কেঁচো খুঁড়তে গেলে বিষধর সাপ বেড়িয়ে আসবে: বিএনপিকে ওবায়দুল কাদের

প্রকাশিত: ৯:১৪ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০২০

ডেস্ক নিউজঃ

সীমান্তরক্ষা বাহিনী ‘বিডিআর বিদ্রোহের’ ঘটনা নিয়ে বিএনপি আরও ঘাঁটাঘাঁটি করতে গেলে ‘কেঁচো খুঁড়তে বিষধর সাপ বেড়িয়ে আসবে’ বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন, সেই ২৫ ফেব্রুয়ারি; যিনি বেলা ১২টার আগে ঘুম থেকে উঠেন না, সেই খালেদা জিয়া সকাল ৭টায় ঘুম থেকে উঠে কোথায় পলায়ন করলেন? দুই দিন ধরে তার কোনো খবর নেই। খোঁজ নেই, হদিস নেই- সেই রহস্য নতুন বিচার করতে গেলে বেড়িয়ে আসবে।

বুধবার দুপুরে রাজধানীর শাহবাগের জাতীয় জাদুঘরে শেখ রাসেল জাতীয় শিশু-কিশোর পরিষদের ৩২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে তিনি এ সব কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, পিলখানা ট্রাজেডি নিয়ে বিএনপি এখনও মিথ্যার বেসাতি করে যাচ্ছে। বিএনপির মহাসচিব বলেছেন, তারা ক্ষমতায় এলে পিলখানা হত্যাকাণ্ডের বিচার করবে। ফখরুল সাহেব নতুন করে বিচার করতে গেলে ওই কেঁচো খুঁড়তে গেলে অনেক বিষধর সাপ বেড়িয়ে আসবে।

তিনি বলেন, আরও বেড়িয়ে আসবে যিনি (খালেদা জিয়া) দুপুর ১২টার আগে ঘুম থেকে উঠেন না, ভোর ৫টা থেকে ৭টা পর্যন্ত তারেক রহমানের সঙ্গে দুই ঘণ্টাব্যাপী ১১বার টেলিফোনে কী কথাবার্তা হয়েছে? নতুন বিচার করতে গেলে এই রহস্য উদঘাটন করা হবে। কী কথা হয়েছিল মা-ছেলের, সেটাও জাতি জানতে পারবে। কাজেই কেঁচো খুঁড়তে গিয়ে বিষধর সাপ বের করবেন না। এটা নিয়ে যতই ঘাটাবেন নিজেরাই জালে পড়বেন। ধরা পড়বেন। এই হত্যাকাণ্ডে আপনাদের সংশ্লিষ্টতা ভালোভাবে উদঘাটিত হবে।

এ সময় ২০০৯ সালের ২৫-২৬ ফেব্রুয়ারি পিলখানায় ওই বিদ্রোহের ঘটনার বিচার করে বাংলাদেশ নজির সৃষ্টি করেছে বলে মন্তব্য করেন সেতুমন্ত্রী কাদের।

তিনি বলেন, এত লোকের বিচার, এত দ্রুত বিচার, দুনিয়ার ইতিহাসে নজিরবিহীন। যা শেখ হাসিনা করেছেন। পিলখানা হত্যাকাণ্ডের বিচার সারা দুনিয়ার জন্য একটা উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত, দ্রুত বিচার এবং অপরাধীদের বিচার এত দ্রুত ও এত নজিরবিহীন বিচার দুনিয়ার ইতিহাসে কোথাও হয়নি। যেটা বাংলাদেশে শেখ হাসিনা করেছেন।

জনগণের দৃষ্টি ফেরাতে সরকারদলীয় লোকজন ‘মুখরোচক অপকর্ম’ প্রকাশ করে- বিএনপি নেতা খন্দকার মোশাররফ হোসেনের এমন বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় ওবায়দুল কাদের বলেন, এই দেশে অনেক সরকার ক্ষমতায় এসেছে। বঙ্গবন্ধু হত্যার পর আমরা একুশ বছর ক্ষমতায় ছিলাম না। এই দেশে ক্ষমতার রাজনীতিতে অনেক অপকর্ম, অনেক অপরাধ, অনেক দুর্নীতি, অনেক সন্ত্রাস, অনেক খুন হয়েছে। কিন্তু এ পর্যন্ত শেখ হাসিনা ছাড়া আর কোনো প্রধানমন্ত্রী, কোনো রাষ্ট্রপতি নিজ দলের লোকদের অপকর্মের বিচার করেননি।

তিনি বলেন, শেখ হাসিনাই এই দেশে প্রথম সৎ সাহস দেখিয়েছেন। অপকর্ম অপরাধের বিচার ঘর থেকেই শুরু করেছেন। সেই ধারায় পাপিয়ারা গ্রেফতার হয়েছে। এখানে মুখরোচকের কিছু নেই। পাপের বিচার হবে। অপরাধের বিচার হবে। শেখ হাসিনা কোনো সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ বা কোনো প্রকার অপরাধী অপকর্মকারীকে তার দলে প্রশ্রয় দেন না। এটাই তার প্রমাণ। এই পাপিয়াও বঙ্গবন্ধু কন্যার নির্দেশেই গ্রেফতার হয়েছে। এখানে অপরাধ করে কেউ পাড় পাবে না।

বিএনপির মধ্যে অসংখ্য দুর্নীতিবাজ, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ থাকা সত্ত্বেও তাদের অপরাধী হিসেবে চিহ্নিত করে বিচার করেনি বলেও মন্তব্য করেন ওবায়দুল কাদের।

শেখ রাসেল জাতীয় শিশু-কিশোর পরিষদের চেয়ারম্যান রকিবুর রহমানের সভাপতিত্বে এ সময় অন্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, শেখ রাসেল জাতীয় শিশু-কিশোর পরিষদের মহাসচিব মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী, শেখ রাসেল শিশু-কিশোর পরিষদের সংগঠক কেএম শহীদুল্লাহ প্রমুখ।