জেলা প্রশাসন ও জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর কক্সবাজার জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মোঃ ইমরান হোসাইনের নেতৃত্বে গ্যাসের অতিরিক্ত মূল্য বৃদ্ধি সহ নানা পণ্যের মূল্য বৃদ্ধির অভিযোগে লাগাতার অভিযান পরিচালিত হয়ে আসছে।
বিগত ৭ তারিখ একটি গ্যাসের দোকানে মূল্য বৃদ্ধির অভিযোগ নিয়ে অভিযান পরিচালিত হয়। ফলস্বরূপ বুধবার (৭ অক্টোবর) থেকে কক্সবাজারের সকল গ্যাসের দোকান বন্ধ রাখা হয়।
বৃহস্পতিবার (০৮ অক্টোবর) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত কক্সবাজার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে জেলা এলপিজি ব্যবসায়ীরা অবস্থান কর্মসূচীও পালন করে।
৮ই অক্টোবর জেলা প্রশাসনের আশ্বাসে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নিয়েছে এলপিজি ব্যবসায়ীরা। এতে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন ভোক্তা সাধারণ।
জেলা প্রশাসন ও জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর কক্সবাজার জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মোঃ ইমরান হোসাইন একটি ফেইসবুক স্ট্যাটাসে
উক্ত ঘটনাটি কক্সবাজার জেলার ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরকে বিতর্কিত করার গভীর ষড়যন্ত্র বলে আখ্যা দিয়েছেন;
স্ট্যাটাস হুবহু তুলে ধরা হলোঃ
কক্সবাজারে এলপিজি সমিতির ধর্মঘট ও কতিপয় অতি মুনাফাখোর ব্যাক্তি/ সিন্ডিকেটের ইতিবৃত্ত।
প্রথমেই বলে রাখি এখানে খুচরা ব্যবসায়িদের কোন দোষ নাই, উনাদের ভুল বুঝিয়ে একটা গ্রুপ/সিন্ডিকেট এই কাজ করতেছে, আর আমি কোন খুচরা ব্যবসায়িকে জরিমানাও করি নাই।
এই বিষয়ে উল্লেখ্য আমার সাথে গ্যাস ব্যবসায়িদের একটা মিটিং হয়েছিল সেটার পর কোন খুচরা ব্যবসায়ি জরিমানা গুনে নাই কারন ম্যাক্সিমামই প্রতিশ্রুতি মেনেই ব্যবসায় করছিল, ২/৪ জন যারা জরিমানা গুনেছে তার কারন মেয়াদ উত্তীর্ন ফায়ার ইস্টিংগুইসার রাখা, মূল্য তালিকা না রাখা, হালনাদাগ বিস্ফোরক না থাকা এসব।
যেই দোকানে তালা দেওয়া হইছে তাদের বিরুদ্ধে স্পেসিফিক অভিযোগ দেয় গ্রাহক, অভিযোগের প্রেক্ষিতে আমি উনাকে অফিসে ডাকলে উনি অফিসে আসে নাই, পরের মাসে সেইম গ্রাহক একই অভিযোগ দেয় আমি আবার ফোন দিলে উনি ফোন ধরে নাই, ব্যাকো করে নাই। যার কারনে দোকানে যাই দোকানে মালিক ছিলনা কর্মচারির জরিমানা পরিশোধের ক্ষমতা নাই তাই দোকানে সাময়িক বন্ধ করা হয়।এবার আসি যোক্তিকতায়।
১। আমার সাথে ব্যবসায়িদের মিটিং এর পর সব প্রাইভেট কোম্পানির গ্যাস সঠিক দামেই বিক্রি করছিল একমাত্র সরকারি এলপিজি ছাড়া যার পরিবেশক কক্সবাজার এন্টার প্রাইজ।
২। সরকার যখন এই গ্যাসের দাম ৭৫০/- নির্ধারন করছিল তখন বাজারে ৭৮০/- ছিল খুচরা মূল্য আমার কাছে ৩ মাস আগের ডকুমেন্ট আছে, এখন সরকার ৬০০/- নির্ধারণ করল আর এই প্রতিষ্ঠান উল্টা ৮৫০/- করে বিক্রি করল, এমন কি বর্তমানেও এই গ্যাস সদরেই প্রায় দোকানে ৭৫০/- করে বিক্রি হলেও ঐ দোকানে ৮৫০/-।
এবার বলেন সরকার ১৫০/- কমাইল উনি ৮০ টাকা বাড়াইল কারন কি?
প্রাইভেট গ্যাস ৭২০-৭৪০ কিনে ৮৫০ বিক্রি করে, এই প্রতিষ্টান ৫৭৫/- টাকায় গ্যাস কিনে ৮৫০/- বিক্রি করে, আপনারাই বলেন এর যৌক্তিক কারন কি?
আর সারা দেশে এমন কি উখিয়া, রামু উপজেলা গুলাতেও যদি সরকারি এল পি ৭০০/- এর নিচে খুচরা বিক্রি হয় সদরে কি কারনে ৮৫০/- হবে, আর সারা দেশে যদি পারে এই একজন কেন পারেনা?
৩। আমি ফোন দিয়ে ডাকলে অফিসে আসেনা , ফোন ধরে না আমি কি করতে পারি তখন? আর এই যে ধর্মঘট করল তার আগে কি আসছে উনারা আমার কাছে?আমার কাছে না আসুক সমিতির উপদেষ্টানের অনুমতি নিছে, ডিসি স্যারের সাথে কথা বলছে? কার ইশারায় ধর্মঘট করল?
৪। ধর্মঘটে যারা হুমকি দিল গালাগালি করল তারা কে ? ব্যাবসায়ি নাকি সন্ত্রাসী? আমার কাছে ভিডিও আছে, আমি মামলা করব পুরা কমিটির নামে, তবে হ্যা যদি উনারা যে যে হুকমি দিছে তার নাম বলে দেয় তাহলে শুধু তার তার নামেই মামলা হবে, মামলা একটা না ৫টা হবে, আর মামলার বাদি রাস্ট্র।
৫। এই কান্ড যারা ঘটাইছে তারা শুধুমাত্র সরাকারি এল পি গ্যাসের ডিলার বাকিদের এখানে কোন হাত নাই।
৬। এই যে সমিতি তাদের কি রেজিস্ট্রেশন আছে? এই সমিতির মেম্বার হতে ১৩,১০০/- লাগে, এই টাকা কই যায়, ধর্মঘটের দিন ও আগের দিন মিলায়ে ২/৩ লাখ টাকা খরচ হইছে এইটাকার ডোনার কে? এই যে ধর্মঘট এর সাথে ৭০% ব্যবসায়ি জড়িত না, এই সিন্ডিকেট এবং তার সাথে জড়িত কিছু ব্যবসায়ি ছাড়া সবাই এর বিরুদ্ধেই ছিল, জোর করে সিন্ডিকেট খুচরা ব্যবসায়িদের দোকান বন্ধ করাইছে, অনেক জায়গায় এই নিয়ে সংঘর্ষও হইছে।
আরো আছে এই সিন্ডিকেট খুচরা ব্যবসায়িদের ওদের কাছ থেকে মাল কিনতে বাধ্য করে, বাইরে থেকে কাউকে মাল আনতে দেয়না, কিছুদিন আগে এক ব্যবসায়ির এক ট্রাক মাল ছিনতাইয়ের অভিযোগ আছে।
৬। কক্সবাজারে যত বিস্ফোরক লাইসেন্স ছাড়া দোকান আছে সব সিন্ডিকেটের আশ্রয়ে চলে, আমি সেই সব দোকানে গেলে যে প্রতিষ্ঠান বন্ধ করছি তার মালিক আমাকে ফোন দেয়, শুধু তাই নয় সেই ব্যাক্তি মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে অনেক ব্যাক্তিকে বিস্ফোরক লাইসেন্স করে দিবে বলে টাকা নিলেও এখনো দেয় নাই, বরং লাইসেন্স ছাড়া ব্যবসায় পরিচালনায় সহযোগিতা করে।সেই ব্যাক্তি / সিন্ডিকেট নিজের অপকর্ম ঢাকার জন্য মানুষ জিম্মি করল খুচরা ব্যবসায়িদের মাথায় কাঠাল ভেংগে খেল, এইবার বলেন ধর্মঘট যৌক্তিক? নাকি দোকানে তালা যোক্তিক?
আর খুচরা ব্যবসায়ি ও ভোক্তাদের কাছে প্রশ্ন আপনারা কি এই সিন্ডিকেট চান নাকি সিন্ডিকেট মুক্ত ব্যাবসায় চান?
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ মুনতাকিম হোছাইন
বার্তা সম্পাদক: ইকবাল হোছাইন
মেইলঃ bangladeshpaper71@gmail.com
অফিসঃ ০১৮৮-৬৬১০৬৬৬ বার্তা প্রধান ০১৮৫৭৬৭১৯৪৩
কপিরাইট আইন,২০০০ © অনুসারে বাংলাদেশ পেপার কতৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত