নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
বুধবার (৫ আগস্ট) গত রাতেই চট্টগ্রাম চলে আসেন ওসি প্রদীপ এবং রাত থেকেই নগর গোয়েন্দা পুলিশের হেফাজতে সিএমপি সদর দপ্তরে অবস্থিত পুলিশ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। সেখান থেকেই তাকে গ্রেফতার করা হয়।
সিএমপি কমিশনার গণমাধ্যমকে বলেন, ‘ওসি প্রদীপ কুমার চট্টগ্রামের দামপাড়ায় পুলিশ লাইনে অবস্থিত সিএমপির হাসাপাতালে চিকিৎসা নিতে এসেছিলেন। সেখান থেকে তাকে আমরা হেফাজতে নিয়েছি। এখন তাকে বিশেষ নিরাপত্তায় কক্সবাজার আদালতে পাঠানো হচ্ছে। সেখানে তিনি আত্মসমর্পণ করবেন।’
এর আগে কক্সবাজারের টেকনাফে পুলিশের গুলিতে সাবেক সেনা কর্মকর্তা সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান নিহতের ঘটনায় টেকনাফ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে বুধবার (৫ আগস্ট) রাত ১০টায়। মেজর সিনহার বোনের করা মামলাটি থানায় রাতেই নথিভুক্ত হয়েছে। আদালতের নির্দেশে মামলাটি থানায় নথিভুক্ত করা হয়েছে বলে থানা সূত্রে জানা গেছে। এ ব্যাপারে টেকনাফ থানার বর্তমান ওসি এসবি দোহার সঙ্গে একাধিক যোগাযোগেও চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
মেজর সিনহার বোনের দায়ের করা মামলায় বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইন্সপেক্টর লিয়াকতকে প্রধান আসামি ও টেকনাফ থানার প্রত্যাহারকৃত ওসি প্রদীপ কুমার দাসকে দ্বিতীয় আসামি করে আরও ৯ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। মামলার অন্য আসামিরা হলেন- বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের উপপরিদর্শক (এসআই) নন্দ দুলাল রক্ষিত, কনস্টেবল সাফানুর করিম, কামাল হোসেন, আব্দুল্লাহ আল মামুন, সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) লিটন মিয়া, সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) টুটুল ও কনস্টেবল মোহাম্মদ মোস্তফা।
উল্লেখ্য, ৩১ জুলাই (শুক্রবার) রাত ১০টার দিকে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মেজর (অব.) সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান।
@bangladeshpaper
"বাংলাদেশ পেপার" এ ব্যবহৃত সকল সংবাদ ও আলোকচিত্র বিনা অনুমতিতে ব্যবহার করা সম্পূর্ণ বেআইনি।