বাংলাদেশ, , বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪

সিরাজগঞ্জে ট্রাফিক সার্জেন্ট স্বামীর বিরুদ্ধে যৌতুক মামলা

বাংলাদেশ পেপার ডেস্ক ।।  সংবাদটি প্রকাশিত হয়ঃ ২০১৯-০৭-০৬ ১৭:৪৩:২৫  

ডেস্ক রিপোর্টঃ

স্বামী ট্রাফিক সাজের্ন্টের বিরুদ্ধে যৌতুক, নির্যাতন ও প্রাণনাশের হুমকির প্রতিবাদে শনিবার সিরাজগঞ্জ প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন স্ত্রী রানী পারভীন।

এ সময় লিখিত বক্তব্যে পারভীন বলেন, ২০১৬ সালের ২৬ আগস্ট বগুড়া জেলার শেরপুর উপজেলার আনোয়ারুল ইসলামের ছেলে আতিকুর রহমান আতিকের সঙ্গে ৮ লাখ টাকা কাবিনমূলে বিয়ে হয় তার।

কিন্তু বিয়ের পর থেকে ট্রাফিক সার্জেন্ট পদে চাকরি নেয়ার কথা বলে আমার এবং আমার পরিবারের কাছ থেকে আরও যৌতুক দাবি করে। এ নিয়ে আমার ওপর প্রায়ই নির্যাতন করত।

এ সময় বাড়ি থেকে আরও ৮০ হাজার টাকা ও একটি সোনার চেইন দেয়া হয়। কিন্তু তাতেও সে সন্তুষ্ট না হয়ে আবারও টাকার জন্য চাপ দিতে থাকে। পরে নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে বাবার বাড়ি চলে এসে এ ব্যাপারে আদালতে একটি মামলা দায়ের করি।

এতে আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করলে আদালতে মুচলেকা দিয়ে সংসার করবে মর্মে আমাকে দিয়ে জামিন করিয়ে বাড়ি আসে। কিন্তু কিছু দিন যেতে না যেতেই আবারও যৌতুকের জন্য চাপ শুরু করে সে।

আমি তার নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে নিজ বাড়িতে চলে আসি। বিষয়টি জটিল আকার ধারণ করায় তৎকালীন স্থানীয় এমপি গাজী ম.ম. আমজাদ হোসেন মিলনকে দিয়ে স্থানীয় পুলিশ সুপারকে ফোন করাই।

কিন্তু তাতে কোনো সমাধান না হওয়াতে নিজেই একটি আবেদন করি নাটোর পুলিশ সুপার বরাবর। কিন্তু তাতেও কোনো সমাধান না হওয়ায় ১ ডিসেম্বর আমি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতে মামলা করি।

আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করলে সে আমাকে নিয়ে সংসার করবে বলে আদালতের কাছে প্রতিশ্রুতি দিয়ে জামিনের আবেদন করলে ১৬ মার্চ ২০১৭ তারিখে সে জামিনে বের হয়ে আমাদের বিয়েকেই অস্বীকার করে বসে এবং ৪ এপ্রিল সে উল্টো প্রতারণা মামলা করে।

কিন্তু বিচারক বিয়ের কাবিননামা দেখে মামলাটি মিথ্যা এবং বানোয়াট বুঝতে পেরে ২ জুলাই তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

একই সঙ্গে বিষয়টি স্পর্শকাতর হওয়াতে বিচারক নিজে উপস্থিত থেকে পুনরায় বিয়ে পড়ান এবং আমাকে নিয়ে ঘর সংসার করবে বলে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়। এভাবে কিছু দিন ভালোভাবে চলার পর আবারও সেই যৌতুকের জন্য নির্যাতন শুরু করে এবং আমার শ্বশুরের সঙ্গে আমাকে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়।

পরে কোনো উপায়ন্তর না দেখে আমি আবারও মামলা করি। চলতি বছরের ৩০ মে আমার মামলার দিন ধার্য হওয়াতে সে আদালতে আসে এবং আমাকে আবারও ভুল বুঝিয়ে আদালত থেকে আমাকে বাড়ি নিয়ে যাওয়ার সময় পথিমধ্যে স্থানীয় পাঙ্গাসী বাজার এলাকায় সিএনজি থেকে হত্যার উদ্দেশে ফেলে দিয়ে চলে যায়।

এ ব্যাপারে গত ৩ জুন আমি আদালতে একটি মামলা করি। বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে দ্রুত তদন্ত করার জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) নির্দেশ দেন। কিন্তু মামলার পর থেকে আমাকে এবং আমার পরিবারকে হত্যার হুমকি দিচ্ছে সে।

এ ব্যাপারে ট্রাফিক সার্জেন্ট আতিকুর রহমান জানান, বিষয়টি আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। আদালত থেকে যে রায় আসবে তা তিনি মাথা পেতে নেবেন।


পূর্ববর্তী - পরবর্তী সংবাদ
       
                                             
                           
ফেইসবুকে আমরা