রাজবাড়ীতে ৮ বছরের শিশুকে গণধর্ষণের পর হত্যা মামলায় ১ জনের ফাঁসি ও ৩ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার দুপুরে রাজবাড়ীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক শারমিন নিগার এ রায় ঘোষণা করেন।
মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পিপি অ্যাড. উমা সেন জানান, ২০০৮ সালের ২৫ মে রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার কুটিমালিয়াট গ্রামের ৮ বছর বয়সী কন্যা শিশু (ভিকটিম) বাড়ির পাশে একটি আম বাগানে আম কুড়াতে যায় এ সময় তাকে গণধর্ষণের পরে হত্যা করে মাটি চাপা দেয়া হয়।
এরপর ২৮ মে কুকুরের টানা-হেঁচড়া দেখে স্থানীয়রা শিশুটির লাশ সনাক্ত করে। ওই দিনই মেয়েটির বাবা বাদী হয়ে পাংশা মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। ওই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তদন্ত শেষে এক নারীসহ ৬ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
আদালত সাক্ষ্য-প্রমাণ গ্রহণ শেষে অভিযুক্তদের মধ্যে একই গ্রামের (কুটিমালিয়াট) বশারত মোল্লার ছেলে সায়েদ মোল্লাকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার আদেশ দেন। ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত সায়েদ ঘটনার পর থেকেই পলাতক রয়েছে।
একইসঙ্গে আদালত ওই মামলার আরও ৩ আসামি আলাল, রনি ও মহির খাঁকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড এবং ২০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ১ বছর করে কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন। এছাড়া অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় শুকুর মোল্লা ও রোজিনা নামে ২ আসামিকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়।