বাংলাদেশ, , শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

শহরজুড়ে আবর্জনা দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ জনসাধারণ

বাংলাদেশ পেপার ডেস্ক ।।  সংবাদটি প্রকাশিত হয়ঃ ২০২০-১১-২৭ ১০:২০:১২  

সিয়াম সোহেলঃ

কেন্দ্রীয় বাসটার্মিনাল সহ জেনারেল হাসপাতাল ফটকের সামনে ময়লা আবর্জনার স্তূপ। নর্দমার ওপরেই ময়লা পচে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। নাকে কাপড় চেপে লোকজন ওই স্থান পার হচ্ছেন।

পৌরসভার বিভিন্ন স্থানে এ রকম ময়লা-আবর্জনার অসংখ্য স্তূপ রয়েছে। দুর্গন্ধে শহরবাসীর পথ চলা দায় হয়ে পড়েছে। তাঁদের অভিযোগ শহরে পর্যাপ্ত ডাস্টবিন না থাকায় লোকজন যেখানে-সেখানে ময়লা ফেলছেন। পৌরসভার পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা যথাযথ দায়িত্ব পালন করেন না। তবে পৌর কর্তৃপক্ষ বলছে, শহরবাসী যথাযথ স্থানে ময়লা না ফেলায় এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।

পৌরসভা ও স্থানীয় সূত্র জানাগেছে, পৌরসভার আয়তন ৩২.৯০ বর্গকিলোমিটার। ময়লা-আবর্জনা ফেলার জন্য ১৫০ এর বেশি ডাস্টবিন রয়েছে। তবে এর বেশির ভাগ ভাঙাচোরা। এসব ডাস্টবিন ছাড়াও বিভিন্ন স্থানে শহরবাসী ময়লা-আবর্জনা ফেলেন। এসব স্থান থেকে প্রতিদিন ময়লা সরানো হয় না এবং ভালোভাবে পরিষ্কারও করা হয় না।

গত বুধবার সরেজমিনে দেখা যায়, শহরের বাসটার্মিনাল টেকনিক্যাল স্কুল ও বড়বাজার, শহরের বার্মিজ স্কুলের সামনে, বিমান বন্দর সড়ক, হোটেল মোটেল জোন, কলাতলি ডলফিন মোড়, নতুন সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের রোড, হলিডে মোড়, সদর হাসপাতাল রোড়, লিংকরোড়ও কলাতলি ট্রাফিক বক্সের পাশে ময়লা-আবর্জনা ফেলে রাখা হয়েছে। সেখান থেকে দুর্গন্ধ বের হচ্ছে। দেশি বিদেশি পর্যটকসহ এলাকার লোকজন দুর্গন্ধ থেকে রক্ষা পেতে নাক চেপে ধরে চলাচল করছেন।

কলাতলি বাজার এলাকার বাসিন্দা জাহেদ বলেন, ট্রাফিক বক্সের ড্রেনের ওপরে কয়েক বছর ধরেই ময়লার স্তূপ দেখছি। সব সময় দুর্গন্ধ ছড়ায়। পৌরসভার পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের কোনো দিনই ভালোভাবে পরিষ্কার করতে দেখিনি।

স্থানীয়রা মনে করছেন সচেতনতার অভাবে শহরবাসী ময়লা-আবর্জনা যত্রতত্র রাস্তার ওপর ফেলে যান। ফলে শহর অপরিচ্ছন্ন হয়ে পড়ছে। এ জন্য পৌরবাসীকে সচেতন করতে হবে। পৌর কর্তৃপক্ষকেও ডাস্টবিনের সংখ্যা বাড়াতে হবে।
শহরবাসী সচেতন না হওয়ায় এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে শহরে প্রতিটি এলাকা ও মোড়ে পৌরসভার ডাস্টবিন রয়েছে। তারপরও সাধারণ মানুষ ময়লা-আবর্জনা ডাস্টবিনে না ফেলে রাস্তার ওপরে, বাড়ির সামনে ও মোড়ের মধ্যে ফেলে রাখে।

কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র মুজিবুর রহমান বলেন, অপর্যাপ্ত জনবলের
মধ্যেই আন্তরিকতার সহিত পরিচ্ছন্নতা কর্মিরা পরিস্কার করে যাচ্ছে ।
তারপরও চেস্টা করা হচ্ছে জনস্বার্থে পর্যটন শহরকে পরিস্কার রাখার।
তিনি এসময় স্থানীয়দের আরাে সচেতন হয়ে ডাস্টবিন ব্যবহারের অনুরােধ
করেন। যাতে কক্সবাজার শহর পরিস্কার থাকে।


পূর্ববর্তী - পরবর্তী সংবাদ
       
                                             
                           
ফেইসবুকে আমরা