বাংলাদেশ, , শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

অবৈধ মাটি ও বালি উত্তোলনের নিউজ সংগ্রহের পর সাংবাদিকদের অস্ত্র নিয়ে ধাওয়া

বাংলাদেশ পেপার ডেস্ক ।।  সংবাদটি প্রকাশিত হয়ঃ ২০২১-০২-১২ ২২:৫২:১৬  

রাকিবুল ইসলাম রাফি, রাজবাড়ী প্রতিনিধি

রাজবাড়ী পাংশা উপজেলার হাবাসপুর পদ্মা নদী থেকে অবৈধভাবে মাটি এবং বালি উত্তোলন করে নিয়ে যাচ্ছেন একশ্রেণীর প্রভাবশালী মহল। এসব মাটির ব্যবহার হচ্ছে অবৈধ ভাটায় ইট তৈরির কাজে।

বৃহস্পতিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৪টার দিকে পদ্মা নদী থেকে মাটি ও বালি উত্তোলনের নিউজ সংগ্রহ কাজে যান চ্যানেল এস এর রাজবাড়ী জেলা প্রতিনিধি সাংবাদিক মোঃ শাহীন রেজা ও বাংলাদেশ. কমের জেলা প্রতিনিধি সৈয়দ মেহেদী হাসান। নিউজ সংগ্রহ করে মোটরসাইকেলে ফেরার সময় তাদেরকে অস্ত্র লাঠিসোটা নিয়ে ধাওয়া করেন মতিন, নাসির এবং তাদের সহযোগীরা।

পরে পাংশা উপজেলা নির্বাহি অফিসার মোহাম্মদ আলী ও পাংশা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ সাহাদাত হোসেনকে ফোনের মাধ্যমে বিষয়টি জানানো হলে থানা থেকে তাৎক্ষণিক ফোর্স পাঠানো হয়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পথ অবরোধকারীরা পালিয়ে যায়।

পরের দিন শুক্রবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০ টার দিকে পাংশা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি), নুজহাত তাসনিন আওন, হাবাসপুর পদ্মার চরে ভ্রম্যমান আদালত পরিচালনা করে ৩ টি ভেকুর মেশিনের ব্যাটারি জব্দ করেন।

এ বিষয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) নুজহাত তাসনীম আওনের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, বেরিবাধ সংলগ্ন নদীর তীরবর্তী কৃষি জমির পাশে অবৈধভাবে কৃষি জমির মাটি উত্তোলন করছিল একটি চক্র। পরবর্তীতে সেখানে ভাম্যমান আদালত পরিচালনা করে ভেকু মেশিনের ব্যাটারি ও সরঞ্জামাদি জব্দ করা হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, স্থানীয় ইটভাটা মালিক নাসিরুল হক ও রইস উদ্দিন মিলে স্থানীয় অস্ত্রধারী ক্যাডার বাহিনীর সঙ্গে হাত মিলিয়ে অবাধে মাটি ও বালু কেটে আসছে। স্থানীয়রা মাটি ও বালু কাটার বিষয়ে বাধা প্রদান করলে তাদেরকে প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করে। তাই স্থানীয়রা তাদেরকে বাধা প্রদান করতে ভয় পায়।

চর কাটার বিষয়ে স্থানীয় প্রান্তিক কৃষকদের সঙ্গে কথা বললে তারা জানান, স্থানীয় তিনটি ভাটা মালিক নাসিরুল হক ও অপর একটি ভাটা মালিক রইসউদ্দিন স্থানীয় অস্ত্রধারী ক্যাডার বাহিনীর সঙ্গে আততায়ীর মাধ্যমে দীর্ঘদিন ধরে আমাদের চাষাধীন জমি হতে মাটি কেটে আসছে। আমরা বাধা দিলে আমাদেরকে প্রাণ নাশের হুমকি প্রদান করে। আমাদের এই জমিতে পানির সময় ধান ও চরের সময় শীতকালীন নানা ধরনের সবজি ও আখ চাষ হয়। কিন্তু এবার যেভাবে মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছে আগামীতে আমরা এখানে ফসল ফলাতে পারব না এমনকি বর্ষার সময় নদী ভাঙ্গনে আরো বিলীন হয়ে যাবে। এই মাটি কাটার ফলে ওয়াবদার এই বেরিবাধও হুমকির মুখে পড়বে বলে জানান তারা।


পূর্ববর্তী - পরবর্তী সংবাদ
       
                                             
                           
ফেইসবুকে আমরা