বাংলাদেশ, , শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

কালারমারছড়ায় প্রতিশ্রুতির পরও ঘরছাড়া শতাধিক পরিবার। কাকতলীয়ভাবে বন্ধ ঘর নির্মাণ।

বাংলাদেশ পেপার ডেস্ক ।।  সংবাদটি প্রকাশিত হয়ঃ ২০২০-০৭-২০ ১৭:৪৩:১৬  

মহেশখালী প্রতিনিধিঃ

মহেশখালীর কালারমারছড়া ইউনিয়নে ঘরছাড়া হয়ে পড়েছে শতাধিক ঘরের হাজারো মানুষ। প্রশাসন এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতিশ্রুতির পরও হচ্ছেনা প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন।

মহেশখালীর কালারমারছড়া ইউনিয়নের সম্রান্ত কয়েকটি পরিবারের মধ্যে খউস্যার বংশ অন‍্যতম।
যেই বংশে প্রায় হাজারো মানুষের বসবাস। কিন্ত সমাজের ক্ষমতার দ্বন্দ্ব এবং রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়ে বংশের সব মানুষ প্রায় ৮ বছর ধরে এলাকা ছাড়া হয়ে নির্বাসিত জীবন যাপন করছে। শুধু এলাকা ছাড়া নয়। তাদের বসত ভিটায় সাজানো ডজন খানেক দালান ঘর সহ শতাধিক ঘরের সব কিছুই উদাও। উক্ত বংশের মুরুব্বী উপজেলার পরিচিত মুখ ইসলাম মাতাব্বর,ছিদ্দিক মাতাব্বর ও জালাল মেম্ববারসহ বহুজনকে মরতে হয়েছে ভাড়া বাসায় কিংবা অাত্বীয় স্বজনের বাসায় ।
জালাল মেম্বারের লাশটির একটু ঠাইওও যেন জন্মস্থানে হয়নি।দাফন করতে হয়েছে চকরিয়ার কাকারায়। এ ধরণের অারো বহুজনের কবর হয়েছে জেলার বিভিন্ন স্থানে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, একটা হত্যাকে পুঁজি করেই পারিবারিক রোষানলে বছরের পর বছর বাড়ী ফিরতে দিচ্ছেনা একটি প্রভাবশালী গ্রুফ খউস্বর গ্রুফের নিরাপরাধ শতাধিক পরিবারের হাজারো মানুষকে।
এরই জের ধরে ঐ দিন রাতে প্রতিপক্ষের বর্তমান জনপ্রতিনিধির শতাধিক লোক খউস্যার বংশের বসতবাড়িতে হামলা চালিয়ে সব কিছুই লুঠ করে নিয়ে যায় বলেও জানা যায়। পরনের কাপড় ব‍্যাতীত সবকিছুই যেন লুন্ঠনের শিকার। অন্তত পক্ষে ৫০ কোটি টাকার মালামাল সহ দালান ঘরের সব কিছুই নিয়ে যায় লুঠ করে।এমনকি তাদের বসত ভিটার মাঠিও রক্ষা পায়নি লুন্ঠনের এই মহাযজ্ঞ থেকে।

জানাগেছে, ওই হত্যার অাসামী সহ অন্যান্য অপরাধীরা অতীতের সব কর্ম ভুল শিকার করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে অাসার অাশায় দু- দফায় প্রায় দেড় শতাধিক অপরাধী বিপুল সংখ্যক বন্দুক,গোলাবারুদ সহ অানুষ্টানিক ভাবে অাত্মসমর্পণ করেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে।এ অানুষ্টানিকতায় মধ্যস্ততাকারী হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন পেকুয়ার সন্তান সাংবাদিক অাকরাম হোসেন। তাকে মহেশখালী হতে সম্পূর্ণ সহযোগিতা করেন স্থানিয় সাংবাদিক হোবাইব সজিব।

গণমাধ্যমকর্মী ছালাম কাকলি বলেন, হোবাইব সজীব চেয়েছেন কমল বংশ অার খউস্যার বংশ পরস্পর অাত্নীয়। তাই অতীতের সব কিছুই ভূলে গিয়ে অতীতের ন্যায় জীবন যাপন হোক উভয় বংশের নারী-পুরুষদের মধ্যে।

