সুইসাইড নোট লিখে গভীর রাতে চবি শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা

প্রকাশিত: ২:২৭ অপরাহ্ণ, মার্চ ৬, ২০২১

সুইসাইড নোট লিখে সিলিং ফ্যানের সাথে ঝুলে আত্মহ’ত্যা করেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) এক শিক্ষার্থী।

শুক্রবার (৫ মার্চ) আনুমানিক রাত তিনটার দিকে খাগড়াছড়ির রামগড়ে নিজ বাড়িতে সে আত্মহ’ত্যা করে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

বিষয়টি বাংলাদেশ পেপারকে নিশ্চিত করেছেন নাইমুলের বাল্যবন্ধু আরমান মজুমদার।

তিনি বলেন, ‘আনুমানিক রাত তিনটার পরে নাইমুল নিজ রুমে সিলিং ফ্যানের সাথে গলায গামছা পেছিয়ে আত্মহ’ত্যা করে। এর আগে রাত দুইটার দিকে সে রুম থেকে বের হয়ে মা ও ভাইকে দেখে আসে। পরে পানি খেয়ে আধা ঘন্টা ঘরের বাহিরে অবস্থান করে। এরপর সম্ভবত তিনটার দিকে রুমে এসে দরজা লাগিয়ে আত্মহ’ত্যা করে।’

তিনি আরও বলেন, ‘তার মা ফজরের নামাজ পড়তে উঠলে তার রুমে বাতি জ্বলতে দেখেন। সাধারণত সে বাতি জ্বালিয়ে ঘুমাই না। এসময় তাকে অনেক ডাকাডাকির পরও দরজা না খুললে সকাল সাতটার দিকে দরজা ভেঙে তার ঝুলন্ত মরদে’হ পাওয়া যায়। এসময় রুমে একটি সুসাইড নোট পাওয়া যায়।’

আরমান বলেন, ‘সে কিছুটা মানসিক সমস্যায় ভুগছিল। হয়ত হতাশা থেকে সে এই পথ বেচে নিয়েছে। যেকোন বিষয় সে গভীরভাবে চিন্তা করতো।’

নাইমুলের আরেক বন্ধু বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী আনোয়র হোসেন রনি বলেন, ‘নাইমুল খুব মেধাবী ছাত্র ছিল। সে জেএসসি, এসএসসি ও এইচএসসিতে জিপিএ-৫ পেয়েছে। তার স্বভাব শান্ত ছিল।’

সুইসাইড নোটে নাইমুল লিখেন, “আমার মৃ’ত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়। আমার বেঁচে থাকার জন্য কোন ইচ্ছা নেই। তাই আমি এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছি। ডারউইন বলেছিলেন Survival of the fittest. But I not even fit. আমার জন্য কেহ যদি কষ্ট পেয়ে থাকেন তাহলে মাপ করে দিয়েন।”

সুইসাইড নোটে তিনি আরও লিখেন, “আম্মু আমাকে মাফ করে দিয়েন। লিমনের খেয়াল রাখিয়েন। আব্বু আমাকে সফল করার জন্য অনেক কিছু সহ্য করেছেন। আমি পারিনি তাই ক্ষমাপ্রার্থী।”

এদিকে, বিষয়টি নিশ্চিত করে রামগড় থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মনির হোসেন বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে এটাকে আত্মহ’ত্যা বলে মনে হচ্ছে। আমরা লাশ উদ্ধার করেছি। ময়নাতদন্তের পর মৃ’ত্যুর কারণ জানা যাবে।’