বাংলাদেশ, , মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪

ছাদ থেকে ফেলে তরুণকে হত্যা, আড়াই লাখে রফাদফা

বাংলাদেশ পেপার ডেস্ক ।।  সংবাদটি প্রকাশিত হয়ঃ ২০১৯-০৭-২৪ ১৭:৩৫:২৩  

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রেমের ঘটনায় ছাদ থেকে ফেলে আদিল মিয়া (২২) নামক এক যুবককে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। আড়াই লাখ টাকায় রফাদফাও হয়ে গেছে এই খুনের।

জেলা শহরের পুরাতন জেল রোড এলাকায় ১৭ জুলাই রাতে এই ঘটনা ঘটে। মঙ্গলবার বিকালে এ ঘটনায় আপস-মীমাংসা করা হয়েছে। সেখানে আড়াই লাখ টাকায় রফা করা হয়।

প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জেলার নবীনগর উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের সাতঘর হাটি গ্রামের সালাম মিয়ার ছেলে আদিল মিয়া (২২) শহরের জেল রোডের ফেমাস ড্রাগ হাউজে দুই বছর ধরে কাজ করতেন।

এ সময় একই রোডের ঝিলন টি-স্টলের মালিক ঝিলন মিয়ার কলেজ পড়ুয়া মেয়ে চৈতীর (১৮) সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে তার। ঝিলন মিয়া পৌর এলাকার পুরাতন জেল রোড এর শাহীন স্কুল সংলগ্ন এলাকায় ১১৪১ নম্বর বাসার (শফিক মঞ্জিল) দোতলায় বসবাস করেন।

জেল রোডের ব্যবসায়ীরা জানান, আদিল মিয়ার সঙ্গে চৈতীর দীর্ঘদিন ধরে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। ১৭ জুলাই রাতে আদিলকে ফোন করে চৈতীর বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়।

এরপর তাকে বেধড়ক পিটিয়ে ছাদ থেকে ফেলে দেয়া হয়। রাত ১০টার দিকে মেয়ের বাসার পাশে রাস্তায় তাকে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে।

জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক মির্জা মো. সাইফ বলেন, ছেলেটি অজ্ঞান ছিল। ইন্টারন্যাল ইনজুরির কারণে দেহের অংগগুলো অকেজো হয়ে পড়েছিল। পরে তাকে মৃত ঘোষণা করি।

ময়নাতদন্ত ছাড়াই আদিলের লাশ তার গ্রামের বাড়িতে নিয়ে দাফন করা হয়।

তবে ছেলের মৃত্যুর বিষয়ে এখনো অন্ধকারে পিতা সালাম মিয়া। তিনি বলেন, আমি এখনো কোনো কিছু জানি না। তবে অনেক কিছু শুনছি। আমার ভাতিজা পাভেল আর ফার্মেসির মালিক জুয়েল সব জানে। তিনি বাড়িতে শয্যাশায়ী আছেন বলে তিনি জানান।

সালাম মিয়ার ৪ ছেলের মধ্যে জুয়েল ছিলেন সবার বড়।

পরে পাভেল ফোন দিয়ে জানান, এটা একটা এক্সিডেন্ট।

এদিকে মেয়েটির বাবা ঝিলন মিয়া তার প্রতিবেশীদের বলেন, আমি ছেলেটিকে ফুলের টোকাও দেয়নি।

এ ঘটনার পর মেয়েটি মানসিকভাবে ভারসাম্যহীন হয়ে পড়ে বলে পরিবারের লোকজন জানায়।

এদিকে ঘটনার এক সাপ্তাহ পর মঙ্গলবার বিকালে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক নেতা জিয়াউল আমীন ওরফে বেঙ্গা জুয়েলসহ কয়েজন ছাত্রলীগের নেতাকর্মী ঝিলনকে শহরের টেংকের পাড়ে পৌর কমিউনিটি সেন্টারে নিয়ে গিয়ে আড়াই লাখ টাকায় রফাদফা করে।

আগামী রোববারের মধ্যে এই টাকা পরিশোধ করতে হবে বলে জানা গেছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার ওসি সেলিম উদ্দিন বলেন, বিষয়টি তার জানা নেই। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবেন।

সূত্রঃ যুগান্তর


পূর্ববর্তী - পরবর্তী সংবাদ
       
                                             
                           
ফেইসবুকে আমরা