কৃষকের মুখে হাসিঁ ফোটাতে কাজ করছে স্বপ্নবাজ তরুনরা

প্রকাশিত: ৯:২৭ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১৪, ২০২০

সিয়াম সোহেলঃ

কৃষিপ্রধান দেশ আমাদের এই বাংলাদেশ। কৃষকরা মাথার ঘাম পায়ে ফেলে ফসল ফলান। প্রাকৃতিক দুর্যোগের মতো ভয়াবহ সমস্যা সামনে রেখেও হাজার হাজার টাকা ইনভেস্ট করে কৃষক ফসল ফলানোর কাজে নির্দ্বিধায় নেমে পড়েন। মহান স্রষ্টার নেয়ামত লাভের আশার ফসল ফলানোর কাজে কঠোর পরিশ্রমে নেমে পড়েন। কৃষকের সব কষ্ট দূর হয়ে যায় গোলা ভরা ধান দেখে। মুখে রঙিন হাসি ফোটে সোনালি ফসল দেখে। কিন্তু সেই হাসি অক্ষুন্ন হয়ে যায় ধান বিক্রি করতে গিয়ে। উৎপাদন খরচের চেয়ে কম দামে ধান বিক্রি করতে শোকে পাথর হয়ে যাচ্ছে কৃষকরা। ধানের ন্যায্যমূল্য না পেলে কৃষকরা কি নিয়ে বাঁচবে।

বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে কৃষকের ভূমিকা অপরিসীম এমনটা দাবী করছে কক্সবাজারে প্রতিষ্ঠিত তরুনদের আন্তর্জাতিক YASID( Youth Alliance for Sustainable International Development) নামের একটি সংগঠন। এটি তরুনদের দক্ষতা উন্নয়নে কাজ করে থাকে বলে জানান সংগঠনের নির্বাহী পরিচালক কাইসার হামিদ। তিনি বলেন আমাদের এই সংগঠনের মাধ্যমে তরুনরা তাদের নিজেদের দক্ষতা কাজে লাগিয়ে দেশ,জাতি সমাজের সেবাও উন্নয়নমূলক কাজ করে থাকে। তারই ধারাবাহিকতায় আজ কক্সবাজার রামু রশিদ নগরে ডিসি ক্যামব্রিয়ান স্কুলে একটি সেমিনার অনুষ্টিত হয় যার উদ্দেশ্য ছিলো শহরের তরুন ও গ্রামের কৃষকের সাথে সম্পর্ক তৈরি করা। কারন আধুনিকতার স্পর্শে বর্তমান প্রজন্ম জানেনা ধান থেকে চালের উৎপত্তি, তারা জানেনা বাংলাদেশে কৃষকের অবদান।

সেমিনারে ডিসি ক্যামব্রিয়ান স্কুলের সভাপতি জিয়াউর রহমানের সভাপতিত্বে ও প্রধান শিক্ষক নুরুল আমিনের পরিচালনায় সম্পন্ন করেন কৃষকদের মতবিনিময় সভা। সভায় ঐ স্কুলের শিক্ষক আব্দুর রহিম,ফারহানা জাহান, ইসমত জাহান,জমিলা আক্তার,বেলি ফাতেমা,মিজানুর রহমান,জিয়াউর রহমান,আসহাদ আহমদ আরিফ
নজরুল ইসলাম, মনজুর আলম,মো মোস্তফা ইউনুস বলেন এই এলাকার অতীত ইতিহাস খুবই জঘন্য, তবে এই স্কুল প্রতিষ্টার পর থেকে সামাজিক মূল্যবোধের প্রভাব পড়েছে বলে ধারনা করেন ঐ এলাকার জনসাধারণের।

চলতি মৌসুমে কৃষকের মুখের তরতাজা হাসি কেড়ে নিয়েছে বর্তমান বাজার। উৎপাদন খরচের অর্ধেক দামে ধান বিক্রি করতে হচ্ছে। ১ কেজি গরুর মাংসের চেয়েও কৃষকের হাড়ভাঙা পরিশ্রমের কষ্টার্জিত উৎপাদিত ফসলের দাম কম। মাত্র ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা দরে ধান বিক্রি করতে কৃষকদের চোখের জল টলমল করছে। অসহায় ও নিরুপায় হয়েই কৃষকদের অল্প দামে ধান বিক্রি করতে হচ্ছে। লেবারের পারিশ্রমিক দিতেই ফসলের সব ধান বিক্রি করতে হয়। এমনটা দাবী করেন সেমিনারে উপস্থিত কৃষকেরা।

কৃষক বাঁচানোর উদ্যোগ যদি সরকার গ্রহণ না করে তাহলে কৃষকের আত্মহত্যার পথ বেঁচে নেয়া ছাড়া কোনো উপায় থাকবে না। বর্তমান সরকার সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে ধান কেনার ঘোষণা দিলেও তা পুরোপুরি বাস্তবায়ন হচ্ছে না বলেও জানান কৃষকেরা।

কৃষকদের এমন দূর্দশার কথা শুনে তাদের সাথে একবেলা খাবারের আয়োজন করেন তরুন তরুনীরা। এরপর তাদের মুখে হাসিঁ ফোটানোর উদ্দেশ্যে ফটোশেসন করেন তারা। এবং কৃষকদের পাশে থেকে তাদের যুক্তিক দাবী আদায়ে কাজ করার অঙ্গীকার করেন।

ইয়াসিদের সদস্যরা বলছেন
কৃষক বাঁচলে বাঁচবে দেশ, তবেই পাবো সোনার বাংলাদেশ। কিন্তু সেই কৃষকই যদি না বাঁচে তাহলে সোনার বাংলাদেশ কীভাবে গড়বো। এসময় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সদস্য মোঃ হামিদ,জুবাইর,নাহিদ, সালমা, আয়েশা,ফারজানা, শাহিনা,রুজি, আফিয়া,সিমাসো প্রমূখ।