বাংলাদেশ, , শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

চট্টগ্রামে শিশু চুরিতে হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিকের কর্মচারীরা

বাংলাদেশ পেপার ডেস্ক ।।  সংবাদটি প্রকাশিত হয়ঃ ২০১৯-১১-০৩ ১৩:২৫:১৭  

মাসুদুর রহমান , চট্টগ্রামঃ



চুরি যাওয়ার পাঁচ মাস পর এক শিশুকে উদ্ধারের এ তথ্য জানিয়েছে পুলিশ।

গত ২৮ মে নগরীর রেয়াজউদ্দিন বাজারের আমতল এলাকা থেকে ভিক্ষুক এক নারীর দুই মাস বয়সী বাচ্চা চুরি হয়। এ ঘটনায় কোতোয়ালী থানায় মামলা করেন শেফালী বেগম নামের ওই নারী।

এই ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তারের পাশাপাশি রোববার ভোর রাতে নগরীর দামপাড়া পল্টন রোডের এক দম্পতির কাছ থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করে পুলিশ।

গ্রেপ্তাররা হলেন- মো. আফসার ওরফে জাফর সাদেক (৩৮), পারভীন আক্তার (৩০) ও সুজিত কুমার নাথ (৪৫)। যাদের মধ্যে আফসার ‘মূল হোতা’ বলে পুলিশের দাবি।

রোববার বিকালে সংবাদ সম্মেলন করে নগর পুলিশের উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) এসএম মেহেদী হাসান বলেন, “চক্রটি মূলত গরীব মানুষের শিশু সন্তানদের টার্গেট করে। তাদের কাছ থেকে শিশু চুরি করে নিঃসন্তান দম্পতিদের কাছে বিক্রি করে।”

বিভিন্ন হাসপাতালে এই চক্রটি সক্রিয় জানিয়ে তিনি বলেন, “নিঃসন্তান দম্পতিদের সাথে চুক্তি করে তারা বাচ্চা চুরি ও সংগ্রহ করে এবং নিজের মৃত স্বজনের সন্তান বলে শিশুগুলো বিক্রি করে।”

শেফালী বেগমের করা মামলায় উল্লেখ করা হয়, গত ২৬ মে নগরীর কাজীর দেউড়ি এলাকায় শিশু সন্তানকে নিয়ে ভিক্ষা করার সময় এক যুবক তাকে শেফালীকে তার বাচ্চার জন্য কাপড় কিনে দেওয়ার কথা বলে চলে যায়। পরদিন বিকালে ওই যুবক আবার এসে তাদের রেয়াজউদ্দিন বাজারে নিয়ে যায়।

রেয়াজউদ্দিন বাজারে গিয়ে একটি হোটেলে নাস্তা করেন শেফালী ও ওই যুবক। নাস্তা করার পর রাস্তায় শেফালী বমি করতে থাকেন। সে সময় ওই যুবক শিশুটিকে তার কাছে রেখে সফিনা মার্কেটের দ্বিতীয় তলায় গিয়ে শেফালীকে হাতমুখ ধুয়ে আসার পরামর্শ দেন। মার্কেট থেকে নেমে শেফালী তার শিশু সন্তানকে দেখতে না পেয়ে বিভিন্ন দিকে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। পরে না পেয়ে কোতোয়ালী থানায় মামলা করেন।

কোতোয়ালী থানার ওসি মোহাম্মদ মহসিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, মার্কেটের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে শেফালীর বাচ্চা চুরি করা যুবককে শনাক্ত করা হয়। তদন্তে নেমে পুলিশ গত মাসের মাঝামাঝি সময়ে ইপিজেড থানা এলাকায় শিশু চুরির অভিযোগে ইকবাল নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করে।

“কোতোয়ালী থানার মামলায় ইকবালকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে সে শেফালীর বাচ্চা চুরির বিষয়টি স্বীকার করে ও আদালতে জবানবন্দি দেয়।”

ওসি জানান, ইকবালের কাছ থেকে শিশু চোরের ‘মূল হোতা’ আফসারের তথ্য পাওয়া যায়। পরে শনিবার বিকালে কক্সবাজারের কলাতলী থেকে আফসারকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাকে চট্টগ্রামে এনে রাতে অক্সিজেন এলাকা থেকে পারভীন আক্তার ও গভীর রাতে নগীর মেহেদী বাগের ন্যাশনাল হাসপাতালের সামনে থেকে সুজিত নাথকে গ্রেপ্তার করা হয়।

