বাংলাদেশ, , শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

টেকনাফে চলছে কঠোর লকডাউন: রেড জোন জারি।

বাংলাদেশ পেপার ডেস্ক ।।  সংবাদটি প্রকাশিত হয়ঃ ২০২০-০৬-০৮ ২৩:৩৬:১৮  

এইচ মনছুর আলম
টেকনাফঃ

করুনা ভাইরাস সংক্রমণের সংখ্যা ছড়িয়ে পড়ছে বিদ্যুত গতিতে। সারাদেশে সবকিছু খুলে দেওয়ার পর আক্রান্ত আর মৃতের সংখ্যা বেড়ে চলেছে খুব বেশি। এ অবস্থায় নতুন পদ্ধতির রেড, গ্রীন, ইয়ালো নামে লকডাউন আরোপ করছে উপজেলা প্রশাসন।
এর আগে লকডাউনের নাম করে সাধারণ ছুটি থাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কড়াকড়ি আরোপ করতে পারেনি। তবে এবার রেড জোন এলাকা থেকে কাউকে বের হতে দেওয়া হচ্ছে না। তবে সেসব এলাকার মানুষ প্রয়োজনে বাইরে বেরুতে পারবেন।

৮ জুন সকাল ভোর রাত থেকে কোভিড-১৯ সংক্রমণ কার্যকর ও অধিকতর দক্ষতার সাথে নিয়ন্ত্রণে আনার লক্ষ্যে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ সংক্রান্ত উপজেলা কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক টেকনাফ পৌরসভার মূল কেন্দ্র ও প্রবেশপথ সমূহ টেকনাফ পৌরসভার শিলবুনিয়া পাড়া (চকবাজার সংলগ্ন) ৫ ও ৬ নং ওয়ার্ডের ডেইলপাড়ার চৌরাস্তার মোড়, ২ ও ৪ নং ওয়ার্ডের ইসলামাবাদ বটগাছ তলা মোড় ও হাসপাতাল সংলগ্ন হেচ্ছারখাল ব্রীজ এলাকা রেড জোনের অন্তর্ভূক্ত এলাকায় স্থানীয় সেচ্ছাসেবীরা চোকপোষ্ট বসিয়ে সিল করে দেয়। প্রয়োজনীয় ছাড়া সমস্ত দোকানপাট বন্ধ,যান চলাচল বন্ধ ও রাস্তাঘাট ফাঁকা রয়েছে। যা আগামী ২১ জুন ২০২০ খ্রি: রাত ১২ ঘটিকা পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম জানান-
সবাই ঘরে থেকে জোন এলাকায় লকডাউন কার্যকর করার সহযোগিতা কামনা করেন। তিনি আরো জানান-
ক) সকল প্রকার ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক, রাজনৈতিক গণজমায়েত নিষিদ্ধ করা হল। সকল জনসাধারণের আবিশ্যকভাবে নিজ নিজ আবাস্থলে অবস্থান করতে হবে।
খ) সকল ব্যক্তিগত ও গণপরিবহণ বন্ধ থাকবে। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বহনকারী হালকা ও ভারী যানবাহন রাত ৮ ঘটিকা হতে সকাল ৮ ঘটিকা পর্যন্ত চলাচল করতে পারবে। এ্যাম্বুলেন্স, রোগী পরিবহণ, স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী ব্যক্তিবর্গের (অনডিউটি) পরিবহন, কোবিড-১৯ মোকাবিলা ও জরুরী সেবা প্রদানকারী কর্তপক্ষের গাড়ী এর আওতার বাহিরে থাকবে।
গ) সকল প্রকার দোকান, মার্কেট, হাট বাজার ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। কেবলমাত্র রবিবার ও বৃহস্পতিবার কাঁচা বাজার ও মোদির দোকান স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত আকারে সকাল ৮ ঘটিকা হতে বিকাল ৪ ঘটিকা পর্যন্ত খোলা রাখা যাবে। ঔষধের দোকান এর আওতার বাহিরে থাকবে।

ঘ) কেবলমাত্র কোভিড-১৯ মোকাবিলা ও জরুরী সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান সীমিত আকারে খোলা থাকবে। কেবলমাত্র রবিবার, বুধবার ও বৃহস্পতিবার ব্যাংকসহ আর্থিক প্রতিষ্ঠান সমূহ খোলা থাকবে। সকল হাসপাতাল চিকিৎসা সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান ও কোভিড-১৯ মোকাবিলায় পরিচালিত ব্যাংকিং সেবা প্রদান এর আওতার বাহিরে থাকবে।
ঙ) প্রকাশ্য স্থানে বা গনজমায়েত করে কোন প্রকান ত্রান, খাদ্য সামগ্রী বা অন্য কোন পন্য বিতরণ করা যাবেনা। এতে উদ্দ্যেশ্যে গঠিত ওয়ার্ড কমিটি ও সেচ্ছাসেবক কমিটি সমূহ নির্দেশনাবলী কঠোরভাবে বাস্তবায়নে দায়িত্ব পালন করবেন।


পূর্ববর্তী - পরবর্তী সংবাদ
       
                                             
                           
ফেইসবুকে আমরা