চকরিয়ায় ইউপি চেয়ারম্যান গরু চোর অপবাদ দিয়ে মা মেয়েকে প্রকাশ্য রশিতে বেধে বর্বর নির্যাতন।

প্রকাশিত: ৩:৪৯ অপরাহ্ণ, আগস্ট ২৩, ২০২০

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

কক্সবাজারের চকরিয়ায় গরু চোরের অপবাদ দিয়ে নির্মমভাবে মারধরের পরে প্রকাশ্য দিবালোকে কোমরে রশি বেঁধে মা এবংশাস্তিস্বরুপ তরুণী মেয়েকে রাস্তায় ঘোরানো হয়। পরে ইউপি চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে নিয়ে গিলে জনসম্মুখে আবারও বেকায়দায় অমানিবক নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। অমানবিক নির্যাতনের চিত্র বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়,পুরো জেলা জুড়ে উঠেছে নিন্দার ঝড়।
গত শুক্রবার (২১ আগস্ট) আনুমানিক দুপুর ২টার দিকে চকরিয়ার হারবাং ইউনিয়নে দক্ষিণ পহরচাঁদা ৫নং ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় শুক্রবার রাতে থানায় একটি গরু চোরের মামলা করা হয়েছে বলে জানা যায়।

গরু চোরের মিথ্যা অপবাদে নির্যাতিত পারভিন আক্তার (৪২) ও মেয়ে সেলিনা আক্তার (৩০) রোজিনা আক্তার এবং ছেলে আরমান (২৮)

চারজনের বাড়ি পটিয়া উপজেলা শান্তিরহাট কুসুমপুর ইউনিয়নে ৯নং ওয়ার্ডে আবুল কালামের স্ত্রী সিএনজি ড্রাইভার মো ছুটু পেকুয়ার লালব্রিজ এলাকায়।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, চকরিয়া উপজেলা হারবাং দক্ষিণ পহরচাঁদা এলাকায় মা ও তরুণী মেয়েকে ‘গরু চোর’ মিথ্যা অপবাদ দিয়ে নির্মমভাবে পিটিয়ে গ্রামে প্রকাশ্য দিবালোকে ঘোরানো হয়। এর পরে হারবাং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান মিরানুল ইসলাম চৌকিদার (গ্রাম পুলিশ) পাঠিয়ে তাদেরকে রশিতে বেঁধে তার কার্যালয়ে এনে আবার নির্মমভাবে নির্যাতন করেন। মারধরে শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে হারবাং পুলিশ ফাঁড়িকে অবগত করলে পুলিশ এসে মা ও মেয়েকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

চকরিয়া থানার হারবাং পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ও পরিদর্শক আমিনুল ইসলাম জানান, শুক্রবারে গরু চোরের ঘটনায় মা-মেয়েসহ চারজনের আটক করে স্থানীয়রা ফাঁড়ি পুলিশকে খবরটি দেন। এর পর মা-মেয়েকে গুরুতর আহত অবস্থা উদ্ধার করে চিকিৎসার ব্যবস্থা করে পুলিশ।

এ বিষয়ে চকরিয়া থানার ওসি মোঃ হাবিবুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় ভুক্তভোগীদের কারও কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। ভুক্তভোগী কেউ যদি অভিযোগ করে তাহলে জড়িতদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান