড়ি সুনামগঞ্জ জেলার বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার নতুনপাড়া গ্রামে। ২০১১ সালের ১৯ এপ্রিল পুলিশের কনস্টেবল পদে যোগদান করেন। পুলিশের বিধান অনুযায়ী কনস্টেবল পদে যোগদান করতে হলে প্রার্থীকে অবশ্যই অবিবাহিত হতে হবে। কিন্তু, রুমেনা আক্তার প্রথম বিয়ের তথ্য গোপন করেই পুলিশে যোগ দেন।

জানা গেছে, চাকরিতে যোগদানের আগে রুমেনা আক্তারের সাথে সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার ইব্রাহিমপুর গ্রামের আক্কাস আলীর ছেলে শামসুজ্জামানের সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে বিয়ে হয়। পুলিশে যোগদানের পর রুমেনা থাকতেন সিলেট জেলা পুলিশ লাইনসে আর শামসুজ্জামান নিজ বাড়ি ইব্রাহিমপুরেই বসবাস করতেন। একসময় শামসুজ্জামানের সঙ্গে যোগাযোগ কমিয়ে দেন রুমেনা। স্ত্রীর বদলে যাওয়ায় শামসুজ্জামান সিলেটে ছুটে আসেন। এসে শুনতে পান রুমেনা তার এক সহকর্মীর সঙ্গে নতুন করে সম্পর্ক তৈরি করেছেন। অনেক চেষ্টা করেও সম্পর্ক স্বাভাবিক হয়নি। একসময় রুমেনার সঙ্গে শামসুজ্জামানের সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে যায়।

জানা গেছে, ২০১৩ সালের ৩১ অক্টোবর রুমেনাকে সিলেট জেলা পুলিশ থেকে মৌলভীবাজার পুলিশ লাইনসে বদলি করা হয়। এরপর যোগ দেন মৌলভীবাজার সদর থানায়। মৌলভীবাজার সদর থানায় যোগদানের পর ঐ থানায় আগে থেকে কর্মরত সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) রফিকুল ইসলাম রানা নামে আরেকজনের সঙ্গে নতুন করে গভীর সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন রুমেনা। এরপর ২০১৪ সালের ৩ আগস্ট এএসআই রফিকুলের সঙ্গে রুমেনা আক্তারের আবারও বিয়ে হয়। সুনামগঞ্জ শহরের রুমেনার এক বোনের বাসায় ঐ বিয়ে সম্পন্ন হয়। এই সংসারে তার এক ছেলে সন্তান রয়েছে। বর্তমানে তার বয়স প্রায় ৬ বছর।


পূর্ববর্তী - পরবর্তী সংবাদ
       
                                             
                           
ফেইসবুকে আমরা