বাংলাদেশ, , শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪

কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগ নেতার,কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ বরাবর খোলা চিঠি

বাংলাদেশ পেপার ডেস্ক ।।  সংবাদটি প্রকাশিত হয়ঃ ২০২০-০৯-১৭ ১৩:৩১:৫৩  

বরাবরে,
সভাপতি -সম্পাদক,
বাংলাদেশ ছাত্রলীগ
কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদ।

পত্রের শুরুতে কক্সবাজারের সমুদ্র জনপদ থেকে জানাই মুজিবীয় শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নিজ হাতে ১৯৪৮ সালের ৪ঠা জানুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হলে এইদেশের মানুষের পাশে থাকার জন্য বাংলাদেশ ছাত্রলীগ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।জাতির পিতার নিজ হাতে গড়া সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ আজ দক্ষিণ এশিয়ার সর্ববৃহৎ ছাত্রসংগঠন। সারা বাংলাদেশে এখন ৫০ লক্ষ নেতাকর্মীর ছাত্রসংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।
বাংলাদেশের যেকোন দুর্যোগ, লড়াই সংগ্রামে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের অবদান অপরিসীম। যুগে যুগে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা এদেশের ছাত্রসমাজ ও এদেশের মানুষের কল্যানের জন্য সাধারণ মানুষের পাশে থেকে কাজ করে যাচ্ছেন।
বাংলাদেশ ছাত্রলীগ মানে একটা ছেলের জন্য আবেগ ও ভালবাসা একজন প্রকৃত মুজিব সৈনিক তার জীবনের চাইতে তার প্রিয় সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে ভালবাসে।
ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা জীবনের মায়া ত্যাগ করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ ও দেশরত্ন শেখ হাসিনার ভ্যানগাড় হিসাবে কাজ করে থাকেন।দলের দুঃসময়ে তৃণমূলের ত্যাগী নেতাকর্মীরাই দলকে ঠিকিয়ে রাখে।
বাংলাদেশ ছাত্রলীগ একটি ঐতিহ্যবাহী ছাত্রসংগঠন। সারা বিশ্বে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ইতিহাস বিরল।বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা জীবনের সর্বোচ্চ ঝুকি নিয়ে সাধারণ মানুষের পাশে থেকে যাচ্ছে যুগ যুগ ধরে।

বাংলাদেশ ছাত্রলীগে কয়েকবছর পর পর কেন্দ্র থেকে শুরু করে ওর্য়াড় পর্যায়ে নেতৃত্বের পরিবর্তন গঠে। আর বাংলাদেশ ছাত্রলীগের একটি নিদ্দিষ্ট বয়সসীমা ও থাকে।২৯ বছর আর কেউ ছাত্রলীগে থাকতে পারে না।তাই বাংলাদেশ ছাত্রলীগ একজন রাজনীতিবীদ এর ফাউন্ডেশন এই বলা যায়।বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক নেতাকর্মীরাই আজ বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ এর গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করছেন।প্রত্যেকটা জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে ও ছাত্রলীগের সাবেক নেতাকর্মীরা দলের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করে থাকেন।

বর্তমানে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ এর সুসময় ঠিক তেমনিভাবে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ও সুসময় বর্তমান সময়ে বাংলাদেশ ছাত্রলীগে কিছু সুদিনের মৌমাছি প্রবেশ করেছে।যারা দলের ভিতর প্রবেশ করে দলের সুনাম ক্ষুন্ন করে থাকে।

বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সংগ্রামী সভাপতি শ্রদ্ধেয় আল নাহিয়ান খান জয় ভাই বিপ্লবী সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য দাদা বাংলাদেশ ছাত্রলীগের একজন কর্মী হিসাবে আপনাদের কাছে আকুল আবেদন আপনারা আগামীতে বিভিন্ন জেলায় কমিটি গুলো করার সময় দয়াকরে সম্মেলন এর মাধ্যমে ও স্বচ্ছ গোয়ান্দা রিপোর্টের মাধ্যমে গঠন করুন। না হয় অযোগ্যদের হাতে ও সুসময়ের মৌমাছিদের হাতে বিভিন্ন জেলা ছাত্রলীগের দায়িত্ব চলে যেতে পারে।আর সম্মেলনের মাধ্যমে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের বিভিন্ন জেলার কমিটি গুলো না হলে চরমভাবে হতাশ হবে তৃণমূল ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। যারা দুঃসময়ে দলকে সুসংগঠিত করে রাখে।
বাংলাদেশ ছাত্রলীগের শ্রদ্ধেয় দুই অভিভাবক আপনাদের কাছে বাংলাদেশের ছাত্রলীগের ৫০ লক্ষ নেতাকর্মীদের অনেক কিছু চাওয়া।দেশরত্ন শেখ হাসিনা আপনাদের উপর আস্থা ও বিশ্বাস রেখেছেন আপনারাই পারবেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের হারানো ঐতিহ্য ফিরে আনতে ও সুদিনের মৌমাছিদের থেকে বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে রক্ষা করতে।
বর্তমান সময়ে জেলার গুরুত্বপূর্ণ পদে আসার জন্য মাঠের রাজনীতি ছেড়ে ফেইসবুক ও ঢাকায় লবিং নিয়ে ব্যস্ত থাকে।আর নিজেদের অনেক বড় নেতা হিসাবে প্রমাণ করতে ব্যস্ত থাকে।এইসব নেতাকর্মীদের প্রতি আপনারা কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন এই প্রত্যাশা।
আপনারাই পারবেন আপনাদের প্রতি শতভাগ আস্থা ও বিশ্বাস বাংলাদেশ ছাত্রলীগের শ্রদ্ধেয় দুই অভিভাবক আল নাহিয়ান খান জয় ভাই ও লেখক ভট্টাচার্য দাদা।

বাংলাদেশ ছাত্রলীগের প্রিয় দুই অভিভাবক সংগ্রামী সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ভাই ও বিপ্লবী সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য দাদা আপনাদের জন্য রইল অশেষ শুভ কামনা।আপনারাই তৃণমূল ছাত্রলীগের শেষ আশ্র‍য় ও ভরসাস্থল।

নিবেদকঃ
মোহাম্মদ জাবিদ হাসান জীবন।
অর্থ সম্পাদক।
বাংলাদেশ ছাত্রলীগ,
কক্সবাজার জেলা।


পূর্ববর্তী - পরবর্তী সংবাদ
       
                                             
                           
ফেইসবুকে আমরা