অাত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে অতিথিদের দেয়া ওয়াদা অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নির্দেশে কক্সবাজার জেলা পুলিশ সুপারএ বিএম মাসুদ হোসেনের এক অাদেশে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইকবাল হোসেন এর নেতৃত্বে মহেশখালী থানার পুলিশের একটি দল গত ২৯ ফেব্রুয়ারী কালারমারছড়া মোহাম্মদ শাহ ঘোনা আত্মসম্পর্ণকারী পরিবারের বসতবিঠা খউস্যার পাড়ায় যান।এ সময় সাংবাদিক অাকরাম ও উপস্থিত ছিলেন। বসতবাড়ী নির্মানের জন্য চারদিকে টিন দিয়ে সীমানার প্রাচীর দেয়া হয়। তার পর ঘর নির্মানের কাজ শুরু করেন। এতে ঐ বংশের নারী-পুরুষদের মাঝে নেমে অাসে শ্বস্তি। কিন্তু হটাৎ ২ দিনের মাথায় কাকতালীয়ভাবে তা থেমে যায়। অসহায় অবস্থায় ১০/১৫ লাখ টাকার ঘর নির্মানের মালামাল এনে তা এখন সেখান পচে-গলে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

অপরদিকে জনবান্ধব প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জলদস্যু ও সন্ত্রাসীদের মধ্যস্থকারীরা এসব পরিবারের ঘরবাড়ী নির্মানের ব্যবস্থা করতে এগিয়ে অাসবেন বলে অাশা করে অত্র এলাকার শান্তি প্রিয় বাসিন্দারা।
উল্লেখ্য, গত ২৩ নভেম্বর ২০১৯ ইং মহেশখালী উপজেলার কালারমার ছড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে আত্মসমর্পণ করা ৯৬ জন জলদস্যু, শীর্ষ অস্ত্রের কারিগরদের মধ্যস্থতা করেছেন দেশের আলোচিত সাংবাদিক আকরাম হোসেন।
আর স্থানিয় সাংবাদিক হোবাইব সজীব জলদস্যু ও সন্ত্রাসীদের উদ্বুদ্ধ করে সাংবাদিক আকরাম হোসেনের মধ্যস্থতায় আনুষ্ঠানিকভাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এমপি, সাবেক আইজিপি ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী বিপিএম (বার) এর কাছে ভয়ংকর ১৫৫ অস্ত্র, অস্ত্র তৈরীর সরঞ্জাম ও প্রচুর গোলাবারুদ সহ আত্মসমর্পণ করেন।

এছাড়া ২০ ই অক্টোবর ২০১৯ ইং মহেশখালীতে আত্মসমর্পণকৃত ৬ টি কুখ্যাত সশস্ত্র জলদস্যু বাহিনীর ৪৩ জন জলদস্যুর মধ্যে ৫ টি সশস্ত্র ভয়ংকর বাহিনীর ৩৭ জন জলদস্যুকে উদ্বুদ্ধ করনের মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করার জন্য উল্লেখ যোগ্য ভূমিকা রাখেন উল্লাখিত গণমাধ্যম কর্মীরা উক্ত অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ছাড়া বর্তমান পুলিশের আইজিপি ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী উপস্থিত ছিলেন। যারা জলদস্যুতার জীবন ছেড়ে এখন স্বাভাবিক জীবনে ফিরে এসে স্বাচ্ছন্দ্যে জীবন যাপন করছেন।
সাবেক এক জনপ্রতিনিধি জানিয়েছেন, জলের কুমিরকে ডাঙ্গায় আনতে মধ্যস্থকারী সাংবাদিক আকরাম ও সহযোগী হোবাইব সজীব এই দুই কমর্ঠ যে ঝুঁকিপূর্ণ ও দুঃ সাহসিক কাজ করে সারাদেশে ব্যাপক সাড়া ফেলেন। তাঁদের এ মহৎ উদ্যােগ সর্ব মহলের ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রশাসনের এক শীর্ষ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, যারা আত্মসমর্পণ করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে এসেছে তাঁরা নিজ এলাকায় ফিরে আসুক সেটা আমরা ও চাই।

নিজেদের বাড়ি ঘরে ফিরে গিয়ে বসবাস ঐক্যের সাথে বসবাস করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন শান্তিপ্রিয় এলাকাবাসী।


পূর্ববর্তী - পরবর্তী সংবাদ
       
                                             
                           
ফেইসবুকে আমরা