বাংলাদেশ, , শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪

লিটনের ব্যাটে হেসেখেলে জিতল বাংলাদেশ

বাংলাদেশ পেপার ডেস্ক ।।  সংবাদটি প্রকাশিত হয়ঃ ২০২০-০৩-১১ ২৩:৪১:৩৫  

ডেস্ক নিউজঃ

জিম্বাবুয়ের দেওয়া ১২০ রানের লক্ষ্যটা ছন্দে থাকা লিটন দাস ও সিরিজে প্রথম ব্যাট হাতে নেওয়া নাইম শেখের ৭৭ রানের উদ্বোধনী জুটিতে মামুলি বনে যায় বাংলাদেশের জন্য। লিটনের চতুর্থ আন্তর্জাতিক  টি-টোয়েন্টি ফিফটিতে ভর করে বাংলাদেশ লক্ষ্য তাড়া করে ২৫ বল ও ৯ উইকেট হাতে রেখেই।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ সামনে রেখে পরীক্ষা নীরিক্ষার তাগিদে নিয়মিত ওপেনার তামিম ইকবালের পরিবর্তে লিটনের সঙ্গী হিসেবে ওপেন করতে নামেন নাইম শেখ। ভারত সিরিজে অভিষেক হওয়া এই তরুণ সুযোগ পেয়ে ৩৪ বলে ৫ চারে খেলেন ৩৩ রানের ইনিংস। নাইমের বিদায়ের পর আগের ম্যাচে ফিফটি হাঁকানো সৌম্য সরকারকে নিয়ে অনায়েসেই বাকি পথ পাড়ি দেন ফর্মের তুঙ্গে থাকা লিটন দাস।

দুজনে অবিচ্ছেদ্য দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে যোগ করেন ৪৩ রান। ৩৫ বলে ৭ চারে ফিফটি ছোঁয়া লিটন শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন ৪৫ বলে ৮ চারে ৬০ রানে। অন্যদিকে নিজের ৫০ তম আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি খেলতে নামা সৌম্য অপরাজিত থাকেন ১৬ বলে ২ ছক্কায় ২০ রানে। এই জয়ে পুরো সিরিজের সবকটি (একমাত্র টেস্ট, তিন ওয়ানডে ও দুই টি-টোয়েন্টি) ম্যাচই জিতলো বাংলাদেশ।

এর আগে টস হেরে ব্যাট করা জিম্বাবুয়ে ব্রেন্ডন টেইলরের ফিফটিতে ভর করে ভালো কিছুর ইঙ্গিত দিয়েও বেশি দূর যেতে পারেনি। ৭ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের জন্য লক্ষ্য ছুঁড়তে পেরেছে ১২০ রানের। ইনিংসের তৃতীয় ওভারে টিনাসে কামুনুকামেকে (১০) ফিরিয়ে প্রথম উইকেট শিকার শফিউল ইসলামের পরিবর্তে একাদশে জায়গা পাওয়া পেসার আল আমিন হোসেনের।

কামুনুকামে ফিরে গেলেও দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ক্রেইগ আরভিনকে নিয়ে ৫৭ রানের জুটিতে ভালোই সামলে নেন ব্রেন্ডন টেইলর। ৩৩ বলে ২৯ রান করা আরভিনকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন আফিফ হোসেন। এরপর দ্রুতই ছন্নছাড়া ব্যাটিংয়ে ৯৭ রান তুলতে জিম্বাবুয়ে হারায় ৫ উইকেট। ব্রেন্ডন টেইলর একপাশ আগলে রাখলেও আফিফ, সাইফউদ্দিন, আল আমিন। মেহেদীদের শিকার হয়ে ফিরে যান শন উইলিয়ামস (৩), সিকান্দার রাজা (১২ ও রিচমন্ড মুতুম্বানি (১)। ৮.৪ ওভারে ৫০ রানে পৌঁছানো জিম্বাবুয়ে দলীয় শতরান পার করে ১৬.৪ ওভারে।

ব্রেন্ডন টেইলর আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের ৬ষ্ঠ ফিফটির দেখা পেলেও দল শেষ পর্যন্ত থামে ৭ উইকেটে ১১৯ রানে। ৪২ বলে ফিফটিতে পৌঁছানো টেইলর অপরাজিত থাকেন ৪৮ বলে ৬ চার ও ১ ছক্কায় ৫৯ রানে। নিজের শেষ ওভারে মুস্তাফিজুর তুলে নেন দুই উইকেট, মুস্তাফিজ ছাড়া আল আমিনেরও শিকার দুটি করে উইকেট। একটি করে উইকেট নেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, মেহেদী হাসান ও আফিফ হোসেন।


পূর্ববর্তী - পরবর্তী সংবাদ
       
                                             
                           
ফেইসবুকে আমরা