করোনায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে ছাত্রলীগ দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে

প্রকাশিত: ৮:২৯ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ৪, ২০২১

মহামারি করোনা চলাকালীন সময়ে মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে ছাত্রলীগ দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছাত্রলীগ আমাদের দেশের প্রতিটি রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। দেশের গণতান্ত্রিক অধিকার আদায়ের আন্দোলন, স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন- যেকোনো আন্দোলনই যদি আমরা দেখি সব থেকে বেশি রক্ত দিয়েছে, শহীদ হয়েছে আমাদের ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। অন্য কোনো দলে এটা খুব বেশি পাওয়া যাবে না, আমাদের ছাত্রলীগে সব থেকে বেশি।

সোমবার বিকেলে রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে ছাত্রলীগের ৭৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনা সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এ মন্তব্য করেন তিন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, কোনো কাজকে ছোট করে দেখবে না। ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের মাটির দিকে তাকিয়ে চলার নির্দেশনা দেন তিনি।

তিনি বলেন, গণতান্ত্রিক আন্দোলনে সবচেয়ে বেশী রক্ত দিয়েছে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। শিক্ষা শান্তি প্রগতি এই মন্ত্রে উদ্বুদ্ধ হয়ে পথ চলার পরামর্শ দেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী।

সভায় ছাত্রলীগের গৌরবময় ইতিহাস ও বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক জীবনের ঘটনা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, শিক্ষিত জাতি গড়াই ছিলো জাতির পিতার লক্ষ্য। এখনও শিক্ষাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।

.

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশেষ করে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে হত্যা করার পর জেনারেল জিয়াউর রহমান যখন অবৈধভাবে সংবিধান লঙ্ঘন করে নিজেকে রাষ্ট্রপতি ঘোষণা দিয়ে ক্ষমতায় বসলো। তার আগে সে মদদ দিয়েছিলেন খন্দকার মোশতাককে। পরে মোশতাককে হটিয়ে নিজে রাষ্ট্রপতি হলেন। এরপর তার যে কাজ ছিল, ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের ওপর জুলুম, অত্যাচার করা। একদিকে তাদের প্রলোভন দিয়ে দলে টানার চেষ্টা আর সেটা না হলে তাদের গুম, খুন-হত্যা করা।

বক্তব্যের শুরুতে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে দেশের মানুষ অসহযোগ আন্দোলন করে। অস্ত্র তুলে নিয়ে যুদ্ধ করে আমরা বিজয় অর্জন করি। কিন্তু স্বাধীনতাবিরোধী চক্র তারা তো সক্রিয় ছিল। দেশীয় এবং বিদেশি এজেন্টরা সবসময় সক্রিয় ছিল। তিনি সাড়ে তিন বছর হাতে যে সময় পেয়েছিলেন এ সময়ে একটা স্বাধীন দেশকে গড়ে তোলার সব কাজের ভিত্তিটাই তিনি তৈরি করে দিয়ে যান।

সভায় সভাপতিত্ব করেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়। সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য সঞ্চালনা করেন। এ সময় আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের সাবেক ও বর্তমান নেতাসহ কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।