প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় তার সমাবেশস্থলে বোমা রাখার ঘটনায় দায়ের মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত ১৪ আসামির মৃত্যুদণ্ড প্রকাশ্য ফায়ারিং স্কোয়াডে কার্যকরের আদেশ দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার (২৩ মার্চ) ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান এ রায় ঘোষণা করেন।
রায়ে বিচারক বলেন, ‘দণ্ডবিধির ১২১/৩৪/১০৯ ধারায় অপরাধের জন্য আসামিদের মৃত্যুদণ্ড প্রদান করা হলো। একটি ফায়ারিং স্কোয়াডে প্রকাশ্যে আসামিদের প্রত্যেকের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার নির্দেশ হইল। আসামিদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে কর্তৃপক্ষের কোনো অসুবিধার কারণ থাকলে প্রচলিত নিয়মানুসারে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে তাদের প্রত্যেকের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার নির্দেশ দেয়া হলো। আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ১২১/৩৪/১০৯ ধারায় চরম দণ্ড প্রদান করায় দণ্ডবিধির ১২১ ক/২২২/১২৪ “ক” ধারা মতে কোনো দণ্ড প্রদান করা হলো না।
রায়ের পর্যবেক্ষণে বিচারক বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীকে হত্যা করে গণতান্ত্রিক, বৈধ সরকার উৎখাত করার উদ্দেশ্যে কোটালিপাড়ার সভা মঞ্চে বোমা পুঁতে রাখা হয়। স্বাধীনতাবিরোধীরা মুক্তিযুদ্ধের পরাজয়ের পর থেকে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়। এমনকি ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে দেশকে ধ্বংস করে দেয়। সেই ধারাবাহিকতায় শেখ হাসিনা দেশে ফেরার পর থেকে তাকেও হত্যার পরিকল্পনা করা হয়। বারবার তাকে হত্যাচেষ্টা করা হয়। এজন্য যাতে হুজি, জেএমবি ও ইসলামি জঙ্গিরা এই ধরনের ঘটনা পুরনাবৃত্তি করতে না পারে, তাই তাদেরকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।’