বছরে ১০ লাখ পাখি প্লাস্টিক দূষণের শিকার, আলোচনায় তথ্য

প্রকাশিত: ৬:২৬ অপরাহ্ণ, আগস্ট ২৩, ২০১৯


বিশ্ব পরিযায়ী পাখি দিবস উপলক্ষে শনিবার রাজধানীতে এক আলোচনায় সভায় এই তথ্য জানিয়েছেন প্রাণীবিজ্ঞানী তপন কুমার দে।

জাতীয় প্রেস ক্লাবে বাংলাদেশ প্রাণীবিজ্ঞান সমিতি ও নেচার কনজারভেশন সোসাইটি এই আলোচনা সভা করে।

সাম্প্রতিক একটি গবেষণায় পাওয়া তথ্যের বরাত দিয়ে তপন কুমার দে বলেন, “প্রতি বছর সারা পৃথিবীতে ৩০০ মিলিয়ন টনের বেশি প্লাস্টিক সামগ্রী মানুষের দৈনন্দিন কাজে ব্যবহৃত হয়। একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, প্রতি বছর আট মিলিয়ন (৮০ লাখ) টন প্লাস্টিক বর্জ্য নদী-নালা হয়ে সমুদ্রে পতিত হয়।

“সমুদ্র সৈকতে আসা পাখির খাদ্য গ্রহণের সময় অনিচ্ছাকৃতভাবে প্লাস্টিকের ছোট ছোট অংশ খাদ্যনালীতে চলে যায়। শুধু তাই নয়, পাখির ছোট বাচ্চাদের পেটে প্লাস্টিক কণা পেটে চলে যায় ও অকালে মারা যায়।”

৯০ শতাংশের বেশি সামুদ্রিক পাখির পরিপাকতন্ত্রে প্লাস্টিক কণা পাওয়া গেছে এবং  এভাবে চলতে থাকলে আগামী ২০৫০ সালে ৯৯ শতাংশ পাখির পেটে প্লাস্টিক কণা পাওয়া যাবে বলে গবেষণায় আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

বাংলাদেশের হাওরাঞ্চল, সুন্দরবনে প্রতি বছর প্রায় দুই কোটি পরিযায়ী পাখি আসে জানিয়ে তপন কুমার বলেন, “এ সংখ্যা ক্রমেই কমে আসছে।  আকস্মিক বন্যা ও পরিবেশগত নানা কারণে ওইসব অঞ্চলে জলজ জীববৈচিত্র্য মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় এ বছর পরিযায়ী পাখির সংখ্যা হ্রাস পেয়েছে।”

পরিযায়ী পাখি বাঁচাতে সচেতনতা বাড়ানোর পাশাপাশি পাটজাত পণ্যের ব্যবহার বৃদ্ধি ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইনের যথাযথ প্রয়োগের দাবিও জানান তপন।