বাংলাদেশ, , শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

করোনাভাইরাস: যুক্তরাষ্ট্রে চিকিৎসা উপকরণের ঘাটতি, চিকিৎসকদের হাহাকার

বাংলাদেশ পেপার ডেস্ক ।।  সংবাদটি প্রকাশিত হয়ঃ ২০২০-০৩-২৮ ১১:৫৫:৩১  

ডেস্ক নিউজঃ

যুক্তরাষ্ট্রের হাসপাতালগুলোতে উপচেপড়া করোনাভাইরাস রোগীদের চিকিৎসায় আরও সুরক্ষাসামগ্রী ও পোশাক সরবরাহ করতে আহ্বান জানিয়েছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। দেশটিতে ইতিমধ্যে কোভিড-১৯ রোগীর সংখ্যা এক লাখ ছাড়িয়েছে। যাদের মধ্যে মারা গেছেন এক হাজার ৬০০।

রোগীদের শ্বাসপ্রশ্বাসে সহায়ক ভেন্টিলেটর ও মেশিন সরবরাহে অতিরিক্ত জোর দিতে বলেছেন চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা। যারা এই প্রাণঘাতী ভাইরাসে আক্রান্ত, তাদের জন্য এসব জিনিস বেশি প্রয়োজন বলে জানান তারা।

শুক্রবার আঠারো হাজার মার্কিন নাগরিকের শরীরে করোনাভাইরাস ছড়িয়েছে। এ অবস্থায় নিউইয়র্ক, নিউ ওরলিন্স, ডেট্রয়েটসহ ভাইরাসের অন্যান্য কেন্দ্রস্থলের হাসপাতালগুলোতে প্রয়োজনীয় ঔষধ, চিকিৎসা রসদ ও প্রশিক্ষিত কর্মীদের অভাবের ঘটনায় উদ্বেগের কথা বলা হয়েছে।

করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যার হিসেবে বিশ্বকে নেতৃত্ব দিচ্ছে এখন যুক্তরাষ্ট্র। বৃহস্পতিবারই চীন ও ইতালিকে ছাড়িয়ে গেছে দেশটি।

ব্রুকলিনের ব্রোকডালি ইউনিভার্সিটি হসপিটাল অ্যান্ড মেডিকেল সেন্টারের ডা. আরাবিয়া মোলেট্টে বলেন, আমরা আতঙ্কিত। প্রতিটি মানুষের জীবন বাঁচাতে আমরা লড়াই চালিয়ে যেতে চাই। আমরা সেই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। কারণ ভাইরাসটিতে আক্রান্তের সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছি আমরা।

কোভিড-১৯ আক্রান্ত দেশগুলোর মধ্যে মৃত্যুর সংখ্যা ষষ্ঠতম অবস্থানে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। প্রাণঘাতী এ ভাইরাসে যুক্তরাষ্ট্রে মৃতের সংখ্যাও এক হাজার ৬০০ পেরিয়ে গেছে।

এদিকে করোনাভাইরাসের কারণে মুখোমুখি হওয়া ক্ষতির হাত থেকে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিকে টেনে তুলতে মার্কিন কংগ্রেসে পাস হওয়া দুই দশমিক দুই ট্রিলিয়ন ডলারের প্রণোদনা বিলে শুক্রবারই সই করেছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

তার স্বাক্ষরের মধ্য দিয়ে বিলটি আইনে পরিণত হল। এই প্রণোদনা করোনাভাইরাসের আতঙ্কের মধ্যেও মার্কিন শ্রমিকদের স্বস্তি দেবে বলে ট্রাম্প মন্তব্য করেছেন।

চিকিৎসা উপকরণের ঘাটতির মধ্যে পরিস্থিতি মোকাবেলায় ট্রাম্প তার জরুরি ক্ষমতা প্রয়োগ করে জেনারেল মোটরসকে ভেন্টিলেটর উৎপাদনে লাগিয়ে দিয়েছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় এ অটোমেকার কোম্পানি দরকষাকষির নামে সময় অপচয় করছিল বলে প্রেসিডেন্ট অভিযোগও করেছেন।

মার্কিন কোম্পানিগুলোকে চিকিৎসা উপকরণ বানাতে বাধ্য করতে ট্রাম্পের ওপর কোরীয় যুদ্ধের সময়কার প্রতিরক্ষা উৎপাদন আইন সচল করার চাপ ছিল। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট তার বদলে কোম্পানিগুলোর স্বেচ্ছা সহযোগিতার ওপর জোর দিচ্ছিলেন।


পূর্ববর্তী - পরবর্তী সংবাদ
       
                                             
                           
ফেইসবুকে আমরা