বাংলাদেশ, , মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪

রংপুর ছাত্রদলের সহ-সভাপতি গ্রেফতার

বাংলাদেশ পেপার ডেস্ক ।।  সংবাদটি প্রকাশিত হয়ঃ ২০২০-১২-০১ ২১:২৬:৫০  

রংপুর জেলা ছাত্রদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি মাহবুব হোসেন সুমন ওরফে ব্লাক সুমনসহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। চাঁদাবাজির মামলায় সোমবার রাতভর অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এ মামলায় মহানগর যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক নয়নসহ তিনজন পলাতক রয়েছেন।

সোমবার ছয়জনকে আসামি করে ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান হক গ্রুপ একটি মামলা দায়ের করে। ওই মামলার তাদের আসামি করা হয়।

এর পর অভিযান চালিয়ে ধাপ চিকলীভাটার রওশন মিয়ার ছেলে রংপুর জেলা ছাত্রদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি মাহবুব হোসেন সুমন ওরফে ব্লাক সুমন, মেডিকেল পূর্ব গেট এলাকার আলতাব হোসেনের ছেলে ছোট রাসেল (২২) ও তানভীরকে (২২) গ্রেফতার করে পুলিশ। মামলার অপর আসামি মহানগর যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক নয়নসহ বাকি তিন আসামি পলাতক আছেন।

পুলিশ ও এজাহার সূত্রে জানা যায়, লালমনিরহাট জেলায় শীতার্তদের মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ শেষে গত ২৯ নভেম্বর রাত ৯টার দিকে হক গ্রুপের চেয়ারম্যানসহ প্রতিষ্ঠানের সদস্যরা রংপুর মেডিকেল পূর্ব গেট এলাকায় আসেন। এ সময় জেলা ছাত্রদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি মাহবুব হোসেন গাড়ির গতিরোধ করে এবং হক গ্রুপের জিএম রাজু আহম্মেদকে মারপিট করে জখম করে।

এ সময় রংপুর জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও বর্তমান মহানগর যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক জহির আলম নয়ন (৩৮), মো. রিপন মিয়া (২৪), মো. তানভীর (২২), ছোট রাসেল (২২), পান্ডারদিঘীর আরিফ (৩৫) হক গ্রুপের গাড়ির চালক নীলফামারী ডোমার চৌরঙ্গি বাজারের বাসিন্দা আলমগীর হোসেনকে গাড়ি থেকে টেনে হিঁচড়ে নামিয়ে মেডিকেল পূর্ব গেট এলাকার একটি রুমে নিয়ে গিয়ে মারপিট করে গুরুতর জখম করে।

এ সময় চালক আলমগীরের কাছে দেড় লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে ছাত্রদল নেতা সুমন ও যুবদল নেতা নয়ন। অবস্থা বেগতিক দেখে হক গ্রুপের কর্মকর্তারা রংপুর মেট্রোপলিটন কোতোয়ালি থানায় বিষয়টি জানালে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে তাদের উদ্ধার করে। পরে ৩০ নভেম্বর গাড়িচালক আলমগীর কোতোয়ালি থানায় ছয়জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করলে পুলিশ অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেফতার করে।

কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রাজিফুজ্জামান বসুনিয়া বলেন, চাঁদাবাজির ঘটনায় থানায় মামলা হলে আমরা রাতভর অভিযান চালিয়ে জেলা ছাত্রদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি সুমনসহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছি। বাকীদের গ্রেফতারে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

রংপুর মেট্রোপলিটন উপ-পুলিশ কমিশনার (অপরাধ) আবু মারুফ হোসেন বলেন, অপরাধী যে দলেরই হোক না কেন, অপরাধ করলে কেউ রেহাই পাবে না। অপরাধীদের আইনের আওতায় আনতে আমরা সর্বদা কাজ করে যাচ্ছি।


পূর্ববর্তী - পরবর্তী সংবাদ
       
                                             
                           
ফেইসবুকে আমরা