বাংলাদেশ, , শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

পদ্মা পাড়ের বিভিন্ন স্থানে অবৈধভাবে চলছে মাটি-বালি উত্তোলন

বাংলাদেশ পেপার ডেস্ক ।।  সংবাদটি প্রকাশিত হয়ঃ ২০২০-১২-০১ ২১:৫১:৫৫  

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার স্থানীয় প্রভাবশালীরা যেন অনেক বেশি বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন। উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের বিভিন্ন স্থানে নদী খাল বিল ও ফসলি জমি থেকে অবৈধভাবে এক্সকাভেটর (বেকু) দিয়ে মাটি উত্তোলন করছেন তারা। এরপর ট্রাকে করে এসব মাটি বিক্রি করছেন জেলার বিভিন্ন স্থানে। এর ফলে বর্ষা মৌসুমে স্থানীয় নদী তীরবর্তীদের ফসলি জমি ও বাড়িঘর বিলিন হয়ে যাবার আশঙ্কায় সাত্তার মেম্বারের পাড়া ও চর কর্ণেশনা এলাকার মানুষের মাঝে চাপা আতঙ্ক ও উত্তেজনা বিরাজ করছে।
স্থানীয় জনসাধারণ একাধিক বার বাঁধা দিয়েও স্থানীয় প্রভাবশালীদের রোধ করতে পারেনি। উপরন্তু শুনতে হয়েছে নানা হুমকি ধামকি। সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, দৌলতদিয়া ১নং ওয়ার্ডের সাত্তার মেম্বার পাড়া ও চর কর্ণেশনা এলাকার নদী তীরবর্তী এলাকায় দৌলতদিয়া ইউনিয়নের স্থানীয় প্রভাবশালীদের নেতৃত্বে সংঘবদ্ধ এই চক্রটি অবৈধভাবে এক্সকাভেটর (বেকু) দিয়ে প্রকাশ্যে মাটি ও বালু উত্তোলন করে বিক্রি করে যাচ্ছে। উপজেলা প্রশাসন মাঝে মধ্যে এ সব অপকর্ম বন্ধ করলেও কাজের কাজ কিছুই হচ্ছেনা । বরং সংঘবদ্ধ এই চক্রটি অবৈধভাবে এক্সকাভেটর (বেকু) দিয়ে প্রকাশ্যে মাটি ও বালু উত্তোলন করে বিক্রি করে যাচ্ছে।
দৌলতদিয়া সাত্তার মেম্বার পাড়ার ফিরোজ সরদার, কবির বেপারীসহ অনেকেই জানান, “পদ্মার ভয়াবহ ভাঙ্গনে কয়েক ভাঙ্গা দিয়ে নিঃস্ব হয়ে এখানে এসে ঘর তুলে বসবাস করছি পাশাপাশি এখানে চাষাবাদ করে জীবিকা নির্বাহ করতাম কিন্তু ফসলি জমিতে অবৈধভাবে এক্সকাভেটর (বেকু) দিয়ে প্রকাশ্যে মাটি ও বালু উত্তোলন করে বিক্রি করায় যেমন ধ্বংস হচ্ছে ফসলি জমি তেমনি বর্ষা মৌসুমে ভাঙ্গনের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে পাশাপাশি কর্মহীন হয়ে পড়ছি আমরা।”
তারা আরও জানান, “এভাবে অবৈধ এক্সকাভেটর দিয়ে মাটি কাটতে থাকলে বর্ষা মৌসুমে আমাদের বাড়ি ঘর নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাবে।” চর কর্ণেশনা এলাকার একাধিক বাসিন্দা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, “এলাকা বাসীর নিষেধ সত্বেও স্থানীয় প্রভাবশালীদের ম্যানেজ করে আমাদের হুমকি-ধামকি দিয়ে দিনের পর দিন মাটি ও বালু উত্তোলন করে যাচ্ছে, অভিযোগের ভিত্তিতে মাঝে মধ্যে স্থানীয় প্রশাসন মাটি কাটা বন্ধ করলেও কয়েকদিন বন্ধ রেখে পুনরায় আবার শুরু করে। স্থানীয় জন প্রতিনিধিদের নিকট মাটি খনন বন্ধের আকুতি জানালেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি বরং তাদের কাছ থেকে শুনতে হয়েছে নানা হুমকি-ধামকি।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত দৌলতদিয়া ইউপির একজন সদস্য (মেম্বার) বলেন, “বাহিরচর গ্রামে নদীর পাড়ে আমার নানার নিজস্ব এক হাজার তিন শ ছাব্বিশ শতাংশ জমি রয়েছে। সেখান থেকে আমি মাটি কেটে বিক্রি করছি।”
গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আমিনুল ইসলাম’র কাছে এ ব্যপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “অবৈধ মাটিকাটা ও বালু উত্তোলন করে বিক্রির কাজে ইউপি সদস্যের যুক্ত থাকা খুব দুঃখজনক। বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে খতিয়ে দেখা হবে। সত্যতা পেলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে।”

পূর্ববর্তী - পরবর্তী সংবাদ
       
                                             
                           
ফেইসবুকে আমরা