বাংলাদেশ, , শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

শহরের ২ টি স্পটে মাসে ২ লাখ টাকা চাঁদাবাজী

বাংলাদেশ পেপার ডেস্ক ।।  সংবাদটি প্রকাশিত হয়ঃ ২০২০-০৯-২৮ ১১:৩০:০৭  

মাহাবুবুর রহমানঃ
কক্সবাজার শহরের দুটি স্পটে সিএনজি ষ্টেশন বসিয়ে মাসে ২ লাখ টাকা চাঁদাবাজী চলছে। প্রধান সড়কের বিলকিস মার্কেটের পাশে এবং স্টেডিয়ামের পাশের রাস্তার উপর অবৈধ সিএনজি ষ্টেশন বসিয়ে প্রতি গাড়ী থেকে চাঁদা আদায় করা হচ্ছে যার পরিমান ২ লাখ টাকার বেশি। আর এসব টাকার ভাগ নিয়মিত পৌছে যাচ্ছে ট্রাফিক পুলিশের কাছে তবে দুটি ষ্টেশনের মধ্যে একটি নিয়ন্ত্রন করে সরকারি দলের শ্রমিক নেতা অন্যটি ছাত্রলীগের নেতা। তবে নিয়মিত দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। প্রায় সময় এসব অবৈধ সিএনজি ষ্টেশনের কারনে এসব রাস্তায় যানজট লেগে থাকে বলে জানান সাধারণ মানুষ।
কক্সবাজার শহরের বিলকিস মার্কেটের পাশে প্রধান সড়কে প্রায় সময় দাড়িয়ে থাকতে দেখা যায় অসংখ্য সিএনজি যাদের গন্তব্য টেকনাফ বা শাপলাপুর ইউনিয়ন। এই অবৈধ সিএনজি ষ্টেশনে দাড়ানো সিএনজি চালকের সাথে কথা বলে জানা গেছে এই ষ্টেশনে দৈনিক ৫০/৬০ টি সিএনজি দাড়ায় যাদের কাছ থেকে দৈনিক ৫০ টাকা আদায় করা হয়। সে হিসাবে এই ষ্টেশন থেকে দৈনিক প্রায় ৩ হাজার টাকা চাঁদা উঠে যা মাসে ৯০ হাজার টাকা। আর এসব টাকা আদায় করে জলিল নামের একজন। পরে খোঁজ নিয়ে জলিলের সাথে কথা বলে জানা গেছে,দৈনিক প্রতি সিএনজি থেকে ৪৫ টাকা নির্ধারিত তবে অনেকে খুশি হয়ে ৫০ টাকা দেয়। এই টাকার মধ্যে ১৫ টাকা তার জন্য আর বাকি ১৫ টাকা পৌরসভার পার্কিং ফি,আর বাকি টাকা শ্রমিক সংগঠনের নেতাদের জন্য। তবে প্রধান সড়ক থেকে কিভাবে পৌর পার্কিং ফি আদায় করা যায় সে বিষয়ে জানতে চায়লে টাকা নেওয়া ভারুয়াখালী ইউনিয়নের শহিদুল্লাহ মেম্বার নামের একজন জানান,আমরা পৌরসভার পার্কিং ইজারা নিয়েছি তাই গাড়ী যেখানে থাকে সেখান থেকে টাকা তুলি। তবে প্রধান সড়ক থেকে তুলাটা ভুল এটা নিয়ম নাই। পরে আবার ফোন করে তিনি বলেন,আমি সেখানে দায়িত্বশীলদের বলে দিয়েছি গাড়ী যেন আর প্রধান সড়কে না থাকে। এদিকে শহরের স্টেডিয়াম সড়কের পাশে দৈনিক প্রায় ১৫০ টি সিএনজি দাড়িয়ে থেকে ভাড়া নিয়ে আসা যাওয়া করে বলে জানান সেখানে দায়িত্বশীলরা। তাদের দাবী প্রতি সিএনজি থেকে দৈনিক ৩০ টাকা চাঁদা তুলা হয় সে হিসাবে এই ষ্টেশন থেকে দৈনিক সাড়ে ৪ হাজার টাকা চাঁদা উঠে। যা মাসে ১ লাখ ৩৫ হাজার টাকা। এ সময় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন বলেন,এখানে উঠা চাঁদা থেকে দৈনিক কর্মচারীর টাকা বাদে বাকি সব টাকা জেলা ছাত্রলীগের একনেতার কাছে চলে যায়। তিনি কোথায় দেন সেটা আমরা জানিনা। এদিকে জেলা ক্রীড়া সংস্থার সদস্য প্রভাষক আশরাফুল আজিজ সুজন বলেন,এখানে সিএনজি ষ্টেশনের কারনে খেলোয়াড় সব সর্বস্থরের মানুষের ব্যাপক সমস্যা হচ্ছে। বিশেষ করে সিএনজি গুলো রাস্তা দখলকরে দাড়িয়ে থাকার কারনে প্রায় সময় যানজট লেগে থেকে। এছাড়া সামনেই একটি উচ্চ বিদ্যালয় যেখানে অসংখ্য মেয়ে লেখাপড়া করে তারা টিফিন ছুটিতে বের হতে পারেনা সিএনজি চালকরা তাদের নানা ভাবে সমস্যা সৃষ্টি করে। এদিকে প্রধান সড়কের সিএনজি ষ্টেশনের কারনে প্রায় সময় যানজট সহ বহুবিধ সমস্যা তৈরি হচ্ছে বলে জানান স্থানীয় ব্যবসায়িরা। তাই দ্রুত এসব অবৈধ সিএনজি ষ্টেশন উচ্ছেদ করে চাঁদাবাজী বন্ধ করা সহ সড়ক উন্মোক্ত রাখার আহবান জানিয়েছে সচেতন মহল। এ ব্যাপারে সদ্যবিদায়ী কক্সবাজার ট্রাফিক পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার বাবুল চন্দ্র বনিক বলেন,আগে সব গাড়ী ভোলা বাবুর পেট্রোল পাম্পের পাশে থাকতে তাই সেখানে সব সময় যানজট লেগে থাকতো তাই সিএনজি গুলোকে আলাদা করা করে কয়েকটি স্পটে দেওয়া হয়েছে শহরের যানজট কমানোর জন্য তবে সেখান থেকে চাঁদা নেওয়ার বিষয়টি আমার জানা নেই। সেটা কেউ করে থাকলে তার বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।


পূর্ববর্তী - পরবর্তী সংবাদ
       
                                             
                           
ফেইসবুকে আমরা