বাংলাদেশ, , শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪

এক মঞ্চে রবীন্দ্র-নজরুলজয়ন্তী

বাংলাদেশ পেপার ডেস্ক ।।  সংবাদটি প্রকাশিত হয়ঃ ২০১৯-০৭-০৩ ১৮:০৩:২৪  

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আর কাজী নজরুল ইসলাম অনেক বিষয়ে পরস্পরের কাছাকাছি ছিলেন; এবং সে নৈকট্য কম তাৎপর্যপূর্ণ নয়। দুজনেরই প্রধান পরিচয় তাঁরা কবি। নিজেদের তাঁরা ওভাবেই দেখতেন, লোকেও তাঁদের সেভাবেই দেখে। তাঁরা দুজনেই আবার ছিলেন বহুমুখী; সাহিত্যের সব শাখাতেই তাঁদের কাজ আছে এবং তাঁরা দেশের রাজনীতির সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন, সমাজের অগ্রগতি ও মানুষের মুক্তি নিয়ে তাঁদের চিন্তা ছিল সার্বক্ষণিক। রবীন্দ্রনাথের মতোই নজরুলেরও ছিল সংগীতের প্রতি গভীর আকর্ষণ এবং সংগীতের ক্ষেত্রে দুজনের অবদানই অসামান্য। হাজার হাজার গান তাঁরা রেখে গেছেন। গানে সুর দিয়েছেন, সুর সৃষ্টি করেছেন, সুরের মিশ্রণ ঘটিয়েছেন। নিজেরাও গাইতেন। তাঁরা দুজনেই জানতেন যে তাঁদের গান বাঙালিকে অনেক কাল গাইতে হবে, এবং সে ধারণা মিথ্যা প্রমাণিত হয়নি। দুজনেই নাটক লিখেছেন, নাটকের নির্দেশনা দিয়েছেন, অভিনয় করেছেন। তাঁদের ছিল কৌতুকের অসাধারণ বোধ এবং তাঁরা শিশুদের জন্য যা লিখেছেন, তা-ও অতুলনীয়। বক্তৃতা করেছেন সভা-সমাবেশে। সম্পাদনা করেছেন পত্রিকা।

রাজধানীর সুফিয়া কামাল কেন্দ্রীয় গণগ্রন্থাগারের শওকত ওসমান স্মৃতি মিলনায়তনে আজ বুধবার বাংলা সাহিত্যের দুই গুণীকে স্মরণ করতে গিয়ে এসব কথা বলেন অতিথিরা। আজ সন্ধ্যায় এক আয়োজনে এ দুই কৃতী ব্যক্তির জয়ন্তী উদযাপন করল সাংস্কৃতিক সংগঠন বহ্নিশিখা। কথন, গান, আবৃত্তি আর নৃত্যের মাধ্যমে তুলে ধরা হয় তাঁদের সৃজনকর্ম।
এ আয়োজনের উদ্বোধন করেন অর্থনীতিবিদ আতিউর রহমান। সভাপতিত্ব করেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট ও বহ্নিশিখার সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ। রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে আতিউর রহমান বলেন, রবীন্দ্রনাথ এই উপমহাদেশে বাংলা সাহিত্য ও কাব্যধারার এক আমূল পরিবর্তন এনেছেন। সাহিত্যের ক্ষেত্রে রবীন্দ্রনাথ বাংলাদেশ ও ভারতকে একই সূত্রে গেঁথেছেন। আধুনিক বাংলা সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করার ক্ষেত্রে রবীন্দ্রনাথের অবদান অবিস্মরণীয়। বাংলাদেশের রাজনীতিতে কাব্য ও গানের যে প্রভাব, রবীন্দ্রনাথ সে প্রভাব সৃষ্টিতে প্রধান ভূমিকা রেখেছেন।


পূর্ববর্তী - পরবর্তী সংবাদ
       
                                             
                           
ফেইসবুকে আমরা