বাংলাদেশ, , শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪

বইয়ের বদলে প্লেকার্ড;অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ শিক্ষার্থীদের

বাংলাদেশ পেপার ডেস্ক ।।  সংবাদটি প্রকাশিত হয়ঃ ২০২০-০৬-০৬ ০১:৫১:১৫  

ক্যাম্পাস প্রতিনিধি,সিবিআইইউঃ

প্রায় তিন কোটি টাকা আত্মসাতে অভিযুক্ত কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির (সিবিআইইউ) ট্রাষ্টি বোর্ড সেক্রেটারী মো. মুজিবুর রহমান ও এর সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তার ও শাস্তি দাবি করেছেন ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।  শুক্রবার (৫ জুন) বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত এক মানববন্ধন কর্মসূচীতে এ দাবি জানায় শিক্ষার্থীরা।

অর্থ আত্মসাতের ঘটনার সুনির্দিষ্ট বিচার ও আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয় স্টুডেন্ট ফোরামের শিক্ষার্থীরা এ মানববন্ধনের আয়োজন করে।  বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে তারা মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করে। মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা আত্মসাতকারী ও জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তারের মাধ্যমে আইনের আওতায় আনার এবং ট্রাস্টি বোর্ড থেকে বহিস্কারের দাবি জানায়।

তাছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস সংকট, শিক্ষক সংকট, আত্মসাতকৃত অর্থ ফেরত আনা ও স্থায়ী ক্যাম্পাস স্থাপনের দাবি জানানো হয়। এই সময়ে সিবিআইইউ স্টুডেন্ট ফোরামের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ডিপার্টমেন্টের শিক্ষার্থীরা তাদের দাবি দাওয়ার বিভিন্ন পোস্টার এবং প্লেকার্ড নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে মৌন অবস্থান নেয়।

মানববন্ধনে স্টুডেন্ট ফোরামের পক্ষ হতে শিক্ষার্থী আহমেদ সামীর তার বক্তব্যে অর্থ আত্মসাতকারী ও জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবি জানায়। এসময় শিক্ষার্থী হোসাইন মোহাম্মদ প্রিন্স শিক্ষার্থীদের আত্মসাতকৃত অর্থ ফিরিয়ে আনার জন্য প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে এবং হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

সবশেষে শিক্ষার্থী আরিফ সাঈদ বিশ্ববিদ্যালয়ের নানান অভিযোগ, শিক্ষক সংকট, জামায়াত-শিবির মুক্ত ট্রাস্টি বোর্ড গঠন, শিক্ষার্থীদের হয়রানি না করার এবং স্থায়ী ক্যাম্পাস স্থাপনের জোর দাবি জানায়।

জানা যায়, গত ২ জুন অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে মুজিবুর রহমানসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

মামলায় সাক্ষী হিসাবে রয়েছেন খোদ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা সালাহ উদ্দিন আহমেদ। গত কক্সবাজার সদর থানায় দায়ের করা মামলার অন্য আসামীরা হলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অর্থ পরিচালক মো. আব্দুস সবুর ও মোহাম্মদ আবদুল মাবুদ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সিকিউরিটি ইনচার্জ মনির উদ্দীন আরিফ।

এই ঘটনার পর ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা।


পূর্ববর্তী - পরবর্তী সংবাদ
       
                                             
                           
ফেইসবুকে আমরা