বাংলাদেশ, , শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

চিকিৎসকরাও হতে পারবেন ডিআইজি-এসপি

বাংলাদেশ পেপার ডেস্ক ।।  সংবাদটি প্রকাশিত হয়ঃ ২০১৯-০৭-২৭ ১২:৩৯:৫২  

ডেস্ক নিউজঃ

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন দফতর ও সংস্থার হাসপাতালগুলোর চিকিৎসক, নার্স ও প্যারামেডিক নিয়োগে আলাদা ‘মেডিকেল ইউনিট’ হচ্ছে। এ ইউনিটের অধীন পুলিশ, বিজিবি, আনসার, কারা হাসপাতালসহ একটি কেন্দ্রীয় হাসপাতালও থাকবে।

যেখানে মাদক নিরাময় ও বার্ন ইউনিটসহ গুরুত্বপূর্ণ রোগের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক থাকবেন। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সামরিক বাহিনীর মতো যোগ্যতা অনুযায়ী নিজ নিজ বাহিনীর র‌্যাংক প্রদানের চিন্তাভাবনা চলছে। খবর সংশ্লিষ্ট সূত্রের।

সূত্র আরও জানায়, প্রস্তাবিত এ মেডিকেল ইউনিট গঠন করতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের অতিরিক্ত সচিবকে (পুলিশ ও এনটিএমসি) প্রধান করে ১৪ সদস্যের একটি শক্তিশালী কমিটি করা হয়েছে। এ কমিটি ইতিমধ্যে কয়েক দফা বৈঠক করে এর জনবল কাঠামো, নিয়োগবিধি ও এ সংক্রান্ত ধারণাপত্র তৈরি করতে একটি উপকমিটিও গঠন করেছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (পুলিশ ও এনটিএমসি) ও কমিটির প্রধান নুরুল ইসলাম বুধবার যুগান্তরকে বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীন বিভিন্ন সংস্থার হাসপাতালগুলোর চিকিৎসক, নার্স ও প্যারামেডিক নিয়োগের জন্য একটি মেডিকেল ইউনিট করা হবে।

এ জন্য গঠিত কমিটি ইতিমধ্যে দু’দফা বৈঠক করে মেডিকেল ইউনিটের সাংগঠনিক কাঠামো, নিয়োগবিধি, কার্যপরিধিসহ এ সংক্রান্ত পূর্ণাঙ্গ ধারণাপত্র তৈরি করতে একটি উপকমিটি গঠন করেছে। বিষয়টি একেবারেই প্রাথমিক অবস্থায় রয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের ২০ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পরিদর্শন করেন। কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দেন- স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীন কারা হাসপাতাল, পুলিশ হাসপাতাল, বিজিবি হাসপাতাল ও আনসার পরিচালিত হাসপাতালগুলোর চিকিৎসক, নার্স ও প্যারামেডিক নিয়োগের জন্য পৃথক ‘মেডিকেল ইউনিট’ গঠন করতে হবে।

এ সংক্রান্ত প্রকল্প প্রণয়নের সঙ্গে সঙ্গে জনবল সৃজন ও নিয়োগের উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ১০ এপ্রিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (পুলিশ ও এনটিএমসি) মো. নুরুল ইসলামের সভাপতিত্বে এ সংক্রান্ত একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় মেডিকেল ইউনিট গঠনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (পুলিশ ও এনটিএমসি) মো. নুরুল ইসলামকে প্রধান করে ১৪ সদস্যের শক্তিশালী কমিটি করা হয়। ওই কমিটি ৮ জুলাই প্রথম বৈঠক করে।

বৈঠকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যেসব সংস্থার হাসপাতাল রয়েছে তাদের কাছে প্রস্তাবিত মেডিকেল ইউনিট গঠনের প্রস্তাবনা চাওয়া হয়। জবাবে আনসার-ভিডিপি ও কারা অধিদফতর ধারণাপত্র পাঠালেও অন্য অধিদফতর কোনো প্রস্তাব পাঠায়নি। কমিটিতে মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের নিরাময় কেন্দ্র ও হাসপাতাল থাকায় তাদের একজন প্রতিনিধি বাস্তবায়ন কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব করা হয়।

দ্বিতীয় বৈঠক বুধবার অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে মেডিকেল ইউনিট কোনো অধিদফতর হবে কি না, হলে তার ধরন কী হবে, এর প্রধান কে হবেন? তার নির্বাচন, পদায়ন ও নিয়োগ কীভাবে হবে? মন্ত্রণালয় ও দুই বিভাগের সঙ্গে মেডিকেল ইউনিটের সমন্বয় কীভাবে হবে?

তাদের নিয়োগবিধি, পদোন্নতি ও বদলি প্রক্রিয়া কী হবে? জনবল কাঠামো, বেতন স্কেল, প্রতিটি পদের কর্মপরিধি, চিকিৎসক ও সহায়কদের নিয়োগ প্রক্রিয়া কেমন হবে, তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। এরপরই এসব বিষয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ ধারণাপত্র তৈরি করতে উপকমিটি গঠন করা হয়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কমিটির এক সদস্য যুগান্তরকে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে উন্নত বিশ্বের আদলে একটি বিশ্বমানের চিকিৎসাসেবা দিতেই এ উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। এখন পর্যন্ত মেডিকেল ইউনিটের সাংগঠনিক কাঠামো কী হবে, সে বিষয়টি চূড়ান্ত হয়নি।

তবে আমরা মনে করছি, এটা অধিদফতর হতে পারে; যার জন্য মন্ত্রণালয়ে একটি উইং থাকবে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীন সব হাসপাতাল একটি কেন্দ্রীয় হাসপাতালের অধীন থাকবে। ওই হাসপাতালেই মেডিকেল ইউনিটের প্রধান কার্যালয় হতে পারে। সেখানে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক থাকবেন।

বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সামরিক বাহিনীর মতো চাকরির মেয়াদ ও যোগ্যতা অনুযায়ী নিজ নিজ বাহিনীর র‌্যাংক (যেমন: পুলিশ হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ সিনিয়র চিকিৎসকরা নিজ নিজ যোগ্যতা অনুযায়ী অ্যাডিশনাল আইজি, ডিআইজি, এআইজি, এসপি, অ্যাডিশনাল এসপি) প্রদান করা হতে পারে।

পিএসসির অধীন প্রথম শ্রেণির ডাক্তার ও দ্বিতীয় শ্রেণির নার্স নিয়োগ দেয়া যেতে পারে। এ ইউনিটের জনবল দেশের অন্য হাসপাতালে বদলি হতে পারবেন না। তারা শুধু মেডিকেল ইউনিটের অধীন হাসপাতালেই বদলি হতে পারবেন। তবে আরও কিছু বৈঠক হলে এ বিষয়ে বিস্তারিত বলা যাবে।


পূর্ববর্তী - পরবর্তী সংবাদ
       
                                             
                           
ফেইসবুকে আমরা