কোতোয়ালী থানায় আফসার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, তিনি কমিশনের বিনিময়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপতাল গেইটের বিপরীতে ‘বেসিক ল্যাব’ নামের একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে রোগী নিয়ে যান। সেখানে ইকবাল ও ইমরান নামে দুইজনের সাথে তার পরিচয় হয়।

তারাও বিভিন্ন ডায়াগনস্টিক সেন্টার, প্রাইভেট ক্লিনিক ও ওষুধের দোকানে ক্রেতা পাঠিয়ে কমিশন নেওয়ার কাজ করতেন।

বিভিন্ন হাসপাতালের আায়া, নার্সদের মাধ্যমে তিনি নিঃসন্তান দম্পতির খোঁজ নেন। আর ইকবাল ও ইমরানের মাধ্যমে বাচ্চা সংগ্রহ করেন। পরে শিশুগুলোকে তাদের কাছে বিক্রি করেন।

আফসারের দাবি, প্রতিটি বাচ্চার জন্য তিনি ১০ হাজার টাকা করে পান।

উদ্ধার হওয়া শিশুটির প্রসঙ্গে আফসার বলেন, “ন্যাশনাল হাসপাতালের ল্যাব টেকনেশিয়ান সুজিত নাথ তার এক আত্মীয় জন্য একটি বাচ্চা সংগ্রহ করতে বলেছিলেন। সে জন্য ইকবালকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল বাচ্চা সংগ্রহ করার জন্য।”

কোতোয়ালী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. কামরুজ্জামান বলেন, বিভিন্ন হাসপাতালের গাইনি ও ক্যান্সার ওয়ার্ডের আয়া, নার্সদের নিয়ে চক্রটি গড়ে তুলেছেন ইকবাল। আয়া নার্সদের মাধ্যমে তারা নিঃসন্তান দম্পতির খোঁজ নিয়ে তাদেরকে বাচ্চা সংগ্রহ করে দেওয়ার চুক্তি করে।

“সেজন্য তারা ভিক্ষুক, দরিদ্র মহিলাদের বাচ্চা চুরির পাশাপাশি বিভিন্ন প্রসূতি সেবা হাসপাতালগুলোর আয়া নার্সদের সাথে যোগাযোগ করে সেখান থেকে বাচ্চা সংগ্রহ করে। সংগ্রহ করা বাচ্চা বুঝিয়ে দেওয়ার আগ পর্যন্ত পারভীনের কাছে লালন পালন করতে দিত।

চুরি যাওয়ার পাঁচ মাস পর এক শিশুকে উদ্ধারের এ তথ্য জানিয়েছে পুলিশ।

গত ২৮ মে নগরীর রেয়াজউদ্দিন বাজারের আমতল এলাকা থেকে ভিক্ষুক এক নারীর দুই মাস বয়সী বাচ্চা চুরি হয়। এ ঘটনায় কোতোয়ালী থানায় মামলা করেন শেফালী বেগম নামের ওই নারী।

এই ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তারের পাশাপাশি রোববার ভোর রাতে নগরীর দামপাড়া পল্টন রোডের এক দম্পতির কাছ থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করে পুলিশ।

গ্রেপ্তাররা হলেন- মো. আফসার ওরফে জাফর সাদেক (৩৮), পারভীন আক্তার (৩০) ও সুজিত কুমার নাথ (৪৫)। যাদের মধ্যে আফসার ‘মূল হোতা’ বলে পুলিশের দাবি।

রোববার বিকালে সংবাদ সম্মেলন করে নগর পুলিশের উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) এসএম মেহেদী হাসান বলেন, “চক্রটি মূলত গরীব মানুষের শিশু সন্তানদের টার্গেট করে। তাদের কাছ থেকে শিশু চুরি করে নিঃসন্তান দম্পতিদের কাছে বিক্রি করে।”

বিভিন্ন হাসপাতালে এই চক্রটি সক্রিয় জানিয়ে তিনি বলেন, “নিঃসন্তান দম্পতিদের সাথে চুক্তি করে তারা বাচ্চা চুরি ও সংগ্রহ করে এবং নিজের মৃত স্বজনের সন্তান বলে শিশুগুলো বিক্রি করে।”

শেফালী বেগমের করা মামলায় উল্লেখ করা হয়, গত ২৬ মে নগরীর কাজীর দেউড়ি এলাকায় শিশু সন্তানকে নিয়ে ভিক্ষা করার সময় এক যুবক তাকে শেফালীকে তার বাচ্চার জন্য কাপড় কিনে দেওয়ার কথা বলে চলে যায়। পরদিন বিকালে ওই যুবক আবার এসে তাদের রেয়াজউদ্দিন বাজারে নিয়ে যায়।

রেয়াজউদ্দিন বাজারে গিয়ে একটি হোটেলে নাস্তা করেন শেফালী ও ওই যুবক। নাস্তা করার পর রাস্তায় শেফালী বমি করতে থাকেন। সে সময় ওই যুবক শিশুটিকে তার কাছে রেখে সফিনা মার্কেটের দ্বিতীয় তলায় গিয়ে শেফালীকে হাতমুখ ধুয়ে আসার পরামর্শ দেন। মার্কেট থেকে নেমে শেফালী তার শিশু সন্তানকে দেখতে না পেয়ে বিভিন্ন দিকে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। পরে না পেয়ে কোতোয়ালী থানায় মামলা করেন।

কোতোয়ালী থানার ওসি মোহাম্মদ মহসিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, মার্কেটের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে শেফালীর বাচ্চা চুরি করা যুবককে শনাক্ত করা হয়। তদন্তে নেমে পুলিশ গত মাসের মাঝামাঝি সময়ে ইপিজেড থানা এলাকায় শিশু চুরির অভিযোগে ইকবাল নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করে।

“কোতোয়ালী থানার মামলায় ইকবালকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে সে শেফালীর বাচ্চা চুরির বিষয়টি স্বীকার করে ও আদালতে জবানবন্দি দেয়।”

ওসি জানান, ইকবালের কাছ থেকে শিশু চোরের ‘মূল হোতা’ আফসারের তথ্য পাওয়া যায়। পরে শনিবার বিকালে কক্সবাজারের কলাতলী থেকে আফসারকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাকে চট্টগ্রামে এনে রাতে অক্সিজেন এলাকা থেকে পারভীন আক্তার ও গভীর রাতে নগীর মেহেদী বাগের ন্যাশনাল হাসপাতালের সামনে থেকে সুজিত নাথকে গ্রেপ্তার করা হয়।

কোতোয়ালী থানায় আফসার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, তিনি কমিশনের বিনিময়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপতাল গেইটের বিপরীতে ‘বেসিক ল্যাব’ নামের একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে রোগী নিয়ে যান। সেখানে ইকবাল ও ইমরান নামে দুইজনের সাথে তার পরিচয় হয়।

তারাও বিভিন্ন ডায়াগনস্টিক সেন্টার, প্রাইভেট ক্লিনিক ও ওষুধের দোকানে ক্রেতা পাঠিয়ে কমিশন নেওয়ার কাজ করতেন।

বিভিন্ন হাসপাতালের আায়া, নার্সদের মাধ্যমে তিনি নিঃসন্তান দম্পতির খোঁজ নেন। আর ইকবাল ও ইমরানের মাধ্যমে বাচ্চা সংগ্রহ করেন। পরে শিশুগুলোকে তাদের কাছে বিক্রি করেন।

আফসারের দাবি, প্রতিটি বাচ্চার জন্য তিনি ১০ হাজার টাকা করে পান।

উদ্ধার হওয়া শিশুটির প্রসঙ্গে আফসার বলেন, “ন্যাশনাল হাসপাতালের ল্যাব টেকনেশিয়ান সুজিত নাথ তার এক আত্মীয় জন্য একটি বাচ্চা সংগ্রহ করতে বলেছিলেন। সে জন্য ইকবালকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল বাচ্চা সংগ্রহ করার জন্য।”

কোতোয়ালী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. কামরুজ্জামান বলেন, বিভিন্ন হাসপাতালের গাইনি ও ক্যান্সার ওয়ার্ডের আয়া, নার্সদের নিয়ে চক্রটি গড়ে তুলেছেন ইকবাল। আয়া নার্সদের মাধ্যমে তারা নিঃসন্তান দম্পতির খোঁজ নিয়ে তাদেরকে বাচ্চা সংগ্রহ করে দেওয়ার চুক্তি করে।

“সেজন্য তারা ভিক্ষুক, দরিদ্র মহিলাদের বাচ্চা চুরির পাশাপাশি বিভিন্ন প্রসূতি সেবা হাসপাতালগুলোর আয়া নার্সদের সাথে যোগাযোগ করে সেখান থেকে বাচ্চা সংগ্রহ করে। সংগ্রহ করা বাচ্চা বুঝিয়ে দেওয়ার আগ পর্যন্ত পারভীনের কাছে লালন পালন করতে দিত।


পূর্ববর্তী - পরবর্তী সংবাদ
       
                                             
                           
ফেইসবুকে আমরা