দেশের এই দূর্যোগ কালিন মুহুর্তে স্কুল এবং বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে বেতন নেওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করছে স্কুল এবং বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
সনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বায়তুশ শরফ জাব্বারিয়া একাডেমি থেকে এক স্যার আজ সকাল আনুমানিক ১১.৩০ মিনিটে ০১৮১৯০৯৬৯৮৪ এই নাম্বার থেকে ফোন করে অভিভাবকদের কাজ থেকে তিন মাসের বেতন খুজে এবং ঈদের পর পরিক্ষা নিবে বলে জানান।
এমন দুঃসময়ে শিক্ষার্থীদের পরিবারের কথা কি একবার ভেবেছেন,,,?
আপনাদের মাথায় রাখা উচিত যে,কক্সবাজারে বেশির ভাগ শিক্ষার্থী নিম্ন মধ্যবিত্ত এবং মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান।
এমন অনেক পরিবার আছে দিন মজুর,অনেক পরিবারে বাবা নেই এবং অনেক শিক্ষার্থী তাদের টিউশনির টাকাই তাদের সেমিস্টার ফি এবং বেতন দিয়ে থাকে।
বেসরকারি স্কুল এবং বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের এমন কাজের জন্য অভিভাবকদের এক ধরনের আতংকের চাপ সৃষ্টি হচ্ছে, মধ্যবিত্ত এবং নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবার গুলো দু বেলা অন্য যোগাতে হিমশিম খাচ্ছে এই দূর্যোগ কালীন সময়ে অভিভাবকরা কি ভাবে সেমিস্টার ফি এবং বেতন কেমনে দিবে,,,,,,?
সেমিস্টার ফি এবং বেতন না দিলে শিক্ষকের বেতন এবং ক্যাম্পাস চলবে কিভাবে।যদিও টাকা আগে যা কামিয়েছেন তা দিয়ে তু বছরের পর বছর শিক্ষকের বেতন দেওয়া সম্ভব।
পরিশেষে বলবো মধ্যবিত্ত এবং নিম্ন মধ্যবিত্ত শিক্ষার্থীদের পরিবারের কথা বিবেচনা করে আপাততে এই সব বন্ধ করুন এবং অসচ্ছল শিক্ষার্থী পরিবারের পাশে দাঁড়ান।
বিঃদ্রঃ স্যারদের অসম্মান করার জন্য এই সব লিখি নাই,মন থেকে স্যারদের জন্য আজীবন ভালবাসা থাকবে।
লেখকঃ
সাঈদ হোসাইন কাদেরী
সদস্য ,বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, কক্সবাজার জেলা শাখা।