বাংলাদেশ, , বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪

চন্দ্রনাথ পাহাড়, সীতাকুণ্ড

বাংলাদেশ পেপার ডেস্ক ।।  সংবাদটি প্রকাশিত হয়ঃ ২০২০-০১-১০ ১৮:০৬:০৫  

আমিন ইসলামঃ

চন্দ্রনাথ পাহাড় (সীতাকুণ্ড পাহাড়) হিমালয় হতে বিচ্ছিন্ন হিমালয়ের পূর্বাঞ্চলীয় অংশ। এই পাহাড়টি হিমালয়ের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব দিক ঘুরে ভারতের আসাম এবং ত্রিপুরা রাজ্যের মধ্য দিয়ে ফেনী নদী পার হয়ে চট্টগ্রামের সঙ্গে মিশেছে। চট্টগ্রাম অংশে ফেনী নদী থেকে চট্টগ্রাম শহর পর্যন্ত এর দৈর্ঘ্য প্রায় ৭০ কিলোমিটার। শীতাকুণ্ড শহরের পূর্বে অবস্থিত চন্দ্রনাথ শৃঙ্গ প্রায় ১০২০ফুট (প্রায়) অথবা (৩১০ মিটার) উঁচু এবং চট্টগ্রাম জেলার সর্বোচ্চ স্থান।

কিভাবে যাবেন>>

ঢাকা থেকে বাসে সীতাকুন্ড : ঢাকার সায়েদাবাদ , ফকিরাপুল , মহাখালি যে কোন বাস স্ট্যান্ড থেকে চট্টগ্রামগামী যে কোন বাসে করেই যেতে পারবেন সীতাকুন্ড । এস আলম , শ্যামলি , সৌদিয়া , ইউনিক , হানিফ , ঈগল , এনা প্রভৃতি পরিবহনের নন এসি বাস ভাড়া ৪৮০ টাকা। এসি বাসের মধ্যে গ্রিনলাইন , সৌদিয়া , সােহাগ ,এইসব বাস ভাড়া ৮০০ – ১৩০০ টাকা । আপনাকে সম্পূর্ণ ঢাকা টু চট্টগ্রামের ভাড়াই গুনতে হবে।

ঢাকা থেকে ট্রেনে সীতাকুন্ড : ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম গামী যে কোন আন্তঃনগর ট্রেনে এসে ফেনী স্টেশনে নামতে হবে । ট্রেন ভাড়া জন প্রতি ২৬৫ – ৮০০ টাকা । ফেনী স্টেশন থেকে ১০ – ১৫ টাকা রিক্সা / অটো দিয়ে ফেনী মহিপাল । বাস স্ট্যান্ড যেতে হবে,

 

সেখান থেকে লােকাল বাসে ৫০ – ৮০ টাকা ভাড়ায় সীতাকুন্ড যেতে পারবেন। শুধুমাত্র শিবর্তুদশী মেলার সময় সীতাকুণ্ডে থামে।

চট্টগ্রাম থেকে সীতাকুন্ডঃ চট্টগ্রাম থেকে সিএনজি বা অটোরিক্সা রিজার্ভ নিয়ে সীতাকুণ্ডে আসতে ভাড়া লাগবে ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা । আর বাসে করে অলংকার , এ কে খান মােড় অথবা কদমতলী থেকে লােকাল বাসে সীতাকুণ্ড যেতে পারবেন ভাড়া ৫০ – ৮০ টাকা ।

সীতাকুন্ড বাজারের পাশে একটি ব্রিজের আছে এই ব্রিজের নিচ থেকেই চন্দ্রনাথ পাহাড়ে যাওয়ার সিএনজিচালিত অটোরিকশা নিতে হয়।

ভাড়া জনপ্রতি ২৫ টাকা। সীতাকুন্ড বাজার থেকে ৪ কিলোমিটার পূর্বে চন্দ্রনাথ পাহাড়। অটোরিকশায় যেতে যেতে দেখা মিলবে সীতাকুন্ডের সৌন্দর্য চন্দ্রনাথ পাহাড় শ্রেণীভুক্ত ছোট পাহাড়গুলো।
অটোরিকশা নামিয়ে দিবে পাহাড়ে ওঠার প্রবেশমুখে। এইখান থেকেই পাহাড়ে উঠা শুরু। পাহাড়ে উঠার সুবিদরতে হাতে বাঁশ নিতে হয়, দুই-তিন হাত করে কাটা বাঁশ স্থানীয়রা বিক্রি করে প্রতি পিস ২০ টাকা। তবে পাহাড় থেকে ফেরার পথে অক্ষত অবস্থায় ফেরত দেওয়া গেলে ১০ টাকা করে রিটার্ন করে। পাহাড়ে ওঠার পথে একটি মাত্র ঝর্ণা দেখতে পাওয়া যায়, এখান থেকে পাহাড়ে ওঠার পথ দু ভাগে বিভক্ত , ডানদিকের রাস্তা প্রায় পুরোটাই সিঁড়ি এবং বেশ খাড়া, আর বামদিকের রাস্তাটি পাহাড়ি পথ। মাঝে মাঝে কিছু ভাঙা সিঁড়ি আছে।

মনে রাখতে হবে বাম দিকের পথ দিয়ে ওঠা সহজ আর ডানদিকের সিঁড়ির পথ দিয়ে নামা সহজ। এ জায়গায় এসে ভুল করলে কিন্তু অতিরিক্ত ভোগান্তি পোহাতে হবে। তবে আমার মনে হইয়েছে ডানদিকের সিঁড়ির পথ দিয়ে ওঠালে ভাল হত। পাহাড়ে ওঠা বিপদজক হলেও চারপাশের পরিবেশটা বেশ ভালোই ছিল।

 

 

 

 

 

 

 


পূর্ববর্তী - পরবর্তী সংবাদ
       
                                             
                           
ফেইসবুকে আমরা