হবু স্বামীকে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবি বান্ধবীর

প্রকাশিত: ১২:৩৭ পূর্বাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২১

সাতক্ষীরা থেকে আবু হেনা মোস্তাফা কামাল মিলন (৩০) নামের হাইকোর্টের এক আইনজীবীকে অপহরণ করার অভিযোগে হবু স্ত্রীর বান্ধবীসহ তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (৯ ফেব্রুয়ারি) যশোরের অভয়নগর উপজেলার একতারপুর গ্রামের মৃত ইসহাক তরফদারের মেয়ের বাড়ি থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়।

আটকৃরা হলেন- সাতক্ষীরা জেলার সুলতানপুর বড়বাজার এলাকার মৃত আজমল হকের মেয়ে সুরাইয়া (২০), খুলনা জেলার দিঘলিয়া উপজেলার ফরমায়েসখানা গ্রামের মোড়লপাড়ার জমির সরদারের ছেলে মো. আব্দুস সালাম (২৪) ও একই গ্রামের আলাউদ্দিন শিকদারের ছেলে শাহিল শিকদার (১৮)।

মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, আইনজীবী আবু হেনা মোস্তাফা কামাল মিলনের সাথে সাতক্ষীরা জেলার আশাশুনি উপজেলার প্রতাবনগর গ্রামের এস এম হারুনুর রশিদের মেয়ে রাবেয়া সুলতানা রিতুর (২২) বিয়ে ঠিক হয়। এর সূত্র ধরে গত শনিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে মিলন খুলনা পাইওনিয়র কলেজের সামনে রিতুর সঙ্গে দেখা করেন। পরে তারা জাহানাবাদ ক্যান্টনমেন্ট পার্কে ঘুরতে আসেন। এসময় রিতুর বান্ধবী সুরাইয়ার সাথে দেখা হয় তাদের। কৌশলে বান্ধবী সুরাইয়া মিলনকে যশোরের অভয়নগর উপজেলার একতারপুর গ্রামের মৃত ইসহাক তরফদারের মেয়ের বাড়িতে নিয়ে আসেন। সেখানে আইনজীবী মিলনকে আটকে রেখে শারীরিক নির্যাতন করে ৩০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন। দাবিকৃত মুক্তিপণের টাকা না দিলে মিলনকে মেরে ফেলা হবে বলেও অপহরণকারীরা হুমকি দেন।

এ ঘটনায় মিলনের দুলাভাই শরিফুল ইসলাম গত সোমবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সাতক্ষীরার তালা থানায় একটি জিডি করেন। একপর্যায়ে অপহৃত মিলনের পরিবার জানতে পারে মিলনকে যশোরের কোন স্থানে আটকে রাখা হয়েছে। পরে তারা জিডির কপি নিয়ে যশোরে পুলিশ ব্যুরো ইনভেস্টিগেশনে (পিবিআই) যোগাযোগ করেন। পিবিআই মোবাইল ট্র্যাকিং করে যশোরের অভয়নগর উপজেলার একতারপুর গ্রাম থেকে মিলনকে উদ্ধার করেন।

এসময় অপহরণকারী দলের নারী সদস্য সুরাইয়াকে আটক করে পিবিআই। পরে তার স্বীকারোক্তি মোতাবেক অপর দুই অপহরণকারী যুবককে খুলনা থেকে আটক করা হয়।

বাড়ির মালিক মৃত ইসহাক তরফদারের মেয়ে রাবেয়া সুলতানা মনি বলেন, ‘প্রায় এক মাস আগে সুরাইয়া ও আব্দুস সালাম স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে তার বাড়ি ভাড়া নেয